সুনন্দা
——-

সুনন্দা, তোমাকে নিতে এসেছি
এদিকে তাকাও,
দেখো কোন রৌদ্র নেই
শুধু আছে সন্ধ্যার ডাক, কালি পড়া চোখ,
ঝিঁঝিঁর বিষাদ,
কবিতার গর্ভে আছে ডানা ভাঙ্গা প্রজাপতি
ভেঙ্গেছি আমিই,
বর্ষায় ডাকা ব্যাঙ ডেকে গেছে
হা’ করা ফুলের রেণু পড়ে আছে
গর্ভে তা মাখেনি কারোর।

হাত ধরো,
চিরে দেখো ডুমুরের ফল
আমি আছি ফুল হয়ে আবরণে
যাতে কেউ দেখতে না পারে, না পারে ছুঁতেও,
শুধু তুমি ছোঁবে নির্জনে ময়ূরীর মতো।

গলায় তোমার ঠোঁট মিশে যাবে
দীর্ঘায়ু পাবো,
যেমন বটের গাছ, থাকে অনাদি জীবন
শেকড়ের পরে আরেক শেকড় তার বলে দেয়
যতো দূরে থাকো
আমি আছি নিভৃতচারী বাদুড়ের রাত,
চেয়ে দেখো সেও শুধু আমারি মতোন।

আমি এসে গেছি, শেখাবো না প্রেম,
হাত ধরো।
এই পাড় বড়ো পিচ্ছিল শ্যাওলায় ভরা
জলের ভেতর দেখো কী গাঁথুনি তার,
বারবার বিপথের দিক দেখা যায়
কুমারী শরীর
খেয়ে নেয় হিংস্র কুমির,
কুমিরের কিছুটা কী আমার শরীরে নেই,
এই ভাবা আবেগের করুণ প্রলাপ,
বিষন্ন দেখা।

উঠে এসো
যতোখানি ধুলো আছে গায়ে
তার থেকে বেশি কিছু এই ভান্ডারে জমা
আমি দেখাবো তোমারে।
যতো আছে আলুথালু চুল, কান্নার বোবা ঐ চোখ
হৃদয়ের রক্ত প্রবাহে আছে যতোটা বাঁধন
তার থেকে বেশি কিছু শিথীলতা আছে
আমার চলায়,
পুরুষের মুখ ভাঙ্গে বুক ভাঙ্গে নাতো।

কাছে এসো
ঘরে চলো সেই ঘরে যেখানে আমার ছবি
কাঁদে একা,
কাঁদে বসে নির্জনে কেনা খাতাটাও
হয়নি কিছুই লেখা, বিধবার মত সাদা পাতা
হরিণের মলিন চোখের মাঝে
ভালোবাসা খোঁজে
খুঁজে ফেরে তার ক্লাস প্রেমের দিঘিতে।
চলো যাই দিঘি পরে, সুস্থ করে শেখাবো যে
প্রতিদিন ঠিক সাতটায় কিভাবে লিখতে হয়
কবিতায় প্রেম, প্রেমেতে কবিতা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *