একটি মনোযোগী অধ্যায়ন … ” চকাচকী “

একটি মনোযোগী অধ্যায়ন … ” চকাচকী “

কোথাও পড়েছিলাম, সতীনাথ ভাদুড়ী ছিলেন লেখকদের লেখক। আমি নিজেও এমনটিই মনে করি। আজ আর ঠিক মনে পড়ছে না, একটু -আধটু সাহিত্য চর্চার শুরুতেই , কাছের মানুষরা বলেছিলেন , কমল কুমার মজুমদার, সতীনাথ ভাদুড়ী, জগদীশ গুপ্ত, অমিয় ভূষণ মজুমদার খুব মন দিয়ে পড়তে। পড়েছি, আর মনে হয়েছে, এঁরা সকলেই লেখকের লেখক। হ্যাঁ, বলা বাহুল্য তারও আগে আমার মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়, তারাশঙ্কর, সবটা নাহলেও খানিকটা পড়া হয়ে গেছে। কিন্তু উপরিউক্ত চার লেখকের লেখা যখনই পড়েছি, এঁদের স্বকীয়তা, রচনা শৈলি আমাকে বারবার নতুনভাবে চিন্তামগ্ন করেছে। তাই আজ যখন এরকম একটি লেখার কথা ভাবনায় আসে… সতীনাথ ভাদুড়ীর ” চকাচকী ” গল্পের নিবিষ্ট পাঠের মর্ম উদঘাটন করতে চেষ্টা করছি।
হয়তো-বা আমার ধৃষ্টতা, তবুও ইচ্ছে জাগে নিজের মতো করে চেষ্টা করতে।
“চকাচকী ” প্রকাশিত হয়েছিল দেশ ( ১৫ই শ্রাবণ, ১৩৬১) পত্রিকায়। অর্থাৎ ঐ সময়ের লেখা। ঐ সময়টাতে ছিল বাংলা কথাসাহিত্যের উজ্জ্বল দীপ্ত নক্ষত্রদের সহবস্থান। কল্লোল – কালিলকম গোষ্ঠীর কবি লেখকেরা তো ছিলেনই, সেই সঙ্গে ছিলেন বিভূতিভূষণ, মানিক, তারাশঙ্কর -এই তিন বন্দ্যোপাধ্যায়। এরকম এক স্বর্ণযুগে সতীনাথ ভাদুড়ীর লেখকদের লেখক হয়ে ওঠার কাজটা তত সহজ ছিল না। কিন্তু হ্যাঁ, তিনি ছিলেন এক স্বতন্ত্র মেজাজের লেখক। ফরাসি সাহিত্যে ছিল তাঁর অগাধ পান্ডিত্য। সে-সব তাঁকে স্বতন্ত্র মেজাজের মননশীল লেখক হয়ে উঠতে সাহায্য করেছিল। বিষয় নির্বাচন ও বোধের স্বতন্ত্র তাঁকে করে তুলেছিল অনন্য।
১৯৪৫ থেকে ১৯৬৫… এই একুশ একুশ বছরের সময়সীমায় প্রকাশিত হয়েছে সতীনাথের সমস্ত উপন্যাস ও গল্পগ্রন্থ । যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য জাগরী, ঢোঁড়াই -চরিতমানস, অচিন রাগিনী, সংকট, দিগভ্রান্ত, গণনায়ক, চকাচকী ইত্যাদি।

ক্রমশ চলবে…

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *