প্রায়শ্চিত্ত ও তর্পণ ——- গৌতম চট্টোপাধ্যায়

প্রায়শ্চিত্ত ও তর্পণ
————————–
গৌতম চট্টোপাধ্যায়
—————————–
বড় এক অস্থির সময়ের মধ্যে চলেছি..
যেন এক বিশাল সুড়ঙ্গে হামাগুড়ি দিচ্ছি..
অন্ধকার ভেদ করে এক আলোর বিচ্ছুরণ আমাকে আরো লালায়িত করে চলেছে..,
মনে পড়ছে Ada Adams এর কথা
” No matter what you’re going through,
there’s a light at the end of the tunnel.
Some tunnels just happen to be longer than others. ”
ক্রমে কমে যাওয়া এই বিস্তীর্ণ সুড়ঙ্গের বাইরে বেরোতেই দেখি এক বিশাল খাদ হাঁ করে আছে..,
যেন আমাকে গিলে খাবে!
বহুদিন পরে কোনোক্রমে সোজা হয়ে
খাদের কিনারায় দাঁড়াতেই দেখি
এক অবাক সভ্যতা আমায় হাতছানি দিয়ে ডাকছে…,
নিজেই নিজেকে সঁপে দেওয়ার আগেই
তলিয়ে গেলাম অতল গহ্বরে…,
শ্বাস নিয়ে উঠতেই দেখি
আমারই মত মানুষজন সেখানে,
যেখানে সব্বার খুব অসুখ।
ক্লান্ত, বিধ্বস্ত হয়ে নিজেরই পাপের প্রায়শ্চিত্ত করতে ঠায় দাঁড়িয়ে আছে এক গলা জলে,
আমিও অঞ্জলি ভরে জল নিয়ে
প্রায়শ্চিত্ত আর তর্পণ দুটোই করতে গিয়ে দেখি
আঙুলের ফাঁক গ’লে
সময় ঝরে যাচ্ছে জলে
আর চর্তুদিকে উচ্চারিত হচ্ছে…
” অনুক্তনিষ্কৃতিনাং তু পাপানামপনুত্তয়ে।।
শক্তিং চাবেক্ষ্য পাপং চ প্রায়শ্চিত্তং প্রকল্পয়েৎ।।”
“ওঁ নমঃ আ-ব্রহ্মভুবনাল্লোকা,
দেবর্ষি- পিতৃমানবাঃ,
তৃপ্যন্ত্ত পিতরঃ সর্ব্বে ; মাতৃ- মাতামহাদয়া।
অতীত- কুলকোটীনাং,সপ্তদ্বীপ- নিবাসিনাং।
ময়া দত্তেন তোয়েন, তৃপ্যন্ত্ত ভুবনত্রয়ং।।”