সে–বাবা ———- স্বপ্না সাহা

সে–বাবা
স্বপ্না সাহা

বাবা বলতে আমরা বুঝি
ভেতরে নরম মন জলের
উচ্ছ্বাসে উচ্ছ্বাসে ভেসে যায়,
আর বাইরে বজ্র কঠিন অবয়বের
মধ্যে মানুষটাকে বোঝা দায়।
অনেকটা ঠিক নারকেলের মতো।
নিজের স্বপ্নগুলোকে মনের
গোপন দেরাজে তুলে রেখে
সন্তানদের স্বপ্ন বুনতে বুনতে,
যে সারাটা জীবন অবলীলায়
কাটিয়ে দিতে পারে, সে–বাবা।
বটবৃক্ষের মতো মনের ডালপালা
ছড়িয়ে দিয়ে যে সারাজীবন
সন্তানদের ছায়ার তলে রাখে, সে–বাবা।
উদয়স্ত পরিশ্রমের অগুন্তি
জীবন যাত্রাকে অনায়াসে
ভুলে গিয়ে যে দুবেলা হাসি ফেরি
করে বেড়ায়, সে–বাবা।
ক্লান্ত নদীতে হাঁটতে হাঁটতেও
যে কখনো ক্লান্ত হয় না, সে–বাবা।
যে নিজের স্বাচ্ছন্দ্যকে ডুবন্ত
সূর্যের কাছে বিলিয়ে দিয়ে
সন্তানদের স্বাচ্ছন্দ্য বাড়াবার
আর্জি জানায়, সে–বাবা।
সন্তানদের অভিযোগ অনুযোগে
বিদ্ধ হয়েও শরশয্যায় যে
সারাজীবন হাসিমুখে কাটিয়ে
দিতে পারে, সে–বাবা।
আসলে বাবা হল বটবৃক্ষ।
যার ছায়াতলে নিশ্চিন্তে সারাজীবন
অনায়াসে কাটিয়ে দিতে পারি।
যদি কখনও সেই বাবার
চোখে জল আসে,
বুঝবে প্রলয় আসছে।।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *