এক থালাতেই ✒️✒️ দীপিকা ভট্টাচার্য সান্যাল

এক থালাতেই
দীপিকা ভট্টাচার্য সান্যাল

এক থালাতেই জমছিল বেশ দু থালাতেই ভাগ হোলো ভাত,
তিনটে থালা যেদিন এলো বাঙলা মায়ের কপালে হাত।
ছিলেন তবু মনের সুখে সন্তান দের আগলিয়ে–
চারটে থালা এলো যেদিন মারামারি শুরু ভাগ নিয়ে।
বাংলা আমার দুখিনি মা তাঁর চোখেতে ঝরিয়ে জল,
যতোই ভাবিস থাকবি সুখে মা ছাড়া সুখ কোথায় বল?
শষ্য শ্যামল সোনার ফসল বাংলা মায়ের আঁচলে–
সবার নজর লুঠতে সে ধন মায়ের দুঃখ রয় ভুলে।
যারা আমাদের অন্নদাতা আজকে তারাই অন্নহীন,
ছেঁড়া ত্যানা তাঁদের অঙ্গ আবরণ ছেঁড়া কাঁথায় কাটে রাতের হিম।
তবুও তারা নয়তো ভিখারি ভিখ মাগেনাতো কারো দ্বারে,
ক্ষমতার লোভে হয়েছো অন্ধ তাই ভিখ মাগো জনতা দরবারে।
সাবধান হও এখোনো সময় আছে দীন দুখি পানে চেয়ে দেখো,
নইলে মানুষ যদি বিদ্রোহী হয় সেদিন ক্ষমতা হবে ভূলুণ্ঠিত।
বাংলা মা আজ লাঞ্ছিতা নারী বাংলা মা আজ ধর্ষিতা,
তাই ধর্ষিতা মায়ের গর্ভে আসেনা আর কোনো দেশপ্রেমী দুহিতা।
স্বাধীনতা সংগ্রামী ছিল যতো জন ছিলনা তাঁদের কোনোই লোভ,
লড়েছেন তাঁরা স্বাধীনতা লাগি পরাধীনতা ছিল তাদের ক্ষোভ।
মাতঙ্গিনী-ক্ষুদিরাম-বিনয় – বাদল-দীনেশ এমন কতোই তরুণ প্রাণ,
দেশ মাতার মান রাখতে বাঁচিয়ে, বিসর্জন দিলেন নিজের প্রাণ।
নেতাজী সুভাষ ঘর ছাড়লেন মোছাতে মায়ের চোখের জল-
হাসিমুখে ক্ষুদিরাম গলায় ফাঁসি নিলেন এমন দেশপ্রেমী কোথা আছে বল?
আজ দেখি সব উল্টো নিয়ম, ভাবে আপনি বাঁচলে বাপের নাম,
হায় অভাগী বাংলা মাগো কবে ফিরবে তোর সেই সুনাম?
“””””””””””””

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *