ভ্যালেন্টাইন্স ডে —- বানী চন্দ দেব

ভ্যালেন্টাইন্স ডে / বানী চন্দ দেব
—————————————————
(ধারাবাহিক রচনা)
(৪র্থ এবং শেষ পর্ব)
—————————————-
ভালোবাসা দিবসের ঝুলিতে আরও একটি গল্প রয়ে গেছে। কিছু লোকের মতে, ভ্যালেন্টাইন্স ডে’র সঙ্গে প্রেমের কোনো গন্ধ নেই। তাই বুঝি? তা কি সেই কাহিনি? এবার বরং সেই গল্পই শুনি। প্রাচীন মানুষের বিশ্বাস ছিলো, ১৪ই ফেব্রুয়ারী পাখিদের বিয়ের দিন। পাখিরা নাকি বছরের দ্বিতীয় মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ডিম পাড়তে বসে। আবার কেউ বা বলেন, মধ্যযুগের শেষের দিকের মানুষের বিশ্বাস ছিলো, এইদিন থেকে পাখিদের মিলন ঋতু শুরু হয়। পাখিরা সঙ্গী খুঁজে বেড়ায়। এদের দেখেই মানুষও শুরু করলো এদিন থেকে সঙ্গী নির্বাচন করতে।

৪৯৬ খ্রিস্টাব্দে ভ্যালেন্টাইন্স ডে’র উৎপত্তি হয়েছিল বটে তবে এটি তেমন জনপ্রিয় ছিল না। ১১৭৬ খ্রীস্টাব্দে ফরাসি সরকার এই উত্সবের উদ্দামতায় খ্রীস্টধর্মের চেতনা নষ্ট হবার কারনে একে নিষিদ্ধ করেন। অস্ট্রিয়া, হাঙ্গেরি জার্মানীতে ও বিভিন্ন সময়ে একে নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করা হয়।
বর্তমানে সারা বিশ্বে ভ্যালেন্টাইন্স ডে জোয়ারের মূল কারনই হল ব্যবসায়ীক কৌশল। পাশ্চাত্যে বহূ অর্থ ব্যয় করে মানুষ এই উপলক্ষে। কার্ড, ফুল, চকোলেট, নানা উপহার কেনা বেচা চলে। আমাদের দেশই বা পিছিয়ে থাকবে কেন একই বাতাস এখানেও বয়ে চলেছে। এই হলো সংক্ষেপে ভালোবাসা দিবসের কাহিনী।

🖤💜💙💚💛❤️🧡

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *