# ছোটগল্প # # লুল্লু # লেখিকা – অরণ্যানী

# ছোটগল্প #
# লুল্লু #

লেখিকা – অরণ্যানী

আজ আকাশের গোল চাঁদটা কত ঝলমলে দেখাচ্ছে! ঠিক, ঠিক যেন সেই দিনটার মতো! পরিষ্কার আকাশ, আশপাশের ঝোপঝাড় গুলো চাঁদের আলোয় কী স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে! শীতের রাতে একটা খড়ের গাদায় শুয়ে লুল্লু অন্যমনস্ক হল। চোখে তার আজ নিদ্রা নেই। এখন বয়স হয়েছে। নাহলে হয়তো এমন চাঁদের আলোতে সে একটু ঘুরে বেড়াত। খড়ের মধ্যে ঢুকে আরামে শুয়ে, চাঁদটার দিকে চেয়ে থাকতে থাকতে ক্রমশ হঠাৎই পুরনো স্মৃতিগুলো মনে আসতে থাকল একে একে।
দিনটা ঠিক এমনই ছিল। জ্যোৎস্নার আলোয় বাড়ির সামনের বাঁশঝাড়, জামরুল তলা, দেবদারু তলা, চারপাশের ঝোপঝাড় গুলো আলো আঁধারিতে কী মায়াময় দেখাচ্ছিল। একটু আগেই খাওয়া দাওয়া শেষ করে বাড়ির মানুষ গুলো খাটের গদির বিছানায় ঘুমোতে যাওয়ার উদ্যোগ করছিল। আমি তখন বড় হয়েছি। রাতে একা ঘুরতে বেরোই অনেক দিন থেকেই। সবে যখন বড় হয়েছিলাম, মা কিছুতেই আমাকে রাতে বেরোতে দিত না। পরে বড় হয়ে এ স্বাধীনতা আমি অর্জন করে নিয়েছিলাম। বাড়িতে একঘেয়ে মাছ ভাত, নয়তো দুধ খেতে মোটেই ভালো লাগত না রোজ রোজ। মা তবু শুনত না। বার বার জোর করে খাওয়ানোর চেষ্টা করত। আমি না খেলেই মায়ের মন খারাপ। কিন্তু মা বুঝত না, আমি বড় হয়েছি। রাতের অন্ধকারে, কিংবা জ্যোৎস্নার আলোয়, মুসলমান পাড়া পার হয়ে ধান ক্ষেতের দিকে গেলে কত বড় বড় ইঁদুর পাওয়া যায়। কখনো মুরগির খুপড়ি গলে বাচ্চা মুরগি ছানা অসাবধানে বেরিয়ে এলে চট করে ধরে নিয়ে দে ছুট। তারপর জঙ্গলে বসে আরাম করে খাওয়া। এরকম ভাগ্যে থাকলে পায়রার বাসায়, মানুষের বাড়ির কুঠুরিতে পাখির বাসায় হানা দেয়া, এসব কত কিছু করে নিত্য নতুন খাবার খেতে আমার ভালো লাগতে শুরু করে। প্রথম দিকে এরকম শিকার পেলে ধরে নিয়ে মাকে দেখাতে যেতাম বাড়িতে। আমার জন্য সব সময় মা ঘরের একটা জানলা খুলে শুতো। কিন্তু শিকার নিয়ে বাড়িতে ঢুকলেই চেঁচামেচি পড়ে যেত। ওগুলো খেলে নাকি আমার অসুখ করতে পারে। অনেক সময় জোর করে আমার ধরা শিকার ওরা ফেলেও দিত। আমাকে খেতে দিত না। তাই আর পরের দিকে শিকার নিয়ে বাড়িতে ঢুকতাম না।

তবে রোজ তো আর শিকার পেতাম না। বাড়ি থেকেও পেট ভরে খেয়ে আসা হতো না। চারিদিকে ঘুরতে ঘুরতে হঠাৎ খিদে পেলে বাড়ি চলে আসতাম। জানলা দিয়ে নামার শব্দেই মায়ের ঘুম ভেঙে যেত। আমার জন্য মা, খাটের তলায় মাছ, ভাত, খাবার থালা, সব রেডি করে রাখত। আমি ঘরে ঢুকেই খিদেতে মিঁয়াও মিঁয়াও করতে থাকতাম, আর মা দ্রুত আমার মাছ ভাত থালায় মেখে খেতে দিত। এক এক সময় এতো খিদে পেত, যে আর ধৈর্য্যে কুলোত না। মা ভাত মাখতে দেরি করলে, থাবা মারতাম মায়ের হাতে। তাতে অনেক সময় আঁচড়ে গিয়ে রক্ত বেরিয়ে যেত মায়ের হাতে। কিন্তু মা কোনদিনই আমাকে মারত না।

হ্যাঁ, সেই দিনটার কথা বলছিলাম। সেটা ছিল এরকমই জ্যোৎস্না মাখা দিন। ওরা খাওয়া দাওয়ার শেষে যখন ঘুমোতে যাবে, আমি তখন দরজা দিয়ে বেরিয়ে গেলাম রাত্রি ভ্রমণে। অমন মায়াময় জ্যোৎস্না বোধহয় কোনদিন দেখিনি! যাওয়ার আগে মায়ের মুখের দিকে একবার তাকালাম। কোন অসম্মতি ছিল না সেই মুখে। দরজা বন্ধ করে ওরা সকলে ঘুমিয়ে পড়ল। আমি বাঁশ ঝাড়ের মধ্যে দিয়ে এগোতে থাকলাম। মুসলমান পাড়ায় আমার একটা প্রেমিকা ছিল। মা জানত না। আমাদের বাড়িতে আর পাড়াতেও অল্প বয়সে প্রেমিকা ছিল আমার। কিন্তু অন্য হুলোদের সঙ্গে প্রেমিকা নিয়ে রাতে মারপিট হলেই মা আর একটা বড় মাসি, দু’জনে মিলে বাড়ির সবাইকে ডেকে তুলে আমাকে মারামারি থেকে ছাড়িয়ে ঘরে এনে আটকে রাখত। আমার নাকি মারামারি করলে গায়ে ঘা হবে। তাই আর বাড়ির কাছাকাছি কারুর সঙ্গে প্রেম করতাম না। অন্য হুলো বিড়ালদের সঙ্গে মারামারি না করতে পারলে কি আর কেউ আমার সঙ্গে প্রেম করবে?

সেদিন জ্যোৎস্না রাতে প্রেমিকার কাছেই যাচ্ছিলাম। কিন্তু মুসলমান পাড়ার উপর দিয়ে চলতে চলতে কখন যে অন্য রাস্তায় চলে এলাম, জ্যোৎস্নার আলোয় তা খেয়ালই করতে পারলাম না। সেখানে মাইলের পর মাইল শুধু ধান ক্ষেত। পাকা ধানের ক্ষেতের ভেতর দিয়ে এগিয়ে চলছিলাম। আমার পাশ দিয়ে কত বড় বড় ইঁদুর চলে গেল। আমার ইচ্ছাই হলো না শিকার করতে সেদিন। হুলো বিড়াল গুলো আমার প্রেমিকাকে নিয়ে নিজেদের মধ্যে চেঁচামেচি, মারামারি করছিল, সে আওয়াজও আমার কানে এল। কিন্তু ইচ্ছা হলো না সেদিন আর মারামারি করতে প্রেমের জন্য।

পেছনে পড়ে রইলো আমার বাড়ি, আমার মা, প্রেমিকা, আমার চেনা স্থান। সব পেরিয়ে জ্যোৎস্নার আলোয় আমি সামনে হেঁটে চললাম। তারপর – – – তারপর কি হয়েছিল ঠিক মনে নেই।

মনে পড়ছে আজ অনেক ছোটবেলার কথা। আমরা তিন ভাই বোন জন্মের পর, একটা বাড়ির টেবিলের নিচে থাকতাম। আমি ছিলাম সব ভাই বোনদের থেকে দুর্বল। তাই মায়ের দুধ আমাকে বাকি দুই ভাই বোন খেতেই দিত না। কেউ একজন ভাই বোনেদের সরিয়ে, আমাকে মায়ের কাছে দুধ খেতে এগিয়ে দিত। কিন্তু আমি পারতাম না ভালো করে খেতে। সেছাড়া মা রাত্রিবেলা আমাদের ফেলে রেখে কোথায় চলে যেত। খুব খিদে পেত আমার। আমরা অনেক সময় খিদেতে কাঁদতাম। তখন একজন আদর করে, সেই টেবিলের নিচে আমাকে কালির ড্রপারে করে দুধ খাওয়াত। মাঝে মাঝে আমাকে ওখান থেকে বের করে হাতে নিয়ে কি সব বলত।বোধহয় আদর করত। আমরা যখন একটু বড় হলাম, তখন মাকে ওই বাড়িতে খেতে দিলে, মায়ের সঙ্গে আমরাও ভাত খেতে যেতাম। কিন্তু সেখানেও আমার বাকি দুই ভাই বোন আমাকে সরিয়ে দিয়ে সব খেয়ে নিত। মা কিচ্ছু দেখত না। এমন কি আমাদের সরিয়ে দিয়ে মা নিজেই সব খেয়ে নিতে চাইত। তখন ওই যে একজনের কথা বলছিলাম, একটি মেয়ে, সে আমাকে একটা ছোট্ট ডিসে করে ভাত মাছ মেখে এনে আমার মুখের সামনে ধরত। আমি খুব ছোট ছিলাম। খেতে পারতাম না। ও আমাকে হাতের আঙুলে করে অল্প অল্প ভাত মুখে পুরে দিত। তখন আমি আস্তে আস্তে খেতে পারতাম। সেই থেকে ও-ই আমার মা হয়ে গেল। আমার গায়ের রঙ ছিল লালচে গেরুয়া। সারা গায়ে একটু ফিকে রঙের ডোরা। তাই ওই মায়ের দিদি, মানে মাসি আমার নাম রাখল ডোরা। কিন্তু আমি খুব নরম তুলতুলে ছিলাম তখন। তাই আমার মা আমাকে লুল্লু বলে ডাকতে শুরু করল। ওই নামটাই আমি দিনে দিনে চিনে ফেললাম।

আমি কাঁদলেই তাড়াতাড়ি করে এসে আমাকে খাইয়ে দিত, হাতে করে নিয়ে ঘুরে বেড়াত। আমি তো আর নিজের মায়ের কোল ঘেঁষে থাকতে পারতাম না। তাই ওই মা-ই আমাকে সব সময় কোলের কাছে নিয়ে শুয়ে থাকত। বাইরে কুকুর গুলো তখন কী ভীষণ চিৎকার করে মারামারি করত। তাই ওই মা আমাকে বাইরে যেতে দিত না। একদিন দুপুরবেলা আমি আমার ওই মায়ের কাছে ঘুমোচ্ছি। আমার বাকি দুই ভাই বোন বাইরের রকে খেলছিল। হঠাৎ কয়েকটা কুকুর মারামারি করতে করতে সেখানে এসে পড়ল। বাড়ির সকলের চেঁচামেচিতে মায়ের ঘুম ভাঙল।মায়ের কোলে করে বাইরে এসে দেখি, আমার বোনটাকে কুকুরে মেরে ফেলেছে। আর ভাই একটা আম গাছের উপর বসে ঠক ঠক করে কাঁপছে। আমার নিজের মা টাকে ধারের কাছে কোথাও দেখা যাচ্ছে না। অনেকে মিলে গাছে উঠে ভাইকে নামিয়ে আনল। আর বোনটা মরে যেতে আমার ওই মা, আর তার দিদি খুব কান্নাকাটি করতে লাগল। তারপর থেকে আমার মা আমাকে আর কাছ ছাড়া করত না। যা খেতে চাইতাম, তাই দিত।

কিন্তু আমি তো ধীরে ধীরে বড় হতে থাকলাম। আর পাঁচটা বিড়ালের মতো একা একা বাইরের রোদে ঘুরে বেড়াতে আমার ভীষণ ইচ্ছা করত। বিশেষ করে শীতের দুপুরে, আধো রোদ আধো ছায়ায় জঙ্গলের মধ্যে আমি আরাম করে ঘুমিয়ে থাকতাম লুকিয়ে। মা ঠিক খুঁজে পেতে আমাকে ঘরে নিয়ে গিয়ে, দরজা জানলা বন্ধ করে আটকে রেখে ঘুম পড়ানোর চেষ্টা করত। বিছানায় ঘুমোতে আমার সব সময় ভালো লাগত না। আমি বন্ধ ঘরে চিৎকার করতাম। মা যখন তাও আমাকে ছাড়ত না, তখন আমি একদিন জানলার ছিটকিনি খুলে দৌড়ে বাইরে পালিয়ে গেলাম। মা হায় হায় করতে লাগল। আর আমি পেলাম মুক্তির স্বাদ! বাড়িটার চারপাশে কত গাছপালা, ঝোপ জঙ্গল! গ্রীষ্মকালে ফ্যানের গরম হাওয়ার থেকে ঝোপের মধ্যে অনেক মিষ্টি হাওয়া বয়ে যেত। আরামে দু’চোখের পাতা বুঁজে আসত। শীতের দিনে আধো রোদ আধো ছায়ায় কী আরামে ঘুমিয়ে থাকতাম আমি। তবুও মা এসে মাঝে মাঝে আমাকে পাহারা দিয়ে যেত। আমি আদুরে কন্ঠে মিঁয়াও ডাক দিয়ে জানিয়ে দিতাম, যে আমি এখন ঘরে যাব না। মা আমাকে অনেক আদর করে আবার ফিরে যেত।

মায়ের কাছে যেটা আব্দার করতাম, মা সেটাই দিত। আমি মাছ খেতে খুব ভালোবাসতাম বলে, মা আমাকে তার নিজের ভাগের মাছটা দিয়ে দিত। সেই থেকে মায়ের বাবা আমার জন্য আলাদা মাছ কিনে আনত। তারপর আমি কাঁচা মাছ খাওয়ার বায়না করতাম। আমার জন্য কাঁচা মাছ, রান্না করা মাছ, সন্দেশ, মাংস রান্না হলে মাংস, সবই আসত। ওই বাড়িতে অনেক বিড়াল ছিল। আমাকে ভালো ভালো খেতে দেখে ওদের হিংসে হতো। তাই দিনে দিনে ওদের জন্যও মাছ আসত বাড়িতে।

বেশ ভালোই কাটছিল দিনগুলো। কিন্তু মাঝে মাঝে শীতের ঝলমলে জ্যোৎস্নায়, অথবা অঝোর ধারে ঝরে পড়া বর্ষার রাতে আমার প্রেম করতে খুব ইচ্ছে হতো। তাই বড় হওয়ার পর আমি রাতে বাড়ি থাকতাম না। আর দূরে কারুর সঙ্গে প্রেম হয়ে গেলে তাকে তো ফেলে আসা যেত না। তাই বেশ কিছু দিন তার সঙ্গে কাটিয়ে আসতাম। কিন্তু একটা সময় মায়ের কথা মনে পড়লে, আবার রাস্তা চিনে ঠিক ফিরে আসতাম। কখনো দূর থেকে মায়ের ডাক শুনতে পেতাম – “লু – – ল্লু, – – – আয় – – – আয়।” সেই ডাক শুনেও মনটা কেমন করে উঠত। চেনা পথে দৌড় দিতাম বাড়ির দিকে। ফিরে এলে মা কি আদরই না করত। খুব ভালো লাগতো তখন। কিন্তু একদিন যে কী হলো! আমি অনেক দূরে চলে এলাম। বাড়ির কথা যখন মনে পড়ল, তখন আর রাস্তা চিনে ফেরার চেষ্টা করেও রাস্তা হারিয়ে ফেললাম। চেষ্টা করেও আর শুনতে পাইনি মায়ের সেই ডাক – “লু – – – ল্লু, – – – আয় – – – আয়।” তখন আমার ওই প্রেমিকার কাছেই রয়ে গেলাম। বোধহয় অনেক দূর আমরা চলে এসেছিলাম। তাই মায়ের ডাক আর কোনদিন শুনতেও পেতাম না। নাহলে ওই ডাক শুনে ঠিক রাস্তা চিনে বাড়ি চলে আসতাম।

এভাবে আমরা দু’জনে (আমি আর আমার প্রেমিকা) কিছু দিন বেশ ছিলাম। আমাদের দুটো বাচ্চাও হয়েছিল। কিন্তু আবারও সেই এক জ্যোৎস্না রাতের আকাশের চাঁদ যেন দূর হতে কোন বহু দূরে আমাকে ডেকে নিয়ে গেল। অনেক অনেক দূর চলে এলাম। তারপর তো কিছু মনে নেই। এখন একটা বাড়িতে আমাকে দুটো ভাত খেতে দেয়। তাতেই চলে যায়। শিকার করার ক্ষমতা আজ আর নেই। বয়সও হয়েছে। বেশিরভাগ সময় শুয়ে, ঘুমিয়েই কাটিয়ে দিই।. জানি, মা হয়তো আজও আমাকে মনে রেখেছে। যদি কোনদিন মায়ের কাছে ফিরে যাই, মা কত আদরই না করবে। কিন্তু সেই ফেরার পথ আমাকে কে আজ বলে দেবে? অনেক সময় কান পেতে শোনার চেষ্টা করেছি মায়ের সেই চেনা ডাক – “লু—ল্লু – – – আয় – – – আয়।” কিন্তু না, কোনদিন আর শুনতে পাইনি।

আমি এখন বৃদ্ধ হয়েছি। একটু খুঁড়িয়ে চলি। আমাকে দেখলে মা হয়তো কষ্টই পাবে। কতদিন বাঁচব, তাও তো জানি না। না, আমার মা কখনো চোখের সামনে সন্তানের মৃত্যু দেখতে পারবে না। তাই এই বেশ আছি। মা জানবে, আমি হয়তো ভালোই আছি। ওই যে পূব দিক লাল হয়ে সূর্য উঠছে! আমি কি তবে ঘুমিয়ে সব স্বপ্ন দেখছিলাম, পুরনো দিনের স্মৃতির? চাঁদ কখন অস্ত গেছে। দিনের আলো ফুটছে। আমার দু’চোখে ঘুম জড়িয়ে আসছে। চির নিদ্রার অন্ধকার ছায়ায় আমি ক্রমশ তলিয়ে যাচ্ছি। দূর থেকে যেন শুনতে পাচ্ছি মায়ের সেই ডাক – লু – – – ল্লু, – – – আয় – – – আয়।” হে পৃথিবী বিদায়। হয়তো এই আমার শেষ সূর্যোদয় দেখা। না, আর কিছু দেখতে পাচ্ছি না। চারপাশটা কেমন ঘন আঁধারে ঢেকে যাচ্ছে। মা, তুমি ভালো থেকো। নয় আবার কোন বিড়াল পুষো। এই পৃথিবীর রোদ, বৃষ্টি, জ্যোৎস্না, সব ছেড়ে আমি যেন কোথায় চলে যাচ্ছি। অনেক অনেক দূরে – – – জানি না কী আছে সেখানে।

লেখিকা – অরণ্যানী

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *