রুটি-রোজগার দে শালা-শালিরা —– দুলাল কাটারী

রুটি-রোজগার দে শালা-শালিরা
দুলাল কাটারী
আবারও একটা নির্বাচন এসে যেতেই
নিত্য-নতুন প্রতিশ্রুতি নিয়ে হাজির হলো রাজনৈতিক দল গুলো…
একে অন্যের দিকে কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি শুরু করে দিলো জোরকদমে।
চটি চাটা মিডিয়ার বাড়বাড়ন্ত দেখে গা জ্বলছে খুব।
পাঁজরের জেলখানায় বন্দি নিরুপায় হৃদয় শুধু কাঁদে!
কত সুখ এ জগতের বুকে,
এ সুখের একটুখানিও কি আমাদের জন্য বরাদ্দ নয়!
অথচ আমাদের ট্যাক্সের টাকাতেই তারা থাকে রাজার বেশে
আর আমরা মরি আঁটি চুষে।
দেশের টাকায় ভর্তি বিদেশি ব্যাঙ্ক
অথচ দেশবাসী খালিপেটের বোঝা বইতে বইতেই ক্লান্ত পরিশ্রান্ত …
তোমার নাকি ভোট চাই?
ভোটে জিতে মন্ত্রীত্বের আয়েশও চাই?
আরে রোসো ক্ষনিকের বাচ্চা,
তোদের নামে কেন এতো এতো কেচ্ছা রে!
তোমরা কি কোনো দিনও ভেবেছো-
সবার জন্য কাজ চাই,
সব মুখেতে হাসি চাই,
একটা দূর্নীতি মুক্ত দেশ চাই,
একটা দুর্নীতি মুক্ত রাজ্য চাই?
সীমান্তে শকুনের হাতছানি,
বিদেশি শক্তির সঙ্গে করতে হবে মোকাবিলা
পেটে ভাত চাই, মনে বল চাই
উন্নত প্রযুক্তি চাই,
এখন আর তোদের কেলেঙ্কারি শোনার মোটেও সময় নাই।
আর তোদের এতোশত ভণ্ডামি বোঝার মতোও সময় নাই।
এখনই রুটি-রোজগার দে শালা-শালিরা
নইলে তোদের নির্বাচনের ব্যালটই ছিঁড়ে ছিঁড়ে খাবো।
আর দৃষ্টি দূর্ভেদ্য দিগন্ত বিস্তৃত নির্বাচনী ব্যানারের একটা ছিঁড়ে নিয়ে পাজামা বানাবো।
আমার অস্থি দিয়ে বানাবো কলম
আর রক্ত দিয়ে কালি…
সারা পৃথিবীর বক্ষ জুড়ে শুধু লেখা হবে মানবতার জয়ধ্বনি
জীবনের প্রতিশব্দ লড়াই– এটাই আমরা জানি।
দেশবাসীর পেট জ্বললে দেশ কখনো এগোবে না
এ যেন লোক দেখানো ঐরাবতের হাসি!
শুধু তত্ত্বের বড়াই করা যত অকেজো পন্থা!
যত কালো কেলেঙ্কারি আর কেলেঙ্কারিতে জর্জরিত দল…
যুগে যুগে দেশীয় রাজনৈতিক ব্যর্থতা আর বিলাসিতার জন্যই
বৈদেশিক শক্তির আক্রমণ …পরাধীনতা… ইত্যাদি… ইত্যাদি…