#ভালোবাসার_মরশুম (২) সৌমেন দত্ত

#ভালোবাসার_মরশুম (২)

সৌমেন দত্ত

প্রিয় মানুষটিকে জড়িয়ে
তার শিরায় শিরায় মিশিয়ে ছিলে নিঃশ্বাসের উত্তাপ,
তবুও বুঝতেই পারো নি মানুষ কি চায়…!
মনখারাপের রাতে জড়িয়ে কখনও জানতে চেয়েছো,” কি গো,মুখটা অমন লাগছে কেন..? ”
কিম্বা ঘুম ভাঙা চোখে হঠাৎ করে জড়িয়ে ধরে বলেছো..” কি ভীষণ ঠান্ডা গো “।

হাজারো কাজের ফাঁকেও একটা ফোন দিয়ে বলুক,
” কি করছো,খেলে কিছু “,
একটু গা গরম হলেই কপাল ছুঁয়ে বলুক, ” একি!জ্বর তো, বলোনি কেন আমায়..?

সবাই চায় তার একটা প্রিয় মানুষ থাকুক, খুব কাছের,শুধুই নিজের,একমাত্র নিজের।
যে দূরে থাকলেও তার স্বর,ছোঁয়া যেন তাকে বারবার কাছে আগলে রাখে সযতনে।

ভুলে যায় জন্মদিনের রাতের সারপ্রাইজ,
ভুলে যায় প্রথম আলাপের ক্ষণ, ছোট বাপুজী কেক আর দেশলাই কাঠি হাতে,” কি রে এতো রাতে ভিডিও কল,হলো টা কি.?হ্যাপি বার্থ ডে টু ইউ ”
ওপারে থাকা প্রিয় মানুষটা আবেগে বানভাসি, ভালোবাসার সমুদ্রে উথাল-পাথাল ঠোঁটের কোণ।
ভুলে যায় প্রিয় রঙের অভিবাদন,
অর্থের ভীড়ে নিজ সারমর্ম ভুলে যায়।

প্রতিটি মানুষ চায় আগলে রাখার মতো বুক,আর দুটি হাত,
প্রতিটি মানুষ চায় তাকে কেউ প্রিয় চারা গাছটির মতো আগলে রাখুক চারপাশটা।

মন বড় অভিমানী, অল্পতেই সিন্ধু পাড় করে ফেলে,আবার অধিকেও বিন্দু খুঁজে পায় না।

সে চায় রাত জাগা চোখ দেখে মাথায় হাত বুলিয়ে কেউ বলুক,” ঘুমোও নি কেন..!,কিসের টেনসন..? আমি আছি তো,সব ঠিক হয়ে যাবে “।
একলা ছাদে দাঁড়িয়ে আনমনা হয়ে থাকলে কাঁধে হাত রেখে তাকে বলবে ,” কি ব্যাপার কি ভাবছো একা একা..?”

শুধুই মনে মনে ভাবি আমরা,সামনে নির্বাক নিরুত্তর, ভাবি সিনেমায় হয় এসব,পুষে রাখি রাগ অভিমান গোপনে,
দুরত্ব বাড়তে বাড়তে মুঠোর বাইরে কখন চলে যায়,নাগাল পেতেই আলোকবর্ষ পেড়িয়ে যায়।

সত্যিই মানুষ বড্ড আবেগী,
ভিতরের জমা সব রাগ অভিমান আবেগের আদরের চাদরে হারিয়ে যেতে চায়।বাঁচার হাজারটা কারণ খুজে পায়।

মনের ভিতর হাজার অঙ্কের হিসেব অব্যক্তই রেখে দেয়,
পুষে রেখে দেয়,
খাঁচার বাইরে থেকেও বিচ্ছিন্নতা আঁকড়ে বাঁচে।

 

সৌমেন দত্ত

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *