কবিতাঃ- একাকী ১৪০০ সাল ✍️ মনোজ ভৌমিক

কবিতাঃ- একাকী ১৪০০ সাল
✍️ মনোজ ভৌমিক

আমি বৈশাখের প্রতি প্রত্যুশে ঘুমভাঙা চোখ নিয়ে
বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকি…
সেই চির অম্লান সূর্যটাকে একবার দেখবো বলে
পুব আকাশের পানে ঝাঁকি।
ঝাঁকে ঝাঁকে পাখিদের সুনীল আকাশে উড়ে যেতে দেখি,
ওদের চিৎকার করে ডাকি, এখনো সকাল হতে বাকি!

অজস্র পথ আনমনে হেঁটে যায়…
ঘুমন্ত রিক্ত বনানী জেগে ওঠে ধোঁয়াশায়!
বাদল মেঘের সাথে হাওয়ার আসাযাওয়া,
আমার দু’চোখে থাকে চির ঐকান্তিক চাওয়া।
বার বার চোখ ঘষি আর ভাবি,কোথায় সে সূর্য!
মেঘেদের সাথে খেলা করে কিরণমালা,যা আজও ঐশ্বর্য!

আমি নিমগ্ন চিত্তে দাঁড়িয়ে থাকি একান্ত আনমনে,
দূরে জরাজীর্ণ বটগাছ, নিরবচ্ছিন্ন জটাজালে স্থির এককোণে!
সরোবরটাও আজ বিষন্ন কবিতার মতই নির্জল!!
শুধু হাঁসেদের প্রতিকৃতি!নেই কোনো কোলাহল।
“আমাদের ছোটো নদী” হারিয়েছে অবয়ব!
“কুমোর পাড়ার গরুর গাড়ি” রুপান্তরিত শকটে সরব!!

সে সূর্যটা আর ওঠেনি!বড়ই মেঘাচ্ছন্ন আকাশ!!
“বাগদি বুড়ি” এখন চুপড়ি নিয়ে ফুল তুলতে তুলতে বলে, সময়ের পরিহাস।
কাকভোরে এখনকার “বংশীবদন” সাইকেলের বেল বাজিয়ে ডাক দেয়, বাবু, দুধ…
সময়ের “অমল” চৌকিদার দূরে চিৎকার করে,জাগো হে সুবোধ….
প্রতিদিন এইভাবে সূর্য দেখব বলে আর দাঁড়িয়ে থাকি বারান্দায়,
একাকী ১৪০০ সাল দাঁড়িয়ে আছে একবুক প্রত্যাশায়….

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *