#কবিতা : “#রংরুটের_শিক্ষা” (শিক্ষক দিবস উপলক্ষ্যে) #নীহার_কান্তি_মন্ডল

#কবিতা : “#রংরুটের_শিক্ষা”
(শিক্ষক দিবস উপলক্ষ্যে)
#নীহার_কান্তি_মন্ডল

মা-বাবাই জীবনের প্রথম শিক্ষা-গুরু,
তারপরে আত্মীয়-স্বজন প্রতিবেশী
এদের কাছেও শিখি কম-বেশী
আর শিক্ষক-শিক্ষিকার কাছেই
একাডেমিক শিক্ষার শুরু।

তারপর চেনা জানা শিক্ষার আঙিনা ছেড়ে
গতানুগতিক জীবনপথের প্রতি মোড়ে
বিচিত্র জীবনবোধের শিক্ষা চলে
সারাটা জীবন ধরে।

যেমন সেদিন ভীড়ের ট্রেন বনগাঁ লোকালে
যদিও কোথাও ছিল না তিল ঠাঁই
ভীড় ঠেলে কয়েকটি যুবা উঠে পড়ে
তাদেরই একজন আমার বুকের ‘পরে
ফলার মতোই কনুইটি তার
আঘাত করেই চলে বার বার।

হাত দিয়ে কনুইটা অল্প সরাতেই
শাসানির সুরে বলে ——
“বাড়াবাড়ি একদম নয়,
কথা বাড়ালেই হাইট তোমার
খাটো করে দেব ইঞ্চি আট/নয়”
তার মানে বেঘোরে যাবে
আমার গর্দানটাই!!!!

প্রতি রক্তবিন্দু প্রবল আক্রোশে ফোটে
শীতল হতেও সময় লাগে না মোটে
ওরা সংখ্যায় চার কি পাঁচ
এদিকে আমি ‘এক’
ঠাঁসা ভীড়ে বাকি সব নীরব দর্শক!!!!

তাই নির্দিষ্ট গন্তব্যে নেমে
নিজেকেই শান্ত করার চেষ্টা
ঘর্মক্লান্ত সন্ত্রস্ত
তখনও বইছে শীতল শোনিত স্রোত
বিধ্বস্ত শরীর-মন
খুঁজে ফেরে সান্ত্বনার বাণী —
অচেনা ওই যুবকদের না চিনি, না জানি
নয় তো ওরা আমার আপনজন কেহ
তবু ওদের কথার বিষে কেন অন্তর্দাহ?
ওদের অযাচিত অন্যায়ের বিচারের ভার
কেন নেব আমি?

সেদিন ওই যুবকেরা এক গভীর শিক্ষা দিল
নিকটেরা হানে যদি কভু কটু বাক্যবাণ
তাকেও মনে মনে দিতে হবে ওই যুবকের স্থান
যদিও কাজটা — সহজ নয় ততোটা
যতটা মনে হয়েছিল।

(ভেবে দেখো — নিকট-দূর কিংবা আপন-পর
সমাজেরই বেঁধে দেয়া নিয়ম-নিগড়
তবে কি সময় এসেছে আজ
প্রকৃত আপন-পর খোঁজার??)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *