—অসহ্য স্মৃতি — # সঞ্জয় কুমার কর্মকার#
—অসহ্য স্মৃতি —
# সঞ্জয় কুমার কর্মকার#
আজ আর কোনো উপলব্ধি নয়, হৃদয়ে ভীষণ বিভীষিকা,আমৃত্যু বেঁচে থাকি এই মরলোকে, দুরূহ জীবন আছন্ন জমে থাকা মেঘের মতন অনাবৃত করে তোলে এই উদ্ভাসিত বাতায়ন।
কী যে দুর্দৈব এলো, অবমানিত বিচ্ছেদ বন্ধনে ও জীবন রুদ্ধ হয়ে গেলো।
দ্যাখো আজ নিশিগন্ধার ও সুগন্ধি নেই, যেখানে ব্যপ্ত রঙের বাহার নেই, ঐশ্বর্য ও ঐতিহ্যের নির্লিপ্ত নিরপেক্ষ যন্ত্রণার সনির্বন্ধে ফিরে আসে কতোই অসহ্য স্মৃতি।
হতাশার আঁধারে মনুষ্যত্বের মানবতা আজ পীড়িত বন্ধনে থাকে,ক্ষনকালের আশায় শুধুই বেঁচে থাকার আশা, স্বপ্ন বুননে করে যায় আগামীর পথচলা।
স্পর্শে মুক্তির হেতু জাগো হে পবিত্র গঙ্গা,আত্ম গমন করে ছোট্ট ছোট্ট ধারায় এসো,নব ছন্দে নিস্তব্ধতার আঁধার দিয়ে প্রকৃতির অমোঘ নিয়মে সুখ দিয়ে যাও।
কতোই মৃত্যুর যে বিসর্জন হলো,এবার সশ্রদ্ধ চিত্তে এসে এই মনুষ্য মরলোকের গৌরিক মাটিতে তুমি সহৃদয়ে আসো হে ত্রিপথগামিনী।
আমৃত্যুর পথে আর ঈপ্সিত নয়, প্রাণের অন্তরপ্রাণে স্পর্শ করে যাও।
বৈভবের আনন্দে কতোই মগ্ন ছিলাম, গুচ্ছ গুচ্ছ জীবনের কতোই অহর্নিশি স্মৃতির অচিরেই মুছে গেলো…
সৌন্দর্যের বিমোহিত মুহূর্তেই অসদয়ের বার্তা বয়ে ভয়ার্ত হৃদয়ে এক বিষণ্ণ প্রকৃতির রোদন চলে আসে,মহামায়ার দৃঢ় শান্ত প্রসন্নে জলস্রোতের মাঝে তুমি বিরাজ হও, রিক্ত হস্তে নির্মূল করো প্রিয় মাতৃভুমির এই স্বাভিমান।