একটু অন্যরকম ভাবছি… ✒️✒️ কলমে : সাহানা

একটু অন্যরকম ভাবছি…

কলমে : সাহানা

“আমি তোমাকে ছেড়ে থাকতে পারব না”
–কথাটা আছড়ে পড়ল নিঃস্তব্ধতা ভেঙে। চমকে তাকালাম ইন্দ্রের দিকে। কি বলছে ও?
একটা ঘাসে প্রায় ঢেকে যাওয়া কালভার্টের ওপর আমরা বসেছিলাম। চারপাশে খোলা মাঠ আর সরষের খেত। হলুদ রঙের ছড়াছড়ি। সূর্যটা আকাশের পশ্চিমে ঢলেছে। কমলা-হলুদ-বেগনি রঙের খেলায় ফুলগুলো অপরূপ রূপ ধারণ করেছে। বইছে বাতাস।

ইন্দ্র আমার মুখের দিকে তাকিয়ে ছিল একদৃষ্টিতে। ওর বাদামী চোখের তারাগুলো হঠাৎ চকচক করল! কি যেন হচ্ছে ওর মনে!
ঝুঁকে পড়ে আমার হাতদুটো চেপে ধরল! এত জোরে যে রীতিমতো কষ্ট পেলাম! ও সেসব দেখল না।
–সত্যি করে বলো, আমাকে আর ভালো লাগে না, তাই না?
হাতটা প্রায় মুচড়ে যাচ্ছে। চোখে জল এল।
হঠাৎ ছেড়ে দিয়ে ঝরঝর করে কেঁদে ফেলল দুহাতে মুখ ঢেকে। আবার চমকে গেলাম আমি। ছেলেরা এইরকম কাঁদতে পারে বুক উজাড় করে! জানতামই না।
আরও অনেক কিছু জানতে বাকি ছিল আমার। আসলে রিলেশনশিপ নিয়ে চিন্তা না করেই জড়িয়ে পরা সম্পর্ক—ভাবনাচিন্তার অবকাশ নেই।
কথাটা বোঝা কিন্তু এত সহজ নয়!

শিল্পীর আসল পরিচয় সৃষ্টিতে। সেই কাজে অনেকরকম পরিস্থিতি আসে। শরীর আর মনের চাহিদা এক নয়, ক্ষেত্রবিশেষে একে অপরের পরিপূরক হয়!
এসব তত্ত্বকথার জন্য ইন্দ্র প্রস্তুত নয়। খুব সাধারণ মানুষ যে সে!

সরু মেঠো রাস্তা ধরে হাঁটতে থাকলাম। একটা লেখা লিখতে শুরু করলাম নিজের মত করে….
৹৹৹৹৹৹৹৹৹৹৹৹৹৹৹৹৹৹৹৹৹৹৹৹৹
মাঝে মাঝে মন্দ হতে ইচ্ছে করে
সব ভালোর ভিড়ে
মন্দ অনুভূতিগুলো
নিভতে নিভতে দপ্ করে জ্বলে ওঠে
একটা মন্দ হাওয়া বইতে থাকে
একটু উগ্র সুগন্ধী
খোলামেলা পোশাক
উন্মুক্ত দেহ
অনেক দূর থেকে কেউ একটা ছবি পাঠাচ্ছে
মস্তিষ্কের কোঠায়
তুমি বলেছিলে না
আমাকে নিয়ে বেড়াতে যাবে
একটা লং ড্রাইভ
উড়ো এলোমেলো হাওয়ায়
চুলগুলো যেন জটপাকানো শেকড়
কোথায় যাচ্ছি কেউ জানি না
অতল খাদের ধারে
সবুজ ঘাসের বুকে ডুবতে ডুবতে
তোমাকে জড়িয়ে ধরলাম
একটা বন্য ঘ্রাণ

দেখলাম তুমি হাতটা ধরে ফেললে
আলতো করে কপালে উড়ে আসা
এক কুঁচি চুল সরিয়ে ….
আমাকে স্থানু করে দিলে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *