—দুঃসময়— সঞ্জয় কুমার কর্মকার

—দুঃসময়—
সঞ্জয় কুমার কর্মকার

জীবনের গন্তব্যে দুরূহ বাস্তবতা, নিরব হাহাকারে কষ্টগুলো শুধুই অপ্রকাশিত রয়ে যায়।

একমাথা বাতাস জুড়ে মৃদু সমীরণের আলস্যে বৈচিত্র্যের ছন্দতরঙ্গে জীবনটা কেবল ঈপ্সিত আরাধনা।

কোথাও অসমতল; কোথাও বা দুর্গম, কালের চাঞ্চল্যে কতোই তো মধুর অস্ফুট ধ্বনি।

নিঃসীম একাকিত্বে মরণের বাঁশি বাজে…
গোধূলির আকাশটা যেন আঁধার ভেঙে শত তরঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে।

দুঃসময়ের দিনগুলো সতত প্রতিকুলতার বিরুদ্ধে আত্মবিকাশের আর আত্মপ্রকাশ ও করেনা।

দুঃসাহসী জীবন বেপরোয়াদের মতন মহামন্বন্তরের সমকালে স্তব্ধই রয়ে গেলো।

দূরদৃষ্টিতা সাধনার সমস্ত ত্যাগগুলো অতীতের শ্রেষ্ঠ তালিকার প্রকাশগুলো থেকে অপরিণত ই রয়ে যায়।

মেঘাচ্ছন্ন আকাশ অর্ণব প্রান্তর জুড়ে,
দুহাত ভরে কতোই তো মগ্নতা ছিলো।

ইচ্ছে উল্লাসের সৌজন্যতা গুলোর মাঝে প্রাপ্য জীবনটা এখন কর্তব্যের মাঝে ভীষণই বিমূর্ত।

দৃঢ়হৃদয়ে কখনো সংহার মূর্তি, কখনো বা সৃষ্টির উল্লাসে ধ্বংসের তাণ্ডব।

লাস্য নৃত্যের মতন জীবন যে ভারীই ঘুরপাক….

জীবনের কোলাহলে কখনো আনন্দ কখনো বা কান্না, বেসুরো ছন্দে জীবনের তানপুরাটা বিচিত্র রূপের টানাপোড়েনে ছিন্ন হয়ে রয়।

সভ্যতার কীর্তিতে মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা চুরমার হয়ে শান্ত স্নিগ্ধ মূর্তির মতন ঔদার্য নিয়ে থাকে।।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *