সম্পাদকীয় কলমে… গীতশ্রী সিনহা।

সম্পাদকীয়

আমরা অনেকেই মনে করি, আমি লিখলে আমার লেখা প্রকাশিত হবে না। লেখা নিম্ন মানের হবে, পাঠককে আকৃষ্ট করবে না আমার লেখা, আবার এটাও ভেবে থাকি, ইচ্ছে থাকলেও কলম ধরা আমার দ্বারা সম্ভব নয় !
এমন অগ্রিম ভাবনা না ভাবাই ভালো। আমাদের লেখা পত্রিকায় প্রকাশিত হতেই হবে এমন তো কোনো কথা নেই ! আগে দেখতে হবে আপনার পাঠক আছে নাকি ! প্রযুক্তির যুগে ব্লগে লেখা যেতেই পারে, ফেসবুকে লেখা যেতেই পারে, পাঠকের ভিন্ন ভিন্ন মন্তব্যের সুত্র ধরে আপনার – আমার লেখা বিশ্লেষণের মাধ্যমে কখনো জায়গা পাবে বা কখনোবা পাবেনা ! সমালোচনা একটি লেখার পক্ষে খুবই জরুরি।
প্রতিটি বিষয়ের লেখার কিছু নিয়ম-কানুন আছে। লেখা মনোনীত তখনই হবে, লেখার শিরোনাম এবং বিষয়বস্তুর মেলবন্ধন সাবলীলভাবে প্রকাশিত হয় যেন। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই কিছু হতে গেলে মনসংযোগ এবং অধ্যাবসায় অত্যাবশ্যক। কোথায়ও লেখক তৈরির কারখানা আছে বলে জানা নেই আমাদের ! অনেক খ্যাতিমান লেখককে বছরের পর বছর তার প্রথম গ্রন্থের পান্ডুলিপি নিয়ে প্রকাশকের দুয়ারে-দুয়ারে ঘুরতে হয়েছে । উত্তর পেয়েছেন প্রায় একই রকম। এইভাবে দীর্ঘ আট বছর পর এক প্রকাশক তার লেখার গুরুত্বের জায়গাটি উপলব্ধি করতে পেরে তার বইটি ছাপেন। শুনতে হয়েছে লেখার মান নিম্ন, অলংকরণ দুর্বল, ভাষা – বর্ণনা ও বিশ্লেষণও আকর্ষণীয় নয়।
বছর পাঁচেক আগের পরিসংখ্যান অনুযায়ী তার এ বই ২০ লাখ কপিরও বেশি হটকেকের মতো মানুষ কিনেছে। কাসেম বিন আবু বাকার নামে একজন বাংলাদেশি ঔপন্যাসিককে চিনেছি, যিনি অল্পশিক্ষিত। তার লেখা প্রথম প্রেমের উপন্যাস ‘ফুটন্ত গোলাপ’।
‘বিষয়’নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, সমসাময়িক গুরুত্বপূর্ণ আলোচিত বিষয় নিয়ে লেখা অবশ্যই গ্রহণ যোগ্যতা পাবে। পাঠকদের একটি মেসেজ থাকবে, থাকবে ভাষার ব্যবহার ও শব্দচয়নে সতর্কতা।
আসুন এইভাবেই আমরা আমাদের ভাবনা কে তুলে ধরি নিজেদের অধ্যাবসায়ের মাধ্যমে। আজ এই পর্যন্ত। শুভকামনা রইল সকলের প্রতি।
সম্পাদকীয় কলমে… গীতশ্রী সিনহা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *