কাঁধ —- গৌতম চট্টোপাধ্যায়
কাঁধ
———–
গৌতম চট্টোপাধ্যায়
——————————
কিছু আগে কিছু কাঁধে ভর করে কিছু লোককে চলে যেতে দেখলাম…..,
কিছু কাঁধের ওপর কিছু মানুষের মুণ্ডুর মতো
কিছু একটা, কেউ কেউ আবার মুণ্ডহীন,
তমস্বিনী! স্বপ্নগর্ভনম্রতা! কবন্ধ! না কী সবাই কনিষ্কের ভাস্কর্য হয়ে গেল কে জানে!
কিছু কাঁধের ওপর বন্দুক, কিছু কাঁধ বেয়ে ঝরছে লাল লাল রক্ত, কিছু কাঁধের ওপর লাল,নীল,সবুজ,গোলাপি পতাকা,
কিন্তু কোন কাঁধের ওপর কোন লাল,নীল,সবুজ পাখি বসে নেই! কিছু কাঁধ তো এক্কেবারে খালি! কাঁধের দু’পাশে অনেকেরই কোনো হাত নেই,
কিছু কাঁধের পাশে পক্ষাঘাতে জর্জরিত দুটো হাতে আঙুল সচল করতে একটি করে কাঁটাবল কোনমতে ধরা, পাশের কিছু হাতওয়ালা মানুষ ওদের ওই কাঁটাবলটি ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে আঙ্গুল সচল করতে কালঘাম ছোটাচ্ছে! আশ্চর্যের বিষয় কিছু পরেই গাদা গাদা কাঁধওয়ালা, মুণ্ডুসহ মানুষের লাশ নিয়ে চলেছে একটি ট্রাক, থেমে থেমে চলেছে। লাল,নীল,সবুজ, গোলাপি পতাকায় বেষ্টিত সব মানুষের মত কিছু! অবাক ব্যাপার ট্রাকটিকে চালানোর জন্য চালকের দুটো হাত আছে কিন্তু কোন মুণ্ডু নেই।।কণিষ্ক ঠিক কী যেন বলেছিল যে “ভারতবর্ষ শাসন করার জন্য কোন মুণ্ডুর প্রয়োজন নেই! ” আদৌ বলেছিল কী না কে জানে! কিন্তু
এতগুলো লাশকে ট্রাকটি কেন যে নিয়ে যাচ্ছে বোধগম্য হোল না! হয়তো তাদেরকে কাঁধ দেওয়ার মতো আজ আর কোন কাঁধ নেই!হতে পারে, যদিও আজ অনেক কাঁধের প্রয়োজন ছিল!
এবং অনেক মু্ণ্ডুরও!
কবে যেন লিখেছিলাম “One who doesn’t understand anything understand politics better than anyone else!”