#বিভাগ : কবিতা #শিরোনাম: নিরুদ্দেশের পুজো #কলমে:সাহানা

#বিভাগ : কবিতা
#শিরোনাম: নিরুদ্দেশের পুজো
#কলমে:সাহানা
কানু পালের খড়-ছাওয়া মাটির দাওয়া,
সারি দিয়ে কাঠামো, প্রথমে বাঁশ, তার ওপরে মাটি শুকোয়,
এরপর লাগবে রঙ।
তারপরে কাপড়, গয়না, সাজ।
শোলা, ডোকরা, মোতি, পুঁতি, রঙিন কাগজ…আরও কত কি!
শোলার বলগুলো গেঁথে রামু
মালা বানায় আর দ্যাখে, হাঁ করে।
ভাদ্রের শেষে একটা শুকনো গুমোট হাওয়া ওঠে কাশবনে
জানিয়ে দেয়, মা আসছেন।
স্টেশনে পরপর ট্রেন, গ্রামে ফিরছে লোকজন, কেউ আবার শহরে যায়।
নতুন জামা, জুতো, নিত্যদিন নতুনের গন্ধে রামুর ঘোর লাগে!!
নীল আকাশে চাঁদিয়াল উড়িয়ে
বিশুদা বন্ধুদের বলে, কিরে? পুজোয় যাবি নাকি?
চল্, দার্জিলিং ঘুরে আসি।
টিকিটটা কাটি? পুজোর ক’টা দিন নিরুদ্দেশে যাবোই যাব!!
রামু চা বিলোয়,
তারপর মাথা নীচু করে পা দিয়ে
মাটি আঁচড়ায়…তার শূন্য চোখে
অপার জিজ্ঞাসা…
পুজোয় পেটভরে গরম ভাত পাবে তো?
ওমা, মাগো, তাই যেন হয় মা!
ছোটো ভাই-বোন, বাবা মা
সবাই মিলে একথালা ভাত পেলেই খুশি।
আর চাইনা কিছু।।
কলমে : সাহানা