হিমশৈল -মিলি মজুমদার –

হিমশৈল

-মিলি মজুমদার –
**********

অনেক দিন থেকেই আমরা স্বামী স্ত্রী ভাবছিলাম কোথাও ঘুরে আসি কটা দিন।
দুর্গাপুজোর কিছুদিন আগে মেয়ে যখন ফোন করে বলল লেহ-লাদাখ বেড়াতে যাওয়ার কথা মনের মধ্যে, শোনা গল্প,কল্পনা আর বাস্তব মিলে মিশে একাকার.. অবশেষে এল সেই মাহেন্দ্রক্ষণ…চলো চলো চলো চলো বেরিয়ে পড়ি….

দেখতে দেখতে চলে এলাম ভোর বেলায় এয়ারপোর্টে আমরা পাঁচজন। জানলার ধারেই সিট ছিল আমাদের তিনটে। আমি একটা দখল করলাম। আনন্দের সাথে কিছুটা টেনশন নিয়ে। লেহ-লাদাখে চরম ঠান্ডা আর উচ্চতার জন্য অক্সিজেন কম । বন্ধুদের কাছে শুনে আরো টেনশন হচ্ছিল, কম অক্সিজেনের জন্য শুনেছি শ্বাসকষ্ট হয় অনেকের।যাত্রা শুরু হোলো।

বেশ কিছুটা যাওয়ার পর শুরু হলো হিমালয় পর্বতমালার উপর দিয়ে যাওয়া । আমিতো তখন মুগ্ধ হয়ে দেখছি হিমালয়ের উপর থেকে পর্বতমালার একটু একটু করে সূর্যের ছটায় অপরূপ দৃশ্য।যেন মনে হচ্ছে কে যেন পাহাড়ের খাঁজে খাঁজে গাঢ় কমলা রংছড়িয়ে দিয়েছে।কোথাও আবার পাহাড়ের মাথায় সাদা বরফের টুপি পড়া। একেই কি বলে স্বর্গের কাছাকাছি !! দেখতে দেখতে চলে এলাম “লেহ”।

হ্যান্ডব্যাগে শীতের পোশাক আর হাতে থাকা ওভারকোট গায়ে চাপিয়ে নামলাম। নেমেই চরম ঠান্ডা আর হাল্কা হাওয়ার সাথে একটা মিষ্টি হাসি দেখলাম নাতনীর মুখে। যাক প্রথম টেনশন কাটল আমাদের সবার।
এয়ারপোর্টেই বড় বোর্ডে লেখা নিয়মাবলী।কি করবেন কি করবেন না। শুনেছি লেহ্ এয়ারপোর্ট বিশ্বের সব চাইতে উঁচু কমার্শিয়াল এয়ারপোর্ট।

গাড়িতে চেপে সোজা রওনা দিলাম আগে থেকে বুক কবে রাখা গেষ্টহাউজে। পাহাড়ের কোলে মনোরম সুন্দর গেস্টহাউজ অন্যান্য গাছের মাঝে আপেল গাছ। লাল টুকটুকে আপেল তখনো গাছে অল্প কিছু আছে। একমুখ হাসি দিয়ে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানালেন গেস্টহাউজের মালকিন।


আমি আমার রুমে ঢুকেই জামাইয়ের কাছ থেকে উপহার পাওয়া জার্মানি দূরবীন নিয়ে ধীরে সিঁড়ি ভেঙে চলে গেলাম সোজা ছাদে।কারণ হুড়োহুড়ি করলেই শ্বাসকষ্ট হবার সম্ভাবনা।
ছাদে উঠে এক অপূর্ব অনুভূতিতে আবিষ্ট হলাম। কি অপরূপ শোভা। চারিদিকে পাহাড় আর বরফ জমা পাহাড়ের চূড়া দেখে মনে হচ্ছে যেন শোলার মুকুট পড়া।


শিরশিরে চরম ঠান্ডা হাওয়া বইছে চারিদিকে। নীচ থেকে জলখাবার খাওয়ার ডাক এলো। গরম গরম কুলচা আর ডিমঝুড়ি। আর বিশাল ফ্লাক্সে চা কফি।
খাওয়া সেরে সবাই একটা করে ডায়ামক্স ট্যাবলেট খেয়ে সোজা বিছানায়, কারন আজকে সারাদিন ও রাত গেস্টহাউজেই কাটাতে হবে আবহাওয়ার সাথে নিজেদেরকে খাপ খাওয়ানোর জন্য।
রাতের খাওয়া দাওয়াও খুব তাড়াতাড়ি করে গরম জলের ব্যাগ নিয়ে লেপ কম্বল মুড়ি দিয়ে শুয়ে পড়লাম ।
পরের দিন সকালে জলখাবার খেয়ে বেরিয়ে পড়লাম সাইড সিন দেখতে।
প্রথমে গেলাম ম্যাগনেটিক হিলস্পট।অপরূপ সুন্দর পাহাড়ী রাস্তা উপরে চলে গেছে। পাহারের গা ঘেষে সায়ক নদীও মনকাড়া রূপ নিয়ে বয়ে চলেছে
লেহ্ তে অনেক তিব্বতি মনেস্ট্রি আছে দেখার মতো। আলচি মনেস্ট্রি প্রায় এক হাজার একশো বছরের পুরোনো । ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে আছে এই মনেস্ট্রি। পাথরের গুড়োর সাথে ভেসজ রংও নানা উপকরণ মিশ্রিত তৈরী পদার্থ দিয়ে সারা দেওয়াল জুড়ে ছোট্ট ছোট্ট বুদ্ধের মূর্তি ।
নিখুঁত সুক্ষ্ম কারুকার্য চোখকে মোহিত করে তুলেছে। ওখানে ছবি তোলা বারণ, কারণ আবছা আলোতে ছবি উঠবে না ফ্লাশ ব্যবহার করতে হবে।ফ্লাশ ব্যাবহার করলে ভেসজ রঙের ক্ষতি হবে তাই। এখনো উজ্জ্বলতা ম্লান হয়নি তেমন। কতো বছরকার পুরোনো এইসব ছবি সমস্ত মনেস্ট্রি জুড়ে। এক অদ্ভুত অনুভবে আবিষ্ট করে তুললো মনকে।
বাইরের বারান্দায় একটা বিশাল খাঁজকাটা গাছকে আধশোয়া অবস্থায় উপরতলার সাথে যুক্ত করা। ওটাকেই সিঁড়ির মতো ব্যবহার করা হয় উপরতলা যাওয়ার জন্য।

পাত্থর সাহিব গুরুদোয়ারাও বেশ সুন্দর । ওখানে লঙ্গরখানাতে বেশিরভাগ সৈনিকরা খাওয়া দাওয়া করছিলেন।আমাদেরও খুব আন্তরিকতার সাথে খাওয়ার জন্য বলছিলেন। চা কফি খাওয়ার ব্যাবস্থাও ছিল।
যদিও খাওয়ার দরকার হয়নি কারন পেটপুরে খাবার খেয়েই বেরিয়েছিলাম আর সঙ্গে প্রচুর শুকনো খাবার আর জল ছিল। লেহ-এর আর একটা আকর্ষণীয় জায়গা হোলো “হল অফ ফেম”। এখানে এসে গর্বে বুক ভরে ওঠে..

সাহসী সৈনিকদের সাহসিকতার নিদর্শন।বাবাকে লেখা কর্নেল রবিনের লেখা চিঠি আর গর্বিত বাবার চিঠি উত্তর পড়ে কেমন যেন একটা অদ্ভুত আচ্ছন্ন ঘিরে ধরলো।
পেছন দিকের দরজা দিয়ে বেরিয়ে বিশাল জায়গা নিয়ে একটা স্মৃতিবহ উঁচু স্তম্ভ। ফেরার সময় আমরা এলাম ইন্দাস আর ঝাংস্কার নদীর সঙ্গমে। অপূর্ব সুন্দর পাহারের কোলে এই নদী দুটির সঙ্গম । দুটি নদীর জলের রং দুইরকম স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে উপর থেকে। একটি গাঢ় সবুজ অপরটি হালকা তুঁতে রং। জলের কাছে যেতেই দুটো জল প্রায় একই রকম।
তারপর এলাম লেহ প্যালেসে বেশ অনেকটা সিড়িঁ বেয়ে।বেশ ভালো লাগলো এই প্যালেস। উপরে উঠে লেহ-এর ভিউ খুব মনোরম।এই লেহ প্যালেস প্রায় সতেরোশো বছরের পুরোনো ঐতিহ্য বহন করে চলেছে।


লেহ লাদাখের প্রতিটি সন্ধ্যাই অপরূপ মাধুর্যে ভরা । আকাশের বুকে সুর্যের সাথে মেঘের লুকোচুরি খেলা আর পাহাড়ের গায়ে আলো আধাঁরির উঁকিঝুঁকি।
সন্ধ্যের আগেই গেস্টহাউজে ফিরে রাতের খাওয়া সেরে লেপ কম্বল গরম জলের ব্যাগ নিয়ে যে যার বিছানায়। ঘুম থেকে উঠে গরমজলে গা স্পঞ্জ করে ভালো রকম শীতের পোশাক চাপিয়ে প্রাতরাশ: সেরে সকাল সকাল বেরিয়ে পড়লাম খারদুংলার উদ্দেশ্যে ।
রাস্তার ধারে ধারে চাপ চাপ বরফ জমে আছে। যেতে যেতে আমরা সেই জায়গাটা পার হবার আগেই দেখছি বেশ কিছুটা পথ বরফ জমে যাওয়ায় বরফ কেটে পরিস্কার করছে।
যেতে দেখলাম পাহাড়ের রঙের বৈচিত্র্য। এক একটার এক এক রকম রূপ——-
যথাসময়ে পৌঁছালাম খারদুংলা পাস। গাড়ি থেকে নেমেই টের পেলাম এখানে কমপক্ষে মাইনাস ছয় থেকে সাত ডিগ্রী তাপমাত্রা।
এই খারদুংলা হোলো বিশ্বের সবথেকে উঁচু মোটোরেবল রোড।এখানে অক্সিজেন আরো কম তাই খুব ধীরে ধীরে এগিয়ে গেলাম। আহা!! কি অপরূপ শোভা।চারিদিকে বরফ নাতো সাদা মখমল কাপড় দিয়ে মোড়ানো!!

দুহাত ভরে জড়ো করলাম বরফ সবাই মিলে, নাতনীর এটাই আবদার ছিল যে বরফ পুতুল তৈরী করবে।হাতে মোটা ফোমের গ্লাভস থাকার জন্য কোন অসুবিধে হয়নি কিন্তু বেশিক্ষন থাকা সম্ভব নয় বলে কোনো রকমে তৈরী হোলো বরফ পুতুল । জলের বোতলের ঢাকনা দিয়ে তৈরি হোলো চোখ আর বড় মোটা আকারের কাঁচালঙ্কা দিয়ে পুতুলের নাক আর ব্যাঁকালঙ্কা দিয়ে একমুখ হাসি। এ সবই আগে থেকে আমার কন্যারত্নটি কখন টুক করে ব্যাগে গুছিয়েছে গেস্টহাউজে প্রাতরাশ: সারার সময়।
দুজনেরই হাসিমুখের ছবি তোলা হোলো।বরফ পুতুল আর নাতনীর। আমরাও টুক করে পোজ দিলাম ছবি তোলার জন্য।আমাদের সমস্ত ফটো তোলার দায়িত্ব ছিল সুমনের(জামাই) উপর।আমাদের স্বামী স্ত্রী দুজনকে নাতনীর দলেই ফেলেছিল তিতলি- সুমন।
কোনো দায়িত্ব আমাদের ছিলনা।শুধু উপভোগ করা ছাড়া।যাইহোক এরপর গাড়িতে চেপে বসলাম নুব্রাভ্যলির উদ্দেশ্যে।
দেখতে দেখতে চলে এলাম নুব্রাভ্যালি। শীতল মরুভূমি এই নুব্রাভ্যালি। সূর্য তখন পশ্চিমে ঢুলতে লেগেছে।ধুধু বালিয়াড়িতে দুই কুঁজ বিশিষ্ট উটের দল।
ওখানকারই স্থানীয় কিছু লোক বসে আছে উটেদের কাছে। কিছুটা এগিয়ে গেলাম বালিরাশির উপর দিয়ে উটের দলের কাছে।এবার উটের পিঠে সাফারি। উঁচু দুইকুঁজের মাঝখানে বসার জায়গা বলে ভয়টা কমই ছিল।একটা উটে একজন করে।নাতনী তার মায়ের সাথেই জায়গা করে নিলো।শুরু হোলো দুলে দুলে চলা।
আমি বরাবরই একটু আবেগপ্রবণ।ক্যামেল সাফারি করতে করতে গান করলাম জোরে জোরে “দিল হুম হুম করে ঘাবরায়ে” কেন জানিনা তখন ঐ গানটাই মনে এলো।কিছুটা ঘোরাঘুরির পর রওনা দিলাম নুব্রাভ্যালিতে আগে থেকে বুক করা গেস্টহাউজে।
হিমাঙ্ক হু হু করে নামছে।গ্রাম্য পরিবেশে এই গেস্ট হাউজ। বাইরে থেকে বোঝার উপায় নেই ভেতরটায় এতো সুন্দর বন্দোবস্ত। যাওয়ার সাথে সাথে গরম চা কফি। গীজারের গরম জলে হাত মুখ পরিস্কার করে সবাই চা কফির সাথে সামান্য খাবার খেয়ে সোজা লেপ কম্বলের তলায়।
এতো ঠান্ডা যে রুম হীটারে ঘর গরম হচ্ছে না।বাইরে তখন সন্ধ্যা শেষে রাতের পথে। তাপমাত্রা হু হু করে নামছে। খারদুংলা থেকে কিছুটা নীচে নুব্রাভ্যালি। তখন বাইরে তাপমাত্রা প্রায় মাইনাস দুই থেকে তিনের কাছে।

ডাইনিং রুমের দরজা দিয়ে একটু ফাঁক করে দেখি গেস্টহাউজের সামনে গাড়ির ভেতরে ড্রাইভার শোয়ার সরঞ্জাম ঠিক করছে আর আমার মন ছটফট করছে রাতের আকাশ দেখার জন্য।

ঐ ঠান্ডায় ইচ্ছটাকে চাপা দিয়ে সোজা বিছানায়।সকালে ঘুম থেকে উঠে ব্রাশ করে চা জলখাবার খেয়ে বেরিয়ে পড়লাম সব চাইতে আকর্ষণীয় জায়গা প্যাংগং লেকের উদ্দেশ্যে।

রাস্তার ধারে ধারে বরফ জমে।কিছু পথ যাওয়ার পর শুরু হোলো এক বিপদসঙ্কুল ধসপ্রবণ পথ।একমাত্র অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে এই রাস্তা দিয়ে যাওয়া যায় কারণ বর্ষাকালে এই পথ হরকা বান আর ধসের জন্য জল আর ছোট বড় পাথরে ভরে যায়।
দুদিকে পাহাড় আর মাঝখান থেকে যাওয়ার পথ।ছোটো বড় নুড়িপাথরের ভরা আঁকাবাঁকা পথ। এক অদ্ভুত অনুভূতি জেঁকে বসেছিল মনের ভেতরে। মনে হচ্ছিলো এ কোথায় আমি!! কেন জানিনা খুব মায়ের কথা আর যারা খুব কাছের মানুষ অথচ এই পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছে তাদের মুখগুলো চোখের সামনে ভাসছিল।
নির্জন পাহাড়ের গায়ে মনে হচ্ছিল তাদের উপস্থিতি।এক অদ্ভুত অনুভূতি সাময়িকভাবে ঘিরে ধরেছিল আমাকে।
চরম ঠান্ডায় কিছুটা নুড়িপাথরের মাঝখান দিয়ে পথ পেরিয়ে মসৃণ রাস্তা দিয়ে গাড়ি ছুটে চললো পাংগং লেকেল দিকে।সূর্য তখন ভালো ভাবেই উঠে পড়েছে পাহাড়ের মাথায়।
দূর থেকে দেখতে পেলাম আদিগন্ত বিস্তৃতি বাদামী রঙের হিমালয় পর্বতমালা।মাথায় বরফের চাদর আর তার আদর খেতে নীল আঁচল পেতে শুয়ে আছে পাহারের কোলে প্যাংগং লেক।

কাছে যেতেই দেখি জলের নরম স্রোতে তির তির করে বইছে শীতল জলরাশি। নীল আকাশের প্রতিবিম্ব জলের উপরে। একদম কাছের জলের রং স্বাভাবিক মাঝে এ্যকোয়ামেরিন তারপরে টারকোয়েজ একদম দূরে পাহাড়ের কোল ঘেষে ইন্ডিগো ব্লুবেরি।
সামনের জলের গভীরতা খুবই কম ।ঠান্ডা আর সবার শাসন কে উপেক্ষা করে জুতো মোজা খুলে জলে নেমে পনেরো ষোলো ফুট দুরে একটা পাথরের চাঁই-এর উপর বসলাম। কি মনোমুগ্ধকর অনুপম রূপ লেকের..আহা! যেন প্রকৃতি চিত্রকরের রূপ ধরে ক্যানভাসে ফুটিয়ে তুলেছে রংতুলি দিয়ে।
তার সব নীল রং ঢেলে দিয়েছে উজাড় করে! একটু জল জিভে ঠেকিয়ে দেখলাম নোনতা। সত্যিই লেহ-লাদাখ ভারতের এক অদ্ভুত নিদর্শন যেখানে বরফের মুকুট পরা বৈচিত্র্যময় পাহাড়, শীতল মরুভূমি,আবার নোনা নীল জলরাশির একই জায়গায় অবস্থান; ভারতের আর কোথাও আছে কি..!! আমি জানিনা।

ফিরতে মন চাইছে না। ঠান্ডা বরফজল পেরিয়ে আসতে গিয়ে দেখি একটা ছোট্টো চিংড়ি মাছ, ডান হাতের গ্লাভস খুলে ধরলাম। আমার কর্তাকে দেখাতেই বললো এটা দেখতে চিংড়ির মতো অনেকটা কিন্তু এটা একজাতীয় পোকা। হতাশ হলাম, হাসির খোরাকও হলাম নাতনী সহ সবার কাছে।
পাড়ে উঠে দেখি পায়ের পাতা গোড়ালি লাল হয়ে গেছে ঠান্ডায়। তাড়াতাড়ি পা মুছে জুতো মোজা পড়লাম। আরো কিছুক্ষণ থেকে থ্রি ইডিয়েটস সিনেমার লাষ্টসিনের স্পট টা ছুঁয়ে এলাম। নিজেকে করিনা কাপূর ভাবতেই ঠান্ডা হাওয়াতে চরম ধার অনুভব করলাম।


  1. আবার গাড়ি তে চেপে চললাম ফিরতি পথে চাংলা পাস দেখতে। সমস্ত পাহাড় জুড়ে বরফ রাশি।দুধসাদা বরফের উপর মাঝে মেঘের ছায়া। ফেরার পথে শান্তিস্তুপ আর মনেষ্ট্রি দেখে সন্ধ্যার মুখে ফিরলাম আবার লেহ তে।এসে ব্যাগ গুছিয়ে আটটার মধ্যেই রাতের খাওয়া সেরে যে যার মতো শুতে গেলাম।
    ভোরবেলায় গেস্টহাউজ থেকে বের হবার আগে রুম ক্রসচেকিং করলাম কিছু ফেলে গেলাম নাতো!!! এয়ারপোর্টে এসে মনে হোলো সত্যিই ফেলে এলাম অনেক কিছু, অনেক ভালোলাগা মুহূর্ত!
    ……………………………………………………………………

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *