গীতশ্রী সিনহা… সম্পাদকীয় কলমে।

সম্পাদকীয়

গত গত পর্বে সম্পর্ক – ভালোবাসা – নির্ভরতা এসব নিয়ে বলে গেছি বিভিন্নভাবে, বলেছিলাম সাহিত্য – লিটিলম্যাগাজিন – পুস্তক – বইমেলা – উৎসব আরও অনেককিছু নিয়ে।
এবার ফিরে এলাম ” সময় ” কে সাথে নিয়ে।
“আগের নষ্ট করা সময়ের জন্য আফসোস করলে… এখনকার সময়ও নষ্ট হয় ” ছোট্টবেলা থেকে শিখেছি, জেনেছি। সময়ের মুল্য দিতে না পারলে সফলতা আসে না। সময় এবং সফলতা হাত-ধরাধরি করে এগিয়ে চলে। সফলতার সবচেয়ে বড় শর্ত সময়ের সার্থকতা মেনে চলা।
যে মানুষ নিঃস্ব, কিছু নেই হাতে… তার হাতেও সময় আছে, সবচেয়ে বড় সম্পদ।
অতীত চলে গেছে, তাই সেটা নিয়ে চিন্তা করে লাভ নেই,ভবিষ্যৎ নিয়ে জেনেও লাভ নেই, বর্তমান যেভাবে কাটাবে ভবিষ্যৎ সেই ভাবেই প্রশস্ত হবে।
সময়ের প্রতি যত্নশীল হলে সময় আমাদের জীবনের যত্ন নেবে।
আজকের কাজ আজ করো, কালকে আবার নতুন কাজ করবে, জমে থাকা কাজ তোমার জীবনের দখল নেবে।
আমরা সারাদিনে যা যা খরচ করি তারমধ্যে সব চেয়ে দামী হচ্ছে সময়।
সময় নিয়ে অজুহাত দেখিও না, তুমিই পিছিয়ে পড়বে, অবহেলিত সময় তোমাকে কিছুই দেবে না।
বড় বড় দার্শনিক রা বলেন “আমার সময় নেই, আর আমি কাজটা করতে পারবো না… এই দুই এ-র মানে একই, অলসতা … অবহেলা…
ভবিষ্যতে যাওয়ার গতি হলো প্রতি ঘন্টায় ৬০ মিনিট। সময়ের গতি যে যেভাবে ব্যবহার করবে, তার ভবিষ্যৎ তেমনিভাবেই মজবুত বা দুর্বল হবে।
সময় স্রোতের মতো ভেসে যায়, ভেসে যাওয়া সময়কে গচ্ছিত রেখে সফলতা নিয়ে নাও।
সময় মানে জীবন, জীবন মানে প্রতিষ্ঠা, জীবনের অলিতে-গলিতে সময় মেপে চললে উচ্চ শিখরে তুমিই অবস্থান করবে।
সময়কে সাধারণ ভাবে কাটালে, সময় তোমাকে সাধারণ জীবন উপহার দেবে। তখন আমরা বলে থাকি হাতাশা করে, ” জীবনে কিছুই পেলাম না… ( সাথে লম্বাচওড়া দীর্ঘশ্বাস )।
যে সময় হারিয়েছি তাকে ফিরে পাওয়ার জন্য আগামী সময়কে উপযুক্তভাবে ব্যবহার করলে কিছুটা ফিরে পাওয়া যায়।
সময়ের অভাব কিন্তু সমস্যাই নয়, সকলের হাতেই ২৪ ঘন্টা,আসল সমস্যা সদিচ্ছার অভাব।
ফেলে আসা সময়ের কথা না ভেবে বর্তমান সময়কে সুসজ্জিত করে তোলো, ফলাফল সুসজ্জিত হবে।
সময়কে তোমার বৈঠকখানার মতো সাজিয়ে তোলো, সময়ের সাথে সখ্যতা করো, গুরুত্ব বুঝে সময়ের সাথে আপোষ করে চলো।
একলা দেয়ালের দিকে তাকিয়ে থেকে ব্যয় করো না সময়, বরং দেওয়ালে দরজা বানিয়ে ওপারে যাওয়ার ভাবনায় থাকো।
পিঁপড়ের মতো ব্যস্ত থাকার কথা হচ্ছে না, কাজের পিছনে ব্যস্ত থাকার কথা বলছি।

স্তব্ধতার পর্দায় চোখ রেখেছি আমরা বাধ্যতামূলক ভাবে, তাই বুঝি আজ সময়ের কথা বলে গেলাম অগোছালো জটপাকানো আবোলতাবোল ভাবে। আসলে সবই বলি মনের তাগিদে।
এসো সবাই সময়ের পিছনে দৌড়াই… সময়ের ইমারত তৈরি করি। সফলতা দুয়ারে অপেক্ষায়।

গীতশ্রী সিনহা… সম্পাদকীয় কলমে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *