আরশোলা — দেবাশিস দে
আরশোলা
দেবাশিস দে
আরশোলাটা দু’দিন ধরে দেখছি ঘরের মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। বুঝে গেছি, ওর এই ঘোরাফেরার পিছনে উদ্দেশ্যটা ভালো নয়।
আজ বাজার থেকে লক্ষণরেখা কিনে এনেছি। গোল গোল দাগ দিচ্ছি বেশ কয়েকটা। ব্যাপারটা ও জানে না। এবার জব্দ হবে।
আরশোলাটা এলো গোল দাগের কাছে। তাকিয়ে আছি রেফারির মতো। আরশোলাটা গোল দাগের প্রায় সামনে এসে বেশ কিছুক্ষণ চিন্তা করল। তারপর উডোজাহাজের মতো বাউন্ডারির বাইরে থেকে উড়ে একেবারে মাঠের ভিতরে। ও বেশ কিছুক্ষণ বীরত্বের সঙ্গে মাঠের ভিতর ঘুরতে থাকে। আমি মাঠের বাইরে থেকে ভালো ভাবে পর্যবেক্ষণ করতে থাকি।
ভাবি খেলা শেষ। নাহ্, ওর পরও বাকি ছিল ! আরশোলাটা লাফিয়ে লাফিয়ে সবকটা মাঠ ঘুরতে লাগল। খেলাটা শেষ করার জন্য আমি রেফারির বাঁশিটা বাজিয়েই যাচ্ছি। সে আওয়াজটা ও বুঝতে পারছে না, নাকি বুঝতে চাইছে না – আমি ধরতে পারি না। আমার কী করনীয় বুঝতে পারি না। তবে কি আমি ….!
আরশোলাটা এক নম্বর থেকে দুই নম্বর, দুই থেকে তিন, তিন থেকে আবার এক নম্বরে।