#অন্তমপর্ব# #কৃষ্ণবর্ণ# কলমে-:মমতা শঙ্কর সিনহা(পালধী)

#অন্তমপর্ব#
#কৃষ্ণবর্ণ#
কলমে-:মমতা শঙ্কর সিনহা(পালধী)
রবীন্দ্রনাথঠাকুরের লেখা “কৃষ্ণকলি” ও ভগবানের “কালীকৃষ্ণ” বা “কৃষ্ণকালী” রূপের ব্যাখ্যা থেকে যদি সরে এসে বর্তমান পারিপার্শ্বিক সমাজের প্রেক্ষাপটে যদি “কৃষ্ণবর্ণ” রূপের ব্যাখ্যা করি তাহলে দেখব— আজ সমাজে এ স্যোসাল মিডিয়ার যুগে অনেকেই কৃষ্ণবর্ণ ও শ্বেতবর্ণের বিভেদ রোধে সরব হচ্ছে।বিভিন্ন কর্মে নিযুক্ত উচ্চশিক্ষিত রমনীরাও তাতে
যোগদান করেছেন। তারা অনেকেই বলেছেন তারা তাদের কৃষ্ণবর্ণ নিয়ে কোনো দুশ্চিন্তা করেন না।এই কৃষ্ণবর্ণ রূপেই তারা সাবলীল,স্বচ্ছন্দ ।তারা নিজ নিজ কর্মগুণেই এ সমাজে প্রতিষ্ঠিত। তারা সমাজে প্রতিটি নারী পুরুষ নির্বিশেষে বার্তা দিতে চাইছেন শিক্ষা,কর্মক্ষমতা,আত্ম প্রতিষ্ঠা তোমাকে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হতে সাহায্য করবে রঙরূপ নয়।কারণ সেটা সাময়িক আজ আছে কাল বয়স বাড়ার সাথে সাথে হবে ম্লান।কিন্তু আমাদের কর্মগুণেই আমরা সমাজের প্রতিটি মানুষের মনে বেঁচে রব।আত্মগুণ দিয়ে নিজে ও অপরকে বিচার কর ।অপরকেও বোঝাতে হবে এবং তাদের মধ্যেও এ শুভোবোধ জাগ্রত করতে হবে।
বেশ কিছুদিন আগে কোনো একটি সংবাদপত্রে দেখেছিলাম একটি রূপচর্চার প্রসাদনী প্রস্তুতকারক সংস্থা আজ বাধ্য হয়েছেন তাদের বিজ্ঞাপনের বার্তা পরিবর্তন করতে।তারা আগে তাদের বিজ্ঞাপনের বার্তায় দেখিয়ে ছিলেন ঐ রূপের প্রসাদনী ব্যবহার করলে কৃষ্ণবর্ণা হবেন সুশ্রী অপরূপা উজ্জ্বল ফর্সা রঙের অধিকারিনী।যেটা বাস্তব এর সাথে বড়ই অমিল এবং এর ফলে অনেক সময় অনেক কৃষ্ণবর্ণা রমনী নিজ রূপ নিয়ে হীনমন্যতার শিকার হয়েছেন।তাই রঙ,রূপ নয় নিজগুণে নিজেই বড় হতে হবে ও সকলকে বোঝাতে হবে গুণে,শিক্ষায় মানুষের মনে জায়গা করে নেওয়া যায়।বর্ণ বিদ্বেষ ভুলে সকলকে একত্রিত করে সব আসুরিক শক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে আজ।