সম্পাদকীয় কলমে গীতশ্রী সিনহা

সম্পাদকীয়

আমার লক্ষ্য ছিল ফেসবুকে যাঁরা লিখছেন অথচ প্রকাশিত করার জায়গা খুঁজে পাচ্ছেন না, ভিতরে ভিতরে কোথাও একটা তাগিদ বোধ করছিলাম, সাহিত্যের পাশে দাঁড়াবার তাগিদ, শুরু করলাম ভাবনার সাথে বাস্তবের মোড়কে রূপান্তরিত করার কাজ। মূল উদ্দেশ্য সাহিত্যকে বাঁচিয়ে রাখার প্রচেষ্টা।
সমবেতভাবে এগিয়ে চলেছি সাহিত্যের কুঁড়েঘর থেকে অট্টালিকার দুয়ারে… পথটা একেবারেই মসৃণ নয়… অনেক প্রতিকূলতার মুখোমুখি দাঁড়িয়েছি… কম – বেশি সময়ের শিকার আমরা।
ধৈর্য খুব তেতো কিন্তু এর ফল খুব মিষ্ট। যদি অল্পতেই আমরা কাতর হয়ে যাই, তবে বুঝে নিতে হবে পৃথিবীটা আমাদের জন্য অনেক কঠিন।
যোগ্য ব্যক্তিরাই সমালোচিত হয় আর সমালোচনা করে অযোগ্য ব্যক্তিরা।
নিজেকে পাহাড়ের চূড়ার মতো বড় দেখতে সাধ জাগে আমাদের, কিন্তু না, একদম না, তুমি মানুষকে ছোট দেখবে, আর মানুষও তোমাকে ছোট দেখবে ! জীবন বড় বিচিত্র, এই বিচিত্র জীবন থেকে আমরা যা পাই, তাই আমাদের কাছে পরম প্রাপ্তি মনে করা উচিত। যা পাই না… সেটা নিশ্চিত আমার নয়। অতি সহজ ভাবনা।
পৃথিবীতে কেউ কারও নয়, শুধু সুখে থাকার আশায় কাছে টানার ব্যর্থ প্রত্যয়, আর তারপর দূরে চলে যাওয়ার… এক বাস্তব অভিনয় মাত্র ! একটু ভাবলেই দেখতে পাই, মানুষের পুরো জীবনটা হচ্ছে একটা সরল অঙ্ক। যত দিন যাচ্ছে, ততই আমরা সমাধানের দিকে যাচ্ছি। আজকের সময়ে দাঁড়িয়ে সৎ পরামর্শের চেয়ে কোনো উপহার অধিক মূল্যবান নয়।
ভালোবাসার কথাগুলো হয়তো খুব সংক্ষিপ্ত ও সহজ হতে পারে, কিন্তু এর প্রতিধ্বনি কখনো শেষ হয় না। গর্ব না করাই গর্বের বিষয়। বড় হয়েও নিজেকে ছোট মনে করা গৌরবজনক।
মানুষ তখনই ব্যর্থ হয়, যখন সে নিজের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য থেকে সরে যায়।
শেষ কথাটি বলি, সফলতা আমাদের দুয়ারে অপেক্ষারত। সফলতাকে লক্ষ্য না বানিয়ে… গন্তব্যের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে ভালোবাসা নিয়ে… সাফল্য এসে ধরা দেবে মুষ্টির মধ্যে।

শুভকামনা ভালোবাসা রইল সকলের প্রতি। নিজস্ব নতুন পথ সৃষ্টি ছাড়া আমাদের আর কোনো কাজ নেই।

সম্পাদকীয় কলমে গীতশ্রী সিনহা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *