আত্রেয়ী নদী সহ পৃথিবীর ব্যাবহার যোগ্য জল অপচয় বন্ধের আন্দোলনের ডাক দিলেন ওয়াটারম্যান রাজেন্দ্র সিং

১৫ই সেপ্টেম্বর, বালুরঘাটঃ রাজস্থানের মরুভূমিতে যিনি আজ সবুজ করেছেন, যিনি তৃষ্ণার্থ মানুষদের মুখে পানীয় জল পৌছে দিয়েছেন, তিনি ওয়াটারম্যান রাজেন্দ্র সিং। ভারতের জল আন্দোলনের একটা অন্য মুখ। যেভাবে তিনি রাজস্থানের মাটিতে মরুভূমি থেকে সবুজের রূপান্তর করেছেন, ঠিক সেইভাবে তিনি সারা ভারতের জলকে সংরক্ষণ করে ব্যাবহার যোগ্য জলের ভান্ডার গড়ে তুলতে তার তরূন ভারত সংঘ কাজ করে চলেছে। তাই “উৎসাহ” নামে বালুরঘাটের একটি স্বেচ্ছা সেবী সংগঠনের উদ্যোগে এইদিন বালুরঘাটে এলেন ওয়াটারম্যান রাজেন্দ্র সিং। তিনি জেলায় এসে জেলার বিভিন্ন নদীগুলো ঘুরে দেখেন, পরিদর্শনে তিনি মালদা থেকে জেলায় প্রবেশ করে টাঙ্গন, পূনর্ভবা, আত্রেয়ী ও হিলিতে গিয়ে তিনি পরিদর্শন করেন যমুনা। জেলার সবকটি নদীর অবস্থা নিয়েই ম্যাগসেইসে পুরষ্কার প্রাপ্ত এই মানুষটি উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

তিনি বালুরঘাটের নাট্যতীর্থ আয়োজিত একটি কর্মশালায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন জলের মতো মূল্যবান সম্পদকে আমরা কোন গুরুত্ব দিতে শিখিনি, একটু কল্পনা যদি করা যায় সকালে উঠে যদি আমরা দেখি আমাদের কাছে জল নামক এই বস্তুটি নেই তবে কেমন হবে আমাদের জীবন। তাই এই উদ্বেগকে বাস্তবে পরিনত হতে দেবার আগেই আমাদের সচেতন ও সতর্ক হতে হবে। জল কিভাবে ব্যাবহার করবো ও জলকে কিভাবে সংরক্ষণ করবো। মূল্যবান এই সম্পদকে আমরা যদি আজকে গুরুত্ব না দি তবে আগামী দিন আমাদের কাছে অত্যন্ত ভয়াবহ হতে চলেছে। তিনি আত্রেয়ী নদী নিয়ে বলেন, এই নদী অতি প্রাচীন, এই নদীকে যেভাবে বাঁধ দিয়েছে বাংলাদেশ, তাতে প্রাচীন এই নদী ক্রমেই শুকিয়ে পরবে শুধু নয়, নদীর গতিপথ ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে বলে। যা ভারত ও বাংলাদেশ উভয় দেশের পক্ষেই খুব খারাপ একটা দিন আগামীতে অপেক্ষা করছে। দুই দেশের সরকারকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে এই বিষয়ে বিচার উচিৎ তিনি মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন এই জেলার নদী আন্দোলনে তিনি সবসময় এই সংগঠনের পক্ষে আছেন। তিনি যখন এই বিষয়ে ডাক পাবেন তখনই তিনি বালুরঘাটে ছুটে আসবেন। তিনি বালুরঘাটের “উৎসাহ” নামে এই সংগঠনটিকে এই কাজে এগিয়ে যাবার জন্য আহ্বান জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *