#নারী_সৌন্দর্য_সম্পর্কে_সত্যজিৎ_রায় #নীল স্বপ্নীল রায়

#নারী_সৌন্দর্য_সম্পর্কে_সত্যজিৎ_রায়

#নীল স্বপ্নীল রায়
——————-
নারী পুরুষের মানবিক সম্পর্ক ,প্রেম,ভালোবাসা, মান অভিমান ,ঘৃণা, যন্ত্রণা তাঁর ছবিতে নানা ভাবে ধরা পড়েছে। তাঁর ছবির নারী চরিত্ররা জীবন্ত হয়ে উঠেছে বারে বারে। তাঁর মতে মেয়েদের আসল সৌন্দর্য কী ছিলো?

তিনি বলছেন————–

“আমার কাছে মেয়েদের সৌন্দর্যের রূপটি মূলত ইন্টেলেকচুয়াল।এক ধরনের #বুদ্ধিদীপ্ত_সৌন্দর্য-ও বলতে পার।অর্থাৎ আমার কাছে সৌন্দর্যটা পুরোপুরি দেহের ব্যাপার নয়।বুদ্ধির সঙ্গে তার সম্পর্কটা গভীর।

মেয়েদের যে গুনগুলো আমার বিশেষ ভালো লাগে সেগুলো #ইন্টেলিজেন্স_গ্রেস_আর_সফিস্টিকেশন ।

তার মানে এই নয় যে আমার ছবির সব মেয়েরাই কালচার্ড বা লেখাপড়া জানে। যেমন ধরো, অভিযান এর গুলাবি (ওয়াদিহা রহমান), কিংবা অরণ্যের দিনরাত্রি তে ওই সাঁওতাল মেয়েটি(সিমি),ওরা তো একেবারেই লেখাপড়া জানে না।ওদের মধ্যে কোনও রকম শহুরে সফিস্টিকেশনও নেই।কিন্তু ওদের ফিলিংস গুলো খাঁটি,জেনুইন।

এবং ওরা যেভাবে ভালোবাসা, প্রেম, ঘৃণার প্রতি একেবারে স্বাভাবিক ভাবে রেসপন্সড করে সেটা আমার খুব ইন্টারেস্টিং মনে হয়।

আর এই রেসপন্স এর মধ্যেই ওদের চরিত্রের সৌন্দর্যটা প্রকাশিত হয়।

আবার চারুলতার মতো মার্জিত, সেনসিটিভ মেয়ের সৌন্দর্যের মূল ব্যপারটাও কিন্তু ইন্টেলেকচুয়াল। চারুর সৌন্দর্যের অনেকটাই তার #মনের_ঐশ্বর্যের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে।

আমার ছবিতে চারুলতার মনটাকে যতটা পেরেছি খুলে দিয়েছি।

সেটা দেখাতে গিয়ে অমলের প্রতি তার অবৈধ প্রেমটাকে স্পষ্টভাবে বোঝাতে হয়েছে।অমলের প্রতি চারুর প্রেমটা অসামাজিক।কিন্তু তার মধ্যে দিয়েই চারুর মনের সৌন্দর্যটা প্রকাশিত হয়েছে।

সুতরাং সেটাও আমার কাছে সুন্দর।

আমার মনে হয় মেয়েদের সৌন্দর্যের অনেকটাই তাদের #ধৈর্য্য আর #সহনশীলতার মধ্যে মধ্যে ধরা দেয়।

মেয়েদের প্রেম, ভালোবাসা,বন্ধুতার মধ্যে তাই আমি #একটা_বেসিক_অনেস্টি দেখতে পাই।

মেয়েদের চেয়ে কোনো কোনো ক্ষেত্রে পুরুষেরা অনেক বেশি ভঙ্গুর।সেখানে মেয়েরাই পুরুষকে প্রটেক্ট করতে পারে।….

মেয়েদের #অন্তরের_সৌন্দর্য অনেক বেশি বিস্ময়কর যেখানে তার আসল সৌন্দর্য।

যা দিয়ে সে পুরুষকে প্রটেক্ট করতে পারে, অনুপ্রেরণা দিতে পারে।”

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *