চৌদ্দ শাক ✒️✒️ গীতশ্রী সিনহা

চৌদ্দ শাক

গীতশ্রী সিনহা

অমনোযোগী কোমরের নগ্ন বারান্দা ঢেকুর তোলে
পিছলে যায় জিভ প্রতিশ্রুতির আশ্লেষে…
অবশেষে, কার্নিশে পড়ে থাকে অকেজো দীর্ঘশ্বাস – বেগুনী সময়…
হাড় থেকে রক্ত নিংড়ে মনুষ্যত্বকে নেড়ি কুত্তার পায়ে সঁপে দিয়ে আসি,
আত্মহত্যা করার আগে নিজেকে জড়িয়ে ধরে কেঁদেছি, সময়কে কাঁটা চামচ দিয়ে ছিঁড়ে ছিঁড়ে…
তারপর… ! তারপর… !
মরচে রঙের চোখের জল চেটে খেতে খেতে নিষিদ্ধ গল্প লিখি , কোল জুড়ে অট্টহাসির হেয়ালি -তামাশায় জুতসই আঁধার গিলেছি… আলোর স্বাদ ভুলেছি, অনুভূতির অভিযোগে…
ক্যালসিয়াম খাওয়া শিরদাঁড়া মচকে গিয়ে ডিপ্রেশনের বিস্ফোরণ !
ঘর গৃহস্থালি স্মৃতিহীন, কথা লুকায় বজ্রপাতের ভয়ে !
ঠিক তখন, ঘুমন্ত আয়নায় বেয়ে আসে রক্তের লালা…
সার্চলাইট টুঁটি চেপে ধরে লাস্য, অহংকার, তাচ্ছিল্যের শেষরাতে !
আয়না হাসির ঢেউ তুলে বলে, “এবার চামড়ার প্রসাধন সভ্যতার প্রসাধনী হয়ে উঠুক ! ”
ছাই হয়ে যাওয়া পরিচয় পত্র বেওয়ারিশ লাশের নিচে মুচকি হাসে।
ঘাটের মড়া! জীবনের বিজ্ঞাপনে চন্ডালের শিরা-উপশিরায় চন্দনগুড়োর বেজন্মা গিরগিটি…
এ যেন… অ্যালজোলাম খাওয়া বে-আক্কেল পায়ে বাস্তুভিটার বটবৃক্ষ !

সব ঘটনাই লুকিয়ে থাকে হারিয়ে যাওয়ার ভয় !
হয়তো সেটা আমার ছিল অন্য কারো নয় !

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *