ত্রিশঙ্কু না ত্রিভূজ? — অঞ্জনা চক্রবর্তী

ত্রিশঙ্কু না ত্রিভূজ?
অঞ্জনা চক্রবর্তী

গৃহদাহ না ঘরে বাইরে? আয়ান ঘরণী কৃষ্ণ প্রেমে?
কেন করেছিল অহল্যা, আহ্বান দেবরাজ ইন্দ্রের?
চোখ রাঙানী সামন্ততান্ত্রিক সমাজের?

মন কে কি আটকে রাখা যায়? বেড়ি পড়ানো আষ্ঠেপৃষ্ঠে নিঃস্ব ক্ষুধায়!
শূণ্যতা থেকে সৃষ্টি হয় শূন্যস্থান পূরণ ,কাল নির্ধারণ..
অমিত হাত ধরেছিলো লাবণ্যের সেই শিলং পাহাড়ের কুয়াশাচ্ছনতায়
কলকাতার কেটির কাছে তা অপ্রকাশিত নয়
মানুষ বোধহয় কেনা যায় না ,
কেউ যে কারোর একচেটিয়ার অধিকারে নয়…

খানিক সমঝোতা ;কখনো কখনো অর্ধেক পাওয়া
বা হিসেবের খাতা খুলে নিজের ভাগ বাটওয়ারা __
সবাই যে আমরা একটু ভালো থাকতে চাই |
বহুগামী মানুষ স্বার্থপরতায় প্রকাশ্যে বা গোপনে প্রেম খুঁজি
অন্তরে
তা খানিক অবৈধ সামাজিক রাংতায় |

ত্রিশঙ্কু… মাঝে ঝুলে নাই বা হলাম স্যান্ডউইচ ;
ত্রিভূজ যদি আঁকতে পারি, কারো ক্ষতি না করি
তবে নিজেও ভালো থাকতে পারি
প্রেম ও যে বিলাতে পারি…পরকে আপন ভেবে
আপন ও যদি আবদ্ধ , নয় অবহেলায় —
মনের খোরাক পরকীয়ায় |
নতুন সামাজিক নিয়ম ;তুমি দাদা বলে থাকো বাহুবন্ধনে
দিদিভাইও আদর্শ স্ত্রী সেজে দাদার সাথে যায় হোটেলে |
সুখের খোঁজে ঘোড় দৌড় ;
যেমন বৈশাখীর স্বামী শোভন বাবুকে “বন্ধু ‘বলেন হাসি মুখে | এক রঙের পোশাকে..

আমার গাড়ির চালক, নাইম ;এক বাড়িতে দুই স্ত্রী রাখেন |
সুন্দর ত্রিভূজে ত্রিকোণ প্রেম, সংসার, নেই খারাপ লাগা
বা দুঃখ প্রকাশ |
হয়তো এঁরা জানে নতুন জীবন দর্শন , যাকে ছুঁবি তাকে ছোঁ
“স্রেফ তুম ভি আচ্ছে রহো | মুঝে ভি জিনে দো “|

প্রত্যাশা নয়… অভিমান নয়… আকাঙ্খা নয় … অভিযোগ নয়.. আলিঙ্গনে ছাড়পত্র
শুধু যোগাযোগ…. একটা চুক্তি, তিনটে বিন্দুর সংযোগ! একটি ত্রিভূজ আকৃতি, প্রেম অমোঘ |

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *