নিবন্ধন **** কলমে : অশ্রু কণা দাস

বিষয় : বন্ধন
শিরোনাম : নিবন্ধন
কলমে : অশ্রু কণা দাস

প্রকৃতির রোষেই হোক বা আমাদের দুর্ভাগ্যক্রমে ২০২০, ২০২১ সাল মানব ইতিহাসে ভীষণ দুঃসময়। অভিশপ্ত কালের মধ্যে আমরা চলছি। লক্ষাধিক মানুষ চিরনিদ্রায় চলে গেছেন। লক্ষাধিক অসুস্থ, প্রচুর মানুষ কর্ম হারিয়ে অসহায়। তার ওপর আম্ফান-ইয়াসের মতো ঘূর্ণিঝড়, বজ্রপাত মানুষকে সর্বশান্ত করেছে। চারিদিকে হাহাকার, হতাশা আর অনিশ্চয়তা। এই দুঃসময়ের মধ্যে কারোর জীবনে ভালো কিছু সুখবরও এসেছে। কেউ সুখের সন্ধানও পেয়েছে। আমি সেই সুখবরের গল্পই এখন করবো।
২০২০ সালের নভেম্বর মাসে সুজাতা ও স্বপ্ননীলের জীবনে সুখের চাবিকাঠি খুলে যায়। স্বপ্ননীল টলিউডের একজন প্রতিষ্ঠিত ফটোগ্রাফার। সিকিম ও জলপাইগুড়িতে বাড়ি ও হোটেল বিজনেস আছে। চন্দননগরে পৈতৃক বাড়ি। বাবা ব্যাঙ্ক ম্যানেজার হয়ে রিটায়ার করেছেন এবং মা রিটায়ার্ড স্কুলশিক্ষিকা। একমাত্র বিবাহিতা বোন পুনেতে থাকে। সুজাতা ও স্বপ্ননীল এই লকডাউনের মধ্যে উভয়ের বাবা-মা ও বন্ধু-বান্ধবীর সহযোগিতায় রেজিস্টার ডেকে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। ভীষণ খুশির মহল। মা-বাবা চারজন জীবনের শেষপ্রান্তে দাঁড়িয়ে চরম শান্তি পেলেন। সবাই মিলে খাওয়া-দাওয়া, আনন্দফূর্তি করলো। তিনদিনের মধ্যে ছেলেদের নিয়ে স্বপ্ননীল ও সুজাতা জলপাইগুড়ির বাড়িতে বেড়াতে চলে গেল।
হ্যাঁ, অবশ্যই আমার লেখাটা কেমন যেন লাগছে, তাই না ? হানিমুনে যাবে, ছেলেরা কোথা থেকে আসলো! আসলে জীবনের গল্পটা অনেক আগেই শুরু হয়েছে।
সুজাতার গ্রাজুয়েশনের পর ওর বাড়িতে বিয়ের সম্বন্ধ দেখাশোনা শুরু করতেই সুজাতা তার পছন্দের পাত্রের কথা জানিয়ে দেয়। বাবা-মা প্রথমে রাজি না হলেও পরে পাত্রের বিবরণ জেনে এবং দেখে পছন্দ করেন। পাত্র সুবীর ঘোষ। শিক্ষিত, সুদর্শন। বর্ধমান শহরে নিজের স্টুডিও আছে। ফটোগ্রাফিতে সুনিপুণ এবং বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। বাবা রামানুজ বাবু ও স্বপ্না দেবী ছেলেকে নিয়ে দুর্গাপুরে স্টিল প্ল্যান্টের কোয়ার্টার্সে থাকে। রামানুজ বাবু স্টিল প্ল্যান্টে চাকরি করেন। হুগলীর প্রত্যন্ত গ্রামে আসল বাড়ি। জমি-জমা, পুকুর, অনেক সম্পত্তি আছে। সুজাতার বাবা মা হরিশ বাবু ও মনোরমা দেবী সব দেখেশুনে মেয়ের পছন্দের ওপরে আপত্তি করতে পারলেন না। উভয় পক্ষের সদিচ্ছায় মহা ধুমধাম করে সুবীর ও সুজাতার বিয়ে হয়ে গেল। বিয়ের পর দুর্গাপুরে স্বামী-শ্বশুর-শ্বাশুড়ি নিয়ে আনন্দে আছে। মাঝে মাঝে বর্ধমানে বাপের বাড়ি চলে আসছে। মাসখানেকের মধ্যে হানিমুনে সুইটজারল্যান্ডে গেল। ম্যানেজার ভদ্রলোকের ওপর স্টুডিয়োর দায়িত্ব দিয়ে দু-সপ্তাহ কাটিয়ে আসলো। ম্যানেজার ভদ্রলোকের কাজে খুশি হয়ে মাঝে মাঝেই ওনার ওপর দায়িত্ব দিয়ে বেড়াতে চলে যাচ্ছে। বেড়ানো ও ফটোশ্যুট করার একটা নেশা চেপে বসলো। পাহাড় – জঙ্গল – সমুদ্র কিছুই বাদ যায় না। কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর বেড়ানোর উদ্দেশ্য নিয়ে সারাবছর ঘুরে বেড়াচ্ছে। ধনী লোকের একমাত্র সন্তান। সন্তানের ইচ্ছার ওপর বাবা-মা কোনো আপত্তি করেন না। এইভাবে তিন বছরের মাথায় সুজাতা একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেয়। দুই বাড়ির সকলে খুশির আবহে ভেসে যাচ্ছে। কিন্তু সুবীরের বেড়ানোতে ভাঁটা পড়ছে না। সে তখন বন্ধুদের সাথে বেড়াতে বেড়িয়ে যাচ্ছে। সংসারের দায়িত্ব সে কোনোদিনই পালন করেনি, এখনো সে উদাসীন। সন্তানের আকর্ষণও সে অনুভব করে না। বেড়ানো নিয়েই ব্যস্ত থাকে। সুজাতা বুঝতে পারে সুবীর বন্ধু বান্ধব নিয়ে মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছে। ওর মা-বাবা ছেলের খুশিতেই খুশি, ছেলের দোষ-ত্রুটি তাঁদের নজরে পড়ে না। যাইহোক, এবার হুগলীর গ্রামের বাড়িতে রামানুজ বাবু মহা ধুমধাম করে নাতির অন্নপ্রাশন দিলেন। গ্রামের বাড়িতে ওনার দুই দাদা ও দুই ভাই থাকেন, তাঁরাই সম্পত্তি, জমি-জমা দেখাশোনা করেন। নাতির অন্নপ্রাশনে জেলে ডেকে পুকুরের মাছ ধরা, হালুইকর ডেকে রান্না, বিয়ান বসিয়ে মিষ্টি বানানো চললো। প্রায় একসপ্তাহ ধরে অনুষ্ঠান বাড়ি জমজমাট কাটলো। এদিকে স্বপ্না দেবী ও সুজাতা অনভ্যাসের কারণে গ্রামের পরিবেশে মানিয়ে নিতে অসুবিধা ভোগ করছে।
একদিন রামানুজ বাবুর ভাইদের সাথে গরম গরম বাকবিতণ্ডা হলো। যথারীতি ওরা বর্ধমানে সুজাতার বাপের বাড়িতে নাতির মামাভাত খাওয়ার অনুষ্ঠান সেরে দুর্গাপুরে ফিরলেন।
সুজাতার শ্বশুর শ্বাশুড়ির মধ্যে একটা চাপা দ্বন্দ্ব চলছে। যাইহোক, সবকিছু স্বাভাবিক হলেও সুবীরের কোনো পরিবর্তন নেই। ম্যানেজারের ওপর স্টুডিয়োর পুরোটাই ছেড়ে দিয়ে সে নেশায় মত্ত হয়ে গেছে। দেখতে দেখতে বাচ্চাটির জন্মদিন এসে গেল। সুজাতার বাবা-মা দুর্গাপুরে এসে নাতির জন্মদিন পালন করলেন একসাথে।
তখন সুজাতার বাবা সুবীর সম্বন্ধে তার বাবা-মা’কে কিছু বলতে চাইলে সুজাতা মানা করে। এতদিনে রামানুজ বাবু ছেলের আচরণে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। কিন্তু সবটাই এখন হাতের বাইরে চলে গেছে। বুঝতে পারছেন ছেলের চাহিদা ইচ্ছাপূরণ করতে করতে ছেলেকে খাদের দিকে এগিয়ে দিয়েছেন। অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি হয়ে গেছে।
রামানুজ বাবু যথারীতি অফিস – বাড়ি করছেন। একদিন সন্ধ্যে বেলা একটা অচেনা নম্বর থেকে ফোন আসে। ওপার থেকে বলছেন, ” আপনারা মিশন হসপিটালে চলে আসুন। রামানুজ বাবু অসুস্থ। ” বাড়িতে সুজাতা ও স্বপ্না দেবী বাচ্চাটিকে পাশের ঘরে রেখে হাসপাতালে ছুটে যায়। সুবীরকে খবর দেওয়া হলো। ওরা হাসপাতালে এসে জানতে পারে রামানুজ বাবু আর নেই। সিবিক হার্ট অ্যাটাক। বাড়ি ফেরার সময় রাস্তায় পড়ে যান স্কুটার থেকে। লোকজন রাস্তা থেকে তুলে হাসপাতালে নিয়ে আসে, কিন্তু রাস্তাতেই তাঁর মৃত্যু হয়ে যায়। পরিবারের ওপর আকাশ ভেঙে পড়ল। সুবীর আসতে বেশ দেরি হলো। ঘন্টা চারেক পর হাসপাতাল থেকে শশ্মানে নিয়ে দাহ করে সুবীর বাড়ি ফিরল। শোকাচ্ছন্ন দিশেহারা পরিবেশ। স্বপ্না দেবী ঘরের কাজ, রান্নাবান্না ছাড়া কিছুই বুঝতেন না। মাসতিনেকের মধ্যে অফিসের পাওনা সব টাকা পয়সা পেয়ে গেলেন সাথে কোয়ার্টার ছাড়ারও নোটিশ পেলেন। নিজস্ব বাড়ি বলতে হুগলীর গ্রামের বাড়ি। অনুপায়ী স্বপ্না দেবী ছেলে-বৌমা-নাতিকে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে উঠলেন। গ্রামের বিষয়-সম্পত্তির খোঁজ খবর ওনারা রাখতেন না। ভাইরা বছরে কিছু টাকা দিতেন। তাতেই খুশি থাকতেন এবং খরচও করে ফেলতেন। গ্রামের পরিবেশ উনি কোনোদিনই মেনে নিতে পারেননি। সংসারে ভাসুর, দেওর, জা’য়েদের খারাপ ব্যবহার ও বিভিন্ন রকম কথা শুনতে শুনতে স্বপ্না দেবী অসুস্থ ও মানসিকভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়লেন। সুজাতা কষ্টসাধ্য অনেক কাজ করে পরিবেশ মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু সুবীরের পরিবর্তন নেই। ওর হেরোইন নেশার খরচ চালাতে অল্প দিনেই জমা টাকা খরচ হয়ে গেল। সুজাতা অনেক চেষ্টা করেও সুবীরকে স্বাভাবিক জীবনে আনতে পারছে না। সে সব দুঃখ তার ইষ্ট দেবতা বালগোপালকে জানায়। বালগোপালকে আঁকড়ে ধরে নিজের সন্তানের জন্য বেঁচে আছে। এর মধ্যে স্বপ্না দেবী একপ্রকার বিনা চিকিৎসাতেই মারা গেলেন।
এবারে একপ্রকার জোর করেই সুজাতার বাবা তাকে ও তার ছেলেকে বর্ধমানের বাড়িতে নিয়ে চলে আসলেন। আগেও অনেকবার আনতে চেয়েছেন কিন্তু সুজাতা আসেনি। এবারে শ্বাশুড়ি মারা যাওয়ার পর সুজাতা ছেলের ভবিষ্যৎ ভেবে ওর বাবার বাড়িতে চলে আসলো। সাথে ও বালগোপালকে নিয়ে আসলো। বর্ধমানের স্টুডিও আর সুবীরের নেই। ম্যানেজার ভদ্রলোক নিজের করে নিয়েছে।
সুজাতা নিজের লড়াই নিজে করতে চায়। স্বামীর প্রতি দায়িত্ব-ভালোবাসাও তার যথেষ্ট আছে। এখানে এসে সেলাইয়ের কাজ, টিউশন পড়িয়ে যা কিছু রোজগার করে, সুবীরের কাছে গিয়ে ওকে ভালোমন্দ খাইয়ে আসে। কিন্তু দিনদিন সুবীর নিজের জীবনটা নষ্ট করে ফেলেছে। সুজাতা চিকিৎসার ব্যবস্থা করলে ধরা পড়ে লিভার ক্যান্সার। তিনমাসের মধ্যেই সুবীর মারা যায়। গ্রামের বাড়িতে শ্রাদ্ধশান্তি করে ফিরে আসলো। এবার নিজেকে একটা নতুন রূপে প্রকাশ করল। ছেলেকে মানুষ করতে হবে, মা-বাবার প্রতি দায়িত্ব পালন করতে হবে, অনেক চেষ্টা করে একটা প্রাইভেট স্কুলে চাকরি নিল। ছেলেকে ভালো স্কুলে ভর্তি করলো। বাচ্চার যত্ন, কৃষ্ণের ভজন-পূজন, বাবা-মা’র প্রতি কর্তব্য নিপুণ ভাবে করে চলেছে। কঠিন সাধনার মধ্যে দিয়ে সুজাতার জীবনের লড়াই চলছে। ইতিমধ্যে প্রত্যেক বছর ভালো রেজাল্ট করে, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশ করে গ্রাজুয়েশন করছে সুজাতার ছেলে সৌনক। সৌনকেরও বাবার মতো ফটোগ্রাফির সৌখিন। ২০২০-র মার্চ মাস থেকে লকডাউন শুরু হয়ে গেল। ঘরে বসে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে পুরোনো বন্ধু বান্ধবীদের খুঁজে বের করে সকলে ভালোই সময় কাটাচ্ছে। সৌনকও ফেসবুকের মাধ্যমে মায়ের বন্ধু-বান্ধবীদের সাথে যোগাযোগ করিয়ে দিল। ২০২০-র দুর্গাপূজার সময় সবাই প্ল্যান করে চন্দননগর স্ট্র্যান্ডে খাওয়া দাওয়া – গল্প – আড্ডার ব্যবস্থা করলো। কোনো কারণবশত বর্ধমান থেকে সুজাতা আসতে পারেনি। সুজাতার কথা উঠতেই ওর নিকট বান্ধবী গিতালী সুজাতার জীবনে ঘটে যাওয়া এতগুলো বছরের অজানা গল্প সবাইকে বললো।
এদিকে স্বপ্ননীলও আসতে পারেনি। ওরও কাজকর্ম বন্ধ। একমাত্র ছেলে ও বৃদ্ধ বাবা-মা’কে নিয়ে ঘরবন্দি। ওর ছেলে ক্লাস এইটে পড়ে। স্বপ্ননীলকে একজন ফোন করে ডাকলো। কিন্তু ওর মা অসুস্থ সেই কারণে ও আসতে পারছে না। শিবপ্রসাদ স্বপ্ননীলের বাড়ির কাছেই থাকে। ও বললো চার বছর আগে স্বপ্ননীলের বউ মহুয়া ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় মারা গেছে। সাংঘাতিক খারাপ সময়ের মধ্যে স্বপ্ননীলের জীবন চলছে। সারাদিন হৈ হুল্লোড় করে কাটিয়ে যে যার বাড়ি ফিরে গেল। কিন্তু শ্যামলীর মাথায় একটা কথা ঘুরপাক খাচ্ছে। সে তার স্বামীকে প্রথম মনের কথাটি বললো। সুজাতা আর স্বপ্ননীলকে যদি একসূত্রে বেঁধে দুটো জীবনকে কি করে পরিপূর্ন করা যায় তা নিয়ে গ্রুপের অনেকের সাথে আলোচনা করে। বেশি দেরি না করে দুই বান্ধবী ফোন করে বর্ধমানে সুজাতার বাড়ি পৌঁছে গেল। বিভিন্ন কথাবার্তার মধ্যে সুজাতাকে আসল কথা বলে ফেলল। সুজাতা ” অসম্ভব ” বলে এড়িয়ে গেল। কিন্তু বাবা-মা খুব উৎসাহ নিয়ে পাত্রের বিবরণ শুনে আগ্রহী হন। এমনকি কলেজে পড়া ছেলের মাথাতেও এরকম কিছু ঘুরছিল, কিন্তু বাস্তবে কি করে সম্ভব এটা বুঝে উঠতে পারছিল না। যখন ব্যাপারটা ওকে বলা হলো ও তো মহা খুশি। এবার বান্ধবীরা জোর করে সুজাতাকে রাজি করালো। সুজাতা কলেজে পড়ার সময়ই স্বপ্ননীলকে চিনত।
ব্যস, এবার স্বপ্ননীলের বাবা-মা’কে সুজাতার কথা বলতেই ওনারা যেন একটু সজীব হয়ে উঠলেন। সাথে রাজিও হয়ে গেলেন। স্বপ্ননীল তো বিয়ে করতেই চেয়েছিল। এই ধরণের পাত্রীই তার চাহিদাতে ছিল।
অগ্রহায়ণ মাসের শুভ দিনে উভয় পক্ষের বাবা-মা, ছেলেদের বন্ধু ও নিজেদের বন্ধু-বান্ধবীদের নিয়ে ঘরোয়া পরিবেশে রেজিস্টার ডেকে সুজাতা ও স্বপ্ননীল দ্বিতীয় বার বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলো। তারপর সুজাতা, স্বপ্ননীল, সৌনক ও সম্রাট ( স্বপ্ননীলের ছেলে ) সাথে বালগোপালকে নিয়ে জলপাইগুড়ির বাড়িতে বেড়াতে চলে গেল। ২০২১- এ বর্ষবরণের আগে চন্দননগরের বাড়িতে ফিরে আসলো। এখন চারজন বয়স্ক বাবা-মা নিশ্চিন্ত হলেন জীবনের শেষপ্রান্তে এসে। দুটি ছেলে খুব খুশি বাবা মা ও ভাই পেয়ে। নতুন করে ওদের এই বন্ধন সুন্দর ও সফল হোক এই কামনা করে শেষ করছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *