অপেক্ষার প্রহর শেষে (পর্ব-২০) অবহেলিত প্রেম ✒️নর্মদা চৌধুরী (তুলিকা)

*******অপেক্ষার প্রহর শেষে**********
******(পর্ব-২০)*********
********অবহেলিত প্রেম********
*****@নর্মদা চৌধুরী (তুলিকা)@*******
আজো সে খুঁজে চলেছে একটা দুরন্ত শৈশব-
একটা প্রাণবন্ত কৈশর*****
আর একটা ভালোবাসাময় যৌবন!
যে জীবনে শুধু অবহেলা আর একরাশ হতাশার আলিঙ্গন,
সে জীবন বড় একাকী।
হাত বাড়িয়ে এগিয়ে আসে না কোন স্বপ্নের প্রেয়সী,
বাস্তব আর কল্পনার মধ্যখানে পাতা হয় জীবনের সিংহাসন।
দারিদ্রের মুকুটে সজ্জিত এক অচেনা পথিক;
যে কখনো ছুঁয়ে দেখেনি তার একান্ত শৈশবের কোন মুহূর্ত!
কঠোর বাস্তব তাকে দেয়নি স্বাদ কৈশরের…..
বয়স তাই থেকে গেছে সংখ্যা হয়ে।
নিজের পায়ে দাঁড়ানোর অদম্য প্রয়াসে কখন যে হারিয়ে গেছে সেই স্বপ্নদেখা হৃদয়,
তার টের পায়নি সেই পথিক।
রক্ত মাংসের মানুষ প্রতিমা যেন সে……..
অপেক্ষায় বসে আছে বিসর্জনের;
জীবনের গতির কাছে সে পরাজিত জন্মের আগেই।
চোখ খোলার আগেই দারিদ্রের চুম্বন সারাগায়ে,
প্রতিদিন ক্লান্তিহীন যুদ্ধ সেঁকে যায় রুটি;
তবুও অবুঝ মন স্বপ্ন দেখে দিন বদলের!
অসাম্যের সাথে নিত্যদিনের আপোষ,
আপোষহীন কোন এক সকালের রুদ্ধশ্বাস প্রতিক্ষায় ওরা বেঁচে আছে;
বেঁচে থাকার স্বাভাবিক নিয়মেই।
যদি এমন হতো!
খরোস্রোতা নদীর মতো দুরন্ত ঢেউ আছড়ে ভেঙে দিত তিল তিল করে গড়ে তোলা তোমাদের দূর্নীতি আর অপরাধের প্রাসাদ;
সব অপরাধীর রক্তে প্লাবিত একটা আস্ত সভ্যতা!
কয়েক যুগ পর সেই নদীর তীরে গড়ে উঠত,
একটা নিরাপরাধ সমাজ।
সেই ছেলেটি সেদিন আবার আসবে মৃত্যূঞ্জয়ী হয়ে
আগামী কয়েক শতাব্দী তাদের স্বপ্নদেখা চোখের ছবি আঁকবে কোন চিত্রকর…….
কবি লিখবে কবিতা প্রেমের।