সম্পাদকীয় কলমে। গীতশ্রী সিনহা ।

সম্পাদকীয়

এই – যে দেশ জুড়ে ভাঙনের সময়, কঠিন অসহিষ্ণুতা। পচা এক সময়ের শিকার অসহায় সামাজিক মানুষ। নেতা পুলিশ কোটিপতির অশুভ ত্রয়ী সিঁধ কাটছে আমাদের ব্যক্তি জীবনে। উপড়ে ফেলছে, কেড়ে নিচ্ছে আমাদের বেঁচে থাকার স্বাধীনতা… শেষ সম্বলটুকুও।… এই সমস্তের প্রতিফলন তেমনভাবে সাহিত্যে কোথায় ! কারো কারো লেখায় সামান্য ইঙ্গিত থাকলেও, সেসব আধুনিকতার নামে বড় বেশি বিষয় ধর্মী। সময় – জীবন – চেতনায় ঋদ্ধ বস্তুমুখিন চিন্তার প্রকাশ কোথাও নেই। অথচ বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসের ধারা পর্বতের মতো ভারি বললেও অত্যুক্তি হয়না।
এসো কলমকে হাতিয়ার হিসেবে গর্জন করি একত্রিত।
আজ ছোট্ট করে একটু সম্পর্কের কথায় না এসে পাচ্ছি না… মনে হচ্ছে খুবই প্রাসঙ্গিক হবে।
সম্পর্ক নির্ভরশীল হয় মিলগুলোকে উপলব্ধি করে, অপরদিকে অমিলগুলোকে সম্মান করে। বলতে চাইছি সম্পর্কের মানুষকে একা হতে দেবেন না, পাশে থাকুন। কষ্ট কে বাস্তব জীবনে নিয়ে সামনের দিকে এগোতে হবে। পৃথিবীর সবচেয়ে দুর্বল স্থান হলো মন, আর সবচেয়ে দুর্বল অস্ত্র ভালোবাসা।
কাগজে – কলমে কোনো সৌন্দর্যের যথাযথ ব্যাখ্যা করা নেই, সৌন্দর্যের মুখোমুখি গিয়ে যদি সত্যিই দাঁড়াতে হয় প্রিয় মানুষদের বা কাছের মানুষদের সৌন্দর্যের তারিফ করে তাদের সুখি এবং তৃপ্তিদায়ক মুখ । অথচ আমরা অযথা কলহ কুৎসা রটনা করে বৃথাই নিটোল নিপুণ সম্পর্কের গোঁড়ায় জল ঢেলে সাজানো গোছানো সম্পর্ক কে উপড়ে ফেলি ! ভালোবাসাহীনতা গ্রাস করছে আমাদের জীবন পথকে।
বিশ্বাস জীবনকে গতিময়তা দান করে, সেই বিশ্বাস আমরা পরস্পরের প্রতি হারাতে বসেছি। তাই জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। মুখের কথার সাথে হাতের কাজের সামঞ্জস্যতা থাকলেই মানুষ একে ওপরের প্রতি বিশ্বাসী হয়ে উঠবে, এবং সাথে সাথে সম্পর্কের গভীরতা বাড়বেই।
আজ এই সংকটময় মুহূর্তে এসো সবাই ভালোবাসায় থাকি, হাতটা বাড়িয়ে রাখি অপরের দিকে, অপরের কল্যাণের দিকে।
চাঁদ কে ভালোবাসি রাত পর্যন্ত ,
সূর্য কে ভালোবাসি দিন পর্যন্ত,
ফুল কে ভালোবাসি সুগন্ধ পর্যন্ত,
কিন্তু আমরা পরস্পর কে ভালোবেসে যাবো আমাদের শেষনিঃশ্বাস পর্যন্ত …
জানি না আজ কেন সম্পাদকীয় কলমে এমন হাল্কাপল্কা কথা লিখলাম, হয়তো-বা পরিস্থিতির শিকার !
এবার একটু কাজের কথায় আসি, আমাদের প্রথম সংখ্যা থেকে ” সুচেতার রান্নাঘর “Dinajpur Daily বিনোদন বিভাগীয় পোস্টে আছে, এইসংখ্যায় বর্তমান পরিস্থিতির জন্য উপস্থিত থাকতে পারেনি বলে পুরনো একটি পোস্ট দিলাম সুচেতার অনুমতি নিয়ে।
এবার পেলাম না Koyeli ভ্রমণ কাহিনী, প্রথম সংখ্যা থেকে আছে আমাদের সাথে, তার বদলে ওর দিদি আমাদের ভ্রমণ কাহিনী দিয়েছে, তার অনুমতি নিয়ে। এসবই আমাদের উপরি পাওনা মনে করি।
আর একটি কথা, এই সংখ্যায় সংযোজন হলো হিন্দি কবিতা, আমার খুব প্রিয় বন্ধবীর, সে পেশায় ডাঃ। এইভাবেই এগিয়ে চলবো আমরা মহাসমারোহে।

ভালোবাসা শুভকামনা শুভেচ্ছা রইল সকল পাঠকবর্গের প্রতি, শুভেচ্ছা রইল লেখক কবিদের প্রতি।
গীতশ্রী সিনহা । সম্পাদকীয় কলমে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *