গীতশ্রী সিনহা, সম্পাদক বিনোদন বিভাগ
সম্পাদকীয়
এক টানাপোড়েনের মধ্য দিয়ে, জন্ম নেবার জমি প্রস্তুতের দ্বান্দ্বিকতার মধ্য দিয়ে যেন সংকীর্ণ পথচলা। যেন শূন্য থেকে শুরু। শিকড়ে শিকড়ে বুঝি বা থাকে কিছু মাটির গভীরে। কলা গাছ উপড়ে ফেলার পর আবার একসময় যেরকম মাটি ফুঁড়ে বেরিয়ে আসে নতুন চারা। অদম্য তার টান। জীবনের সঙ্গে তার প্রেম সমস্ত বোঝাপড়ার অতীত। দায়বদ্ধতা এখানেই। দায়বদ্ধতা থাকে পাঠকের কাছে, ইতিহাসেরও কাছে।
একটা অলৌকিক কিছু ঘটে যাবে সেটা তো নয় ! আবার সমস্ত প্রচেষ্টা ব্যর্থ তা – ও – না। নতুন নতুন নাম যোগ হচ্ছে আমাদের এই বিভাগীয় প্রতিটি সংখ্যায়। এ-ভাবে বিভাগের একটি নিজস্ব চরিত্র গড়ে উঠছে হয়তো-বা, যা খুবই কাম্য।
এই – দেশ জুড়ে ভাঙনের সময়, এ যেন রাস্তার পাশে গাছের ফল, যে যেমন খুশি গায়ের দাপটে খেতে চায়। ব্যপারটি হয়তো বা সরলিকরণ হল। পরিবর্তন ঘটুক মানুষের চেতনায়, সামাজিকতায়। এ সমস্তর প্রতিফলন ঘটুক সাহিত্যের কলমে। সময় ইতিহাস জীবন চেতনায় ঋদ্ধ বস্তুমুখিন চিন্তার প্রকাশ চাই সাহিত্য নীলিমায়। সাহিত্য এবং ইতিহাস একেঅপরেকে সমৃদ্ধ করে। ‘ সহিত ‘ শব্দ থেকে সাহিত্য কথাটির সৃষ্টি। জগত এবং জীবনের প্রতিচ্ছবি। বাংলা সাহিত্য কাকে বলে,… পল্লী সাহিত্য কাকে বলে, কথা সাহিত্য কাকে বলে, পুরাতনী সাহিত্য কাকে বলে… এই ধরনের অনেক গবেষণামূলক বিশ্লেষক লেখা পেয়ে থাকি ইতিহাসের দুয়ারে।
ইতিহাস শব্দটির ইংরেজি প্রতিশব্দ ”History ‘, যা গ্রীক শব্দ ‘ Historia ‘ থেকে এসেছে।
দ্বিধাহীন, ভয়হীন সৃষ্টিতে মাতোয়ারা, সামাজিক প্রেক্ষাপট আছড়ে নিংড়ে তুলে আনবে সকল অবিস্মরনীয় কবি -লেখক। যেগুলি হবে কালের প্রতিভূ ও কালাতিক্রম সম্পদ।
আসুন, সমবেত কন্ঠে বলে চলি, ” একটা নতুন স্তবকের জন্য এগিয়ে চলি, পড়ে থাক অতিরিক্ত দৃশ্যাবলী “…
শিশুর হাসির মতো সূর্যোদয় আসুক, আসুক কোকিলের কলতান… মুছে যাক কলরব।
শুভেচ্ছা শুভকামনা নিয়ে ফিরে আসবো আগামী সংখ্যায় নতুন কিছু চমক নিয়ে।
গীতশ্রী সিনহা, সম্পাদক বিনোদন বিভাগ।