অযোধ্যা পাহাড় ঘুরে এসে– ( পর্ব–৩)

অযোধ্যা পাহাড় ঘুরে এসে– ( পর্ব–৩)

শিবমন্দিরে পাঁঠা বলি!! চমকে উঠলেন তো??
হ্যাঁ এটাই সত্যি। লহরিয়া শিব মন্দির আমাদের পরবর্তী গন্তব্যস্হল।
বিশাল এলাকা জুড়ে সবুজ পরিবেশে এ শিবমন্দিরে মন শান্তিতে ভরে উঠলো। মন্দিরে দুটি প্রবেশপথে নন্দীভৃঙ্গীর শ্বেত পাথরের মূর্তি চোখে পড়ার মতো।
শ্রাবণ মাসে তো ঢল পড়ে মানুষের পুজো দিতে এ জাগ্রত বাবার থানে তাছাড়াও সারা বছর চলে মানসিক পূরণ করে পাঁঠা বলি দেওয়া—-
বিশ্বাসে আপনিও পারেন এখানে মানসিক করতে। কথিত আছে লহরিয়া শিবমন্দিরে মানত করলে তা সফল হবেই।

★★পরের গন্তব্য লোয়ার ও আপার ড্যাম। গাড়ি এগিয়ে চললো লোয়ার ড্যামের দিকে। এখানে আমরা নামিমি।গাড়ির জানলা দিয়ে দেখতে দেখতে এগোলাম
কি অপরূপ সৌন্দর্যর সম্ভারে সাজানো এ ড্যাম।সবুজচাদরে যেন পাহাড় ঘেরা।

আপারড্যামে এসে গাড়ি থামলো।
কি বিশাল চওড়া রাস্তা—- এ ড্যামের জল সঞ্চয় করে টারবাইনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ তৈরী হয়। সেই জল পৌঁছায় লোয়ার ড্যামে।
দিগন্ত ছুঁয়ে গেছে জলের ধারা। এতবড় জলাধার পাহাড়ের মাঝে না দেখলে কল্পনাতেই রয়ে যেতো।সত্যিই বিস্ময়।
প্রচুর ছবি তুললাম। আপারড্যাম থেকে পড়ন্ত সূর্যের লালিমা মোবাইল ক্যামেরায় বন্দী করলাম।

★★আপারড্যামের পর গন্তব্যস্হল ময়ূরপাহাড়। এ পথ খুব একটা খাড়া না।পাথরের পথ বেয়ে উঠতে হলো।
একটা গাছের ডাল ধরে সাপোর্ট নিতে যাচ্ছিলাম– পিছন থেকে শুনি এক আদিবাসী দিদির গলা–” হামরা অনেক কষ্ট কৈরে, গাছগুল্যান লাঁগাইছি দিদিমনিরা,গাছের ডালপালহা ভাঙ্গৈ না”—-
কি নিবিড় বন্ধন এদের গাছগাছালির সাথে। এরা যেন একএকজন শকুন্তলা আর ময়ূরপাহাড় তপোবন।
আছে কিছু বড়ো বোল্ডার।ঠিক সামনেই পাথরের চাতাল আর তার পরেই এক খাদ।যেখানে বসে মনে হলো এই কি সেই এই কি সেই যাকে কতোদিন স্বপ্নে দেখেছি!

ধীরে ধীরে সূযযি লালপলাশের গাছের পিছনে লাল আকাশে ঢলে পড়তে লাগলো। আমরাও প্রস্তুত তাকে মুঠোফোনে বন্দী করতে।
টুপ টুপ ডুব দেবার আগে সুযযি যেন বলে দিল –” দেখো আর জ্বলো আমার এ অগ্নিভ রূপ দেখে”—–

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *