সম্পাদকের কলমে কিছু কথা–গীতশ্রী সিনহা। সম্পাদক বিনোদন বিভাগ
![](https://www.dinajpurdaily.com/wp-content/uploads/2020/11/89389819_2649856331967965_5549305150402723840_n.jpg)
সম্পাদকীয়
গীতশ্রী সিনহা। সম্পাদক বিনোদন বিভাগ।
সম্পাদকীয়
কনকনে শীতে উৎসবের মেজাজ… অন্যান্য বছরের থেকে হাল্কা, তাও যেন এক রঙিন আচ্ছাদিত বাতাস বইছে বিস্তীর্ণ দুনিয়া জুড়ে। রাত পোহালেই এক রহস্য চরিত্রের আবির্ভাব প্রতি ঘরে ঘরে… শিশুদের মিটিমিটি চোখে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে স্বপ্ন ঘোর।
কিন্তু কে এই সান্তা ? কোথা থেকে এলেন? সান্টাক্লজ ( ইংরেজি, Santa Claus) পাশ্চাত্য সংস্কৃতির একটি কিংবদন্তি চরিত্র। তিনি সেইন্ট নিকোলাস, ফাদার খ্রিষ্টমাস, ক্রিস ক্রিঙ্গল বা সাধারণভাবে ” সান্টা ” নামে পরিচিত। প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, তিনি খ্রীষ্টমাস ইভ সন্ধ্যায় ও মধ্যরাতে শিশুদের বাড়ি বাড়ি ঘুরে উপহার দিয়ে থাকেন। এই কিংবদন্তির উৎস ঐতিহাসিক চরিত্র উপহার প্রদানকারী সেন্ট নিকোলাসের জীবন সংক্রান্ত সন্ত জৈবনিক উপাদানসমূহ।
গ্রিক ও বাইজানটাইন লোক কথাতেও বাসিল অফ সিসেরিয়া সংক্রান্ত একই প্রকারের একটি কিংবদন্তি উপাখ্যান বর্ণিত হয়েছে।
সেন্ট নিকোলাসের প্রকৃত চিত্রটি ছিল এক বিশপের আলখাল্লা পরিচিত সন্তের চিত্র। কিন্তু আজকের সান্টাক্লজ সাধারণত হন কোনো স্থূলকায়, হাস্যমুখর এবং সাদা গোফ দাড়িবিশিষ্ট ব্যক্তি। পরনে সাদা কলার ও কাফ যুক্ত লাল কোট, লাল ট্রাউজার্স, কালো চামড়ার বেল্ট ও বুটজুতো। ঊনবিংশ শতাব্দীতে বিশিষ্ট ক্যারিকেচারিস্ট ও রাজনৈতিক কার্টুনিস্ট টমাস নাস্টের প্রভাবে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় সান্টাক্লজের এই রূপটি জনপ্রিয়তা লাভ করে। এই রূপকল্পের প্রচার ও তার জনপ্রিয়তার প্রসারে সহায়তা করে একাধিক গান, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র। যুক্তরাজ্য ও ইউরোপে সান্টাক্লজের রূপটি আমেরিকান সান্টার মতো হলেও এই অঞ্চলে তিনি ফাদার খ্রিষ্টমাস নামেই সমধিক পরিচিত।
বড়দিন মানেই রকমারি কেক, ক্রিসমাস ট্রি, পিকনিক সাথে রকমারি গরম পোশাকের সম্ভারে রোদেলা দিনের খুশি খুশি ঘোরাঘুরি… অবশ্যই বছর শেষের আহ্লাদিত আকুতি। দোকানে দোকানে বড়দিনের শুভেচ্ছা শুভকামনায় রঙবেরঙের কার্ড উপহার বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে, কিন্তু ইন্টারনেট দুনিয়ায় আগের প্রচলিত প্রথা লুপ্তপ্রায়… হাসিমুখে মেনে নিতে শিখে গেছি আমরা… আজ আমরাও যে আধুনিক !
এবার একটু কাজের কথায় আসি। আপনাদের / তোমাদের Dinajpur Daily ওয়েবসাইট ম্যাগাজিন সাবলীল সুন্দরভাবে এগিয়ে চলেছে প্রশস্তপথ ধরে, সফলতা আসুক, আলোকিত হোক কবি সাহিত্যিকদের সহযোগিতায়। উজ্জীবিত হয়ে চলেছি প্রতিটি সংখ্যায় । এ যেন এক সাহিত্য সংস্কৃতির চালাঘর।
এই সংখ্যা রেখেছি, একলাইনের কবিতা, লিখেছে কোজাগরী। আগামী সংখ্যায় তোমাদের ভালো লাগলে দিও। আসলে তোমারাই আমাদের / তোমাদের পাঠক এবং লেখক, তাই আমাদের স্বাধীনতা আমাদেরই হাতে।
আনন্দময় ক্রিসমাসের শুভেচ্ছা ভালোবাসায় জড়িয়ে রাখলাম সকলকে।
দেখা হচ্ছে আগামী সংখ্যায় নতুনভাবে নতুন সাজে কুড়ি সালের ক্যালেন্ডারের শেষ দিনটিতে। এখন থেকেই প্রার্থনায় থাকলাম আমরা মিলিত ভাবে আগামী বছর অবশ্যই ভালো কাটাবো আমরা।
গীতশ্রী সিনহা। সম্পাদক বিনোদন বিভাগ।