#পুনর্জন্ম ✒️কলমে : গীতালি

#পুনর্জন্ম
কলমে : গীতালি
২. জন্মান্তরবাদ : জন্ম ও মৃত্যুর মধ‍্যখানের অবস্থিতি :

“না জায়তে মৃয়তে বা কদাচীন
নায়াম ভূত ভবিত্বা বা না ভূয়ায়
অজ নিত‍্যঃ শাশ্বত ইয়াম পুরাণ
ন হন‍্যতে হন‍্যমানে শরীরে।।”— ভাগবত গীতা
(আত্মার জন্ম নেই, মৃত্যু নেই, থামা নেই; আত্মা অবিনশ্বর, শরীর ধ্বংসপ্রাপ্ত হলেও আত্মার ধ্বংস নেই। )
ভাগবত গীতায় আছে, আত্মা অবিনশ্বর, এবং এক দেহ হতে অন‍্য দেহে তার বিচরণ। তেজ বা শক্তিকে সৃজন করা যায় না, তা শুধুমাত্র অন‍্য কোনো রূপে রূপান্তরিত হয়।

Re-incarnation derives from Latin, literally means “Entering the Flesh Again “– ‘পুনরায় দেহ ধারণ’— এই তত্ত্ব বা নিয়ম সর্বদাই আত্মাকে পৃথিবীতে ফিরে আসার অনুমতি দেয় ; যদি সে তার পূর্ব জন্মের কোনো ইচ্ছা বা কর্ম অপূর্ণ রেখে যায় এবং সর্বোপরি আত্মা চায় তার পরিপূর্ণতা।
আত্মাকে মনোনয়ন করতে দেওয়া হয় শিক্ষাকে দ্রুত প্রক্রিয়ায় নিতে বা উচ্চতর মানের চেতনা অর্জন করতে।

পুনর্জন্মই বেশিরভাগ ভারতীয় ধর্মবাদের মূল চাবিকাঠি। বৌদ্ধ দর্শন, হিন্দু ধর্ম, জৈনধর্ম– এই সব ধর্মই এই ধারণার বশবর্তী। পাশ্চাত্য দেশেও এই ভাবধারা নিয়ে প্রচুর আলোচনা পাওয়া যায়।

বৌদ্ধ দর্শনে জন্ম ও মৃত্যুকে একই আধারে একই পূর্ণতায় দেখা হয়েছে। এখানে মৃত্যু জীবনের অপর অধ‍্যায়, যেখানে জীবনের সম্পূর্ণ অর্থ প্রতিফলিত হয় অথবা বলা যেতে পারে rebirth বা পুনরায় জন্মগ্রহণ এই দর্শনে অস্তিত্বের সংঘটন প্রক্রিয়ায় বারে বারে ফিরে আসার কথা বলে। অপরদিকে হিন্দু ধর্ম আত্মার অস্তিত্ব সম্পর্কে প্রবলভাবে বিশ্বাসী এবং সেই আত্মাই নবজীবনে প্রবিষ্ট হয়। আত্মার ভ্রাম‍্যমানতার কথা হিন্দু ধর্মে বিশদে বলা হয়েছে। আত্মা চিরন্তন ও অবিনশ্বর, শরীর পার্থিব ও নশ্বর — একথাই স্বীকৃত।

তিব্বতী বৌদ্ধ ঐতিহ্য মনোনিবেশ করেছে মৃত্যুপথ যাত্রীকে মৃত্যুর অপর কিনারাতে পার করার পথটিতে। তিব্বতে মানুষের অস্তিত্বকে চারটি পারম্পর্যপূর্ণ ভাগে ভাগ করা হয়।
১। জীবন
২। মৃত্যু
৩। মৃত্যুর পরবর্তী অবস্থা
৪।পুনরায় জন্মগ্রহণ

পাশ্চাত্যে মাইকেল নিউটনের গবেষণায় স্পষ্ট দেখা যায় যে, মৃত্যুর পরবর্তী অবস্থা কী হতে পারে, জীবনের মধ‍্যবর্তী অবস্থিতি এবং ভবিষ্যতে পুনরায় দেহধারণের প্রত‍্যেকটি স্তর সম্পর্কে সঠিক ধারণা।…………………………………..( চলবে )

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *