#পাহাড়তলি কলমে: অর্ণব পাল

#অনুগল্প
#পাহাড়তলি
কলমে: অর্ণব পাল

এক কঠিন দুঃসময় উপস্থিত হয়েছে উপমহাদেশে। ভারত বাংলাদেশ উভয় রাষ্ট্রেই উত্থান ঘটেছে প্রতিক্রিয়াশীল মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক শক্তির। হাতে হাত মিলিয়ে তারা উভয় রাষ্ট্রেই নাশকতা চালাচ্ছে। মুক্তমনারা তাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে আসছেন কিন্তু অনেক পথ চলা বাকি। কিন্তু আশার বিষয় মুক্তমনা আন্দোলন যথেষ্ট দানা বেঁধেছে এবং এর পুরোভাগে দুই দেশের নারীকুল। একটি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে শিগগিরি দুই দেশের মুক্তমনাদের নিয়ে, ভারতের কলকাতায়। জোর কদমে তোড়জোড় চলছে। এই সম্মেলন মৌলবাদীদের চক্ষুশূল। তাকে ভন্ডুল করতে তারাও যথেষ্ট তৎপর। © অর্ণব পাল
চট্টগ্রামের পাহাড়তলি। একদল মৌলবাদী জড়ো হয়েছে কলকাতার সম্মেলন কেন্দ্র বিস্ফোরণে উড়িয়ে দেবার জঘন্য ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হতে। তাদের আয়োজন সম্পূর্ণ। নিকটেই ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত। ওপারে তাদের দোসর রা তাদের নির্বিঘ্নে সীমান্ত অতিক্রম করাতে অপেক্ষায় রয়েছে। আনন্দে মজলিস করছে তারা। অস্থায়ী তাঁবু তে খানাপিনা চলছে। আচমকা ঝাঁকে ঝাঁকে গুলি চারিদিক থেকে ফুঁড়ে দিতে থাকলো এই নরাধমদের। তাঁবুর আলোগুলি গুলিতে অকেজো হয়ে গেল। অন্ধকারে কিছুই ঠাওর করতে না পেরে তারা দলে দলে মরতে লাগলো এবং অবশেষে রণে ভঙ্গ দিলো। আকাশ বাতাস বিদীর্ণ করে কিছু ছায়ামূর্তি স্লোগান দিলো, ” বন্দে মাতরম!” তাদের ছাপিয়ে গেলো একটি নারী কন্ঠের স্লোগান, ” বন্দে মাতরম!!!” অর্ধমৃত এক মৌলবাদী জিজ্ঞেস করল কম্পিত কণ্ঠে, ” ক কে?” নারী মূর্তি উত্তর দিল সহাস্যে, ” মূর্খ! পড়াশোনা করিসনি তো কোনোদিন! তাই নাম বললেও চিনবি না। আরে সেদিন ওই পাহাড়তলীর European club e লাল মুখো সাহেবগুলোকে আচ্ছা করে শিক্ষা দিয়েছিলাম আর তোরা তো চুনোপুঁটি!! যাঃ, ফিরে গিয়ে খোঁজ নিস প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার কে এবং কি!”

~ © অর্ণব পাল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *