“নজরুলের চেতনায় নারী ” মৃনালিনী
“নজরুলের চেতনায় নারী “
মৃনালিনী
পুরুষতান্ত্রিক সমাজে বেশিরভাগ নারী বরাবরই অবহেলিত, ন্যায্য অধিকার বঞ্চিত, উপেক্ষিত তারা বাঁধা পড়ে আছে কঠিন বৈষম্যের শেকলে। এই বোধ থেকেই নজরুল নারীর মুক্তির কথা ভাবলেন, তিনি জানতেন শত আঘাত সহ্য করেও নারী তার স্বমহিমায় উজ্জ্বল। তিনি নারীর অবস্থান কে সমাজের সবার ঊর্ধ্বে তুলে ধরেছেন।
তাইতো তিনি বলেছেন ” বিশ্বের যা কিছু মহান সৃষ্টি
চির কল্যাণকর
অর্ধেক তার করিয়াছে নারী
অর্ধেক তার নর”
তিনি বলেছিলেন একজন অবিবাহিত নারীর সন্তান যদি “জারজ সন্তান “হয় তাহলে একজন অবিবাহিত পুরুষের সন্তান ও “জারজ সন্তান’ “হবে।
নজরুল নারীকে তার সকল প্রেরণার উৎস মনে করেছেন। তার ব্যক্তিগত জীবনেও নারীর প্রাধান্য ছিল বেশি, কবি জীবনে যেসব নারীর আগমন ঘটে তাদের মধ্যে অন্যতম ছিল নার্গিস ।কবি নার্গিসের প্রতি এতো অনুরক্ত ছিলেন যে তার লেখনীতে বারবার ফুটে উঠেছে। দোলনচাঁপা কাব্যের সমর্পণ কবিতায় কবি প্রিয়তমার কাছে নিজেকে সমর্পণ করেছিলেন এভাবে ” প্রিয় এবার আমায় সঁপে দিলাম
তোমার চরণতলে,
তুমি শুধু মুখ তুলে চাও
বলুক যে যা বলে। ”
দেশের তৎকালীন সমাজ সংস্কারে ও নারী সমাজকে নিয়ে কবি ছিলেন ব্যস্ত, তাইতো কবি লিখেছেন “নারীর বিরহে নারীর মিলনে
নর পেল কবি প্রাণ ,
তাইতো কবি বলেছেন,
” সেদিন সুদূর নয় যেদিন ধরণী পুরুষের সাথে গাহিবে নারীর জয় “। তিনি উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন নারীকে ছাড়া সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং রাষ্ট্রের উন্নয়ন সম্ভব নয়।