বিবেকানন্দ এবং রবীন্দ্রনাথ ( শেষ পর্ব ) ✍️ তাপস

বিবেকানন্দ এবং রবীন্দ্রনাথ ( শেষ পর্ব )
✍️ তাপস
বিবেকানন্দ এবং রবীন্দ্রনাথ দুই বিশ্ব বিখ্যাত বাঙ্গালী মনীষী একই জায়গায়, একই সময়ে তাঁদের বিচরন অথচ একান্ত ভাবে মিল হয়নি উভয়ের এ এক প্রবল বিস্ময়কর ঘটনা । রবীন্দ্রনাথের জন্ম ১৮৬১ সালের ৭ মে, আর স্বামী বিবেকানন্দের ১৮৬৩ সালের ১২ জানুয়ারি। অর্থাৎ বিবেকানন্দ ছিলেন রবীন্দ্রনাথের চেয়ে প্রায় দেড় বছরের ছোট। অন্যদিকে চল্লিশ বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই ১৯০২ সালের ৪ জুলাই স্বামী বিবেকানন্দের জীবনাবসান ঘটে, আর রবীন্দ্রনাথ ৮০ বছর ৩ মাস বেঁচে থেকে মৃত্যুবরণ করেন ১৯৪১ সালের ৭ আগস্ট। অর্থাৎ রবীন্দ্রনাথের জীবৎকাল ছিল বিবেকানন্দের দ্বিগুণ। নরেন্দ্রনাথ দত্ত অর্থাৎ স্বামী বিবেকানন্দ ছিলেন রবীন্দ্রনাথের জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা দ্বিজেন্দ্রনাথের পুত্র দ্বিপেন্দ্রনাথের সহপাঠী। উভয়েই তাঁরা জেনারেল অ্যাসেম্বলি স্কুল থেকে এন্ট্রান্স পাস করেন। এই সূত্রেই ছিল ঠাকুরবাড়িতে নরেন্দ্রনাথের যাওয়া-আসা। মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথের কাছে নরেন্দ্রনাথের বার বার আসা যাওয়া সেই সময়ে তাঁর মনের যে গভীর আধ্যাত্মিক সংকটের উপস্থিত হয়েছিল সে কথা জীবনীকার প্রমথ বসু উল্লেখ করেছেন। একদিন “প্রাণের উৎকণ্ঠা নিয়ে স্বামীজী মহর্ষির কাছে উপস্থিত হলেন”। তিনি যে ব্রাহ্ম সমাজে আকৃষ্ট হয়েছিলেন সেকথা জীবনীকার প্রমথ বসু উল্লেখ করে বলেছেন- ‘নরেন্দ্র ব্রাহ্ম সমাজে যাতায়াত করিতে করিতে ক্রমে রীতিমতো খাতায় নাম লিখিয়ে ব্রাহ্ম সমাজভুক্ত হইলেন। এমনকি যখন তিনি স্বামী বিবেকানন্দ নামে বিশ্ববিখ্যাত হইয়াছেন তখনো হয়তো ব্রাহ্মদিগের খাতায় নাম ছিল’ (স্বামী বিবেকানন্দ প্রথমভাগ- প্রমথনাথ বসু)। দ্বিপেন্দ্রনাথের স্ত্রী হেমলতা ঠাকুর তাঁর স্মৃতিকথায় লিখেছেন- “আমার স্বামী আর স্বামী বিবেকানন্দ ছিলেন বাল্যবন্ধু।… সন্ন্যাসধর্ম নেওয়ার আগে তিনি প্রায়ই আমার স্বামীর কাছে আসতেন, কিন্তু পরে দেখাসাক্ষাৎ হতো মধ্যে মধ্যে। এন্ট্রান্স পাস করে আমার স্বামী আর পড়লেন না। কিন্তু বিবেকানন্দ কলেজে ভর্তি হলেন। বিবেকানন্দ বাল্যবয়সে আমার স্বামীর কাছে এসেছেন, তখন তিনি সন্নাস গ্রহণ করেননি- সে আমি দেখিনি। কিন্তু পরে বিবেকানন্দ আমাদের জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে এসেছেন, পরনে গেরুয়া বসন, মাথায় পাগড়ি। আসতেন মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথর সঙ্গে দেখা করতে। আলাপ-আলোচনা করে চলে যেতেন। …আমার মনে আছে, শিকাগো পার্লামেন্ট অব রিলিজিয়ন্স থেকে ফিরে এসেই বিবেকানন্দ জোড়াসাঁকোতে এসে মহর্ষির সঙ্গে দেখা করেন।” পরে ব্রাহ্মসমাজের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে নরেন্দ্রনাথ যখন ‘হিন্দু’ রামকৃষ্ণ পরমহংসের শিষ্য হয়ে গেলেন, তখন স্বল্প সময়ের জন্য হলেও, রবীন্দ্রনাথের মনে নরেন্দ্রনাথের প্রতি বিরূপতার সঞ্চার ঘটেছিল। অনেকেই সে সময়ে বলতে শুরু করেছিলেন যে, রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব নানা দেবদেবীর মূর্তিপূজার মধ্য দিয়ে গভীর আধ্যাত্মিক শক্তি লাভ করায় ব্রাহ্মদের নিরাকারতত্ত্বের অসারতাই প্রমাণিত হয়ে গেছে। রবীন্দ্রনাথ তখন ‘সাকার ও নিরাকার উপাসনা’ শীর্ষক প্রবন্ধে এই মতের তীব্র সমালোচনা করে লিখেছিলেন-
“ঈশ্বরকে আমরা হৃদয়ের সংকীর্ণতাবশত সীমাবদ্ধ করিয়া ভাবিতে পারি, কিন্তু পৌত্তলিকতায় তাঁহাকে একরূপ সীমার মধ্যে বদ্ধ করিয়া ভাবিতেই হইবে। অন্য কোনো গতি নাই। …কল্পনা উদ্রেক করিবার উদ্দেশ্যে যদি মূর্তি গড়া যায় সেই মূর্তির মধ্যেই যদি মনকে বদ্ধ করিয়া রাখি তবে কিছুদিন পরে সে-মূর্তি আর কল্পনা উদ্রেক করিতে পারে না। ক্রমে মূর্তিটাই সর্বেসর্বা হইয়া উঠে। …ক্রমে উপায়টাই উদ্দেশ্য হইয়া দাঁড়ায়।” কিন্তু নরেন্দ্রনাথের রবীন্দ্রনাথের প্রতি ছিল অগাধ শ্রদ্ধা, নইলে শ্রীশ্রী রামকৃষ্ণকে দু’বছরের বড় কবির লেখা গান শুনিয়েছেন, যখন তিনি জানতেন শ্রীশ্রী রামকৃষ্ণদেব গভীর দার্শনিক চিন্তা ছাড়া অন্য গান শোনেন না। ‘মহাসিংহাসনে বসি শুনিছ’, ‘তোমারেই করিয়াছি জীবনের ধ্রুবতারা’— শুনিয়েছিলেন ঠাকুর রামকৃষ্ণদেবকে। গান শুনে শ্রীশ্রী রামকৃষ্ণদেব নাকি বলেছিলেন কবির মন যে আধ্যাত্মিকতায় পূর্ণ। নিজের বিএ পরীক্ষার দিন ভোরবেলা চোরবাগানে বন্ধু দশরথির বাড়িতে হাজির নরেন্দ্রনাথ । সেখানে গাইলেন রবীন্দ্রনাথের গান ‘মহাসিংহাসনে বসি’। রবীন্দ্রনাথের গান তিনিই প্রথম ব্রাহ্ম সমাজের বাইরে গাইতে শুরু করেন। ৫৭তম মহতীসভার দিন প্রধান আচার্য মশাইয়ের বাড়িতে গাইলেন ‘সত্য মঙ্গল প্রেমময় তুমি’। সংগীত কল্পতরু রচনাকালে গলা সাধার কথা বলতে গিয়ে ভৈরব রাগে লেখা কবির একটি গানের দু’কলি ব্যবহার করলেন। এছাড়া কবির লেখা বেশ কয়েকটি গান স্থান পেয়েছে সংগীত কল্পতরুতে। বরাহনগরের মঠে দারিদ্র্য নিত্যসঙ্গী, গুরুভাইদের মন ভালো করতে গেয়েছেন, ‘আমরা যে শিশু অতি’ আর ‘তোমারই করিয়াছি জীবনের ধ্রুবতারা’। লীলাবতীর সঙ্গে বিবাহ হল কৃষ্ণকুমার মিত্রর। সেই উপলক্ষে কবিগুরু ছটা গান রচনা করেছিলেন । একটি গানের দল তৈরি করে নিজে গান তুলিয়ে দিলেন গায়কদের। সেই গায়ক প্রধান নরেন্দ্রনাথ আর বাকিরা অন্ধ চুনিলাল, কেন্দ্রনাথ চ্যাটার্জি আর ড. সুন্দরী মোহন দাস, পরে লীলাবতী ‘তত্ত্ববোধিনী’ পত্রিকাতে লিখেছেন, নরেনবাবু সেদিন চমৎকার গেয়েছিলেন। বিবেকানন্দ, রবীন্দ্রনাথের এবং জাপানের বিখ্যাত কবি ওকাকুরা প্রসঙ্গটি ভীষণই তাৎপর্যপূর্ণ, যা আলোকপাত করে স্বামী বিবেকানন্দ এবং রবীন্দ্রনাথের অন্তর্নিহিত সম্পর্ককে। ভারতবর্ষকে বুঝতে ওকাকুরা বিবেকানন্দের কাছে গেলে তিনি বলেছিলেন- “এখানে আমার সঙ্গে আপনার কিছুই করণীয় নেই। এখানে তো সর্বস্ব ত্যাগ। রবীন্দ্রনাথের সন্ধানে যান। তিনি জীবনের মধ্যে আছেন”। ওকাকুরা রবীন্দ্রনাথের সন্ধানে গিয়েছিলেন। এই কথা বিবেকানন্দের রবীন্দ্রপ্রতিভা ও সৃষ্টি কর্মকে সমর্থনের ইঙ্গিত পাওয়া যায়। অপর দিকে ওকাকুরা রবীন্দ্রনাথের কাছে কিছু পরামর্শ চাইলে কবি রবীন্দ্রনাথ বলেন- “ভারতকে যদি জানতে চান, বিবেকানন্দকে জানুন। If you want to know India, study Vivekananda. There is in him everything positive, nothing negative”. (Chintanayak Vivekananda pg.981)। রবীন্দ্রনাথ সমগ্র বিশ্বকে সৃষ্টির সূতোয় মালা গাঁথলেন, নোবেল পেলেন, এশিয়া মহাদেশে ভারতকে সবাই চিনল আলাদা করে আর স্বামীজী ভারতকে বিশ্বের দরবারে মহান করে তুললেন ধ্যানে, ত্যাগে, সেবায়। ১৮৯৯ খ্রিস্টাব্দের ২৭ জানুয়ারি, শনিবার সন্ধ্যায় ভগিনী নিবেদিতার বাগবাজারের বাড়ির উঠানে আয়োজিত চা-পান সভায় রবীন্দ্রনাথ ও বিবেকানন্দ মুখোমুখি হয়েছিলেন, সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সস্ত্রীক জগদীশচন্দ্র বসু, সস্ত্রীক ড. প্রসন্নকুমার রায়, মোহিনীমোহন চট্টোপাধ্যায়, সরলা ঘোষাল, তাঁর মা স্বর্ণকুমারীদেবী । ডা. মহেন্দ্রলাল সরকারকে সঙ্গে নিয়ে যোগ দিলেন স্বামীজি। সেই সভার জন্য রচিত একটি গানসহ মোট তিনটি অসাধারণ গান রবীন্দ্রনাথ সেদিন গেয়েছিলেন। বিবেকানন্দও অনবদ্যভাবে তাঁর বক্তব্য সেদিন উপস্থাপিত করেন। ৩০ জানুয়ারি ১৮৯৯ খ্রিস্টাব্দে মিস ম্যাকলাউডকে লেখা একটি চিঠিতে নিবেদিতা তার বিবরণ দিয়েছেন।” পরে অবশ্য নিবেদিতাই বলেছিলেন—’..there was some cloud.. সেই চা-পানের আসরে বিবেকানন্দ আর রবীন্দ্রনাথের কোনও কথাই হল না। দু’জন যে দু’জনকে চিনতেন সে কথাও প্রকাশ করলেন না কেউই। কেন দু’জন একে অপরকে উপেক্ষা করলেন সেই প্রশ্নের সত্যিই কোন উত্তর নেই । নিবেদিতার উদ্যোগ সত্ত্বেও বিবেকানন্দ ও ঠাকুরবাড়ির মধ্যে সম্পর্কের শীতল বরফ গলেনি। বরং আরও কঠোর হাতে নিবেদিতার রাশ টেনে ধরেছেন বিবেকানন্দ। নিবেদিতার স্মৃতি কথায় দেখা যায়, বিবেকানন্দ বলছেন As long as you go on mixing with that (Tagore) family Margaret, I must go on sounding this gong. Remember, that family has poured a flood of erotic venom over Bengal.” ( বলেছিলেন ‘নিবেদিতা, তুমি যত দিন ওই ঠাকুর পরিবারের সঙ্গে মেলামেশা করবে তত দিন আমাকে বারবার সাবধান করে যেতে হবে। মনে রেখো, ওই পরিবার বাংলাদেশকে শৃঙ্গার রসের বন্যায় বিষাক্ত করছে।’ ) নিবেদিতা বললেন, ‘আমি আপনার কথা ঠিক বুঝতে পারছি না।’ তখনই বিবেকানন্দ ‘কড়ি ও কোমল’ কাব্যগ্রন্থ থেকে একটি কবিতা শোনালেন। বললেন, ‘তোমার কি মনে হয় না এই কবিতা পুরোপুরি শৃঙ্গার রসে পরিপূর্ণ?’ রবিজীবনীকার অধ্যাপক প্রশান্তকুমার পালের মতে “বিবেকানন্দের দুর্ভাগ্য, তিনি রবীন্দ্রনাথের পরবর্তী কবিতা ও গদ্যরচনার সঙ্গে পরিচিত ছিলেন না। থাকলে এরূপ উক্তি করতে তিনি অবশ্যই দ্বিধাগ্রস্ত হতেন”। রবীন্দ্রনাথ একবার নিবেদিতাকে অনুরোধ করেছিলেন তাঁর মেয়েকে ইংরেজি শেখাতে, কিন্তু নিবেদিতা রাজি হননি। এমনকি বিবেকানন্দের আদেশে মেয়েদের স্কুল প্রতিষ্টার চেষ্টার সময় রবীন্দ্রনাথ নিবেদিতাকে জোড়াসাঁকোর একাংশ জমি দিতে চেয়েছিলেন । অনুমান করা যায়, তিনি বিষয়টি নিয়ে স্বামীজির সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন। পরে রবীন্দ্রনাথকে জানিয়ে দিয়েছিলেন, এই প্রস্তাবটি তিনি গ্রহণ করতে অপারগ। কিন্তু রবীন্দ্রনাথের উপর এসব ক্রিয়ার কোন প্রতিক্রিয়ার ছাপ কোন দিন পড়তে দেখা যায়নি । ১৯০৪ সালে গুরু বিবেকানন্দের প্রয়ানের পর প্রকাশিত নিবেদিতার বই wave of Indian’s life বইটির ভুমিকা লিখে দেন কবি । ১৯০২ খ্রিষ্টাব্দের ১২ জুলাই ‘এক্সেলসর ইউনিয়ন’ ভবানীপুর সাউথ সুবার্বন স্কুলে স্বামীজীর স্মৃতিতে যে শোকসভার আয়োজন করে সেই সভার মূল বক্তা ছিলেন নিবেদিতা এবং সভাপতি ছিলেন রবীন্দ্রনাথ। রবীন্দ্রনাথ শুধু বিবেকানন্দের শক্তির অসামান্যতা বিষয়েই অবহিত ছিলেন তাই নয়, স্বামীজির চিত্তের সঙ্গতিও তিনি অনুভব করেছিলেন বলেই স্বামীজির স্মৃতিসভায় সভাপতিত্ব করতে সম্মত হয়েছিলেন, এই ক্ষেত্রে অবশ্য তিনি নিবেদিতার দ্বারা প্রভাবিত হয়েও থাকতে পারেন। স্বামীজির মূল্যায়ন সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথের মতামত পরবর্তীকালে আর পুরানো বিরাগে আচ্ছন্ন তো থাকেই নি, বরং যথাযথ শ্রদ্ধাবোধে উজ্জ্বল। সাধারণ ব্রাহ্মসমাজ মন্দিরে ছাত্রসমাজের সামনে ‘পূর্ব ও পশ্চিম’ নামে তিনি একটি প্রবন্ধ পাঠ করেন। প্রবন্ধটি ‘প্রবাসী’ ও ‘ভারতী’ পত্রিকায় একযোগে ভাদ্র ১৩১৫ সংখ্যায় প্রকাশিত হয়। সেখানে রবীন্দ্রনাথ মুক্তকন্ঠে স্বীকার করেছেন, “অল্পদিন পূর্বে বাংলাদেশে যে মহাত্মার মৃত্যু হইয়াছে, সেই বিবেকানন্দও পূর্ব ও পশ্চিমকে দক্ষিণ ও বামে রাখিয়া মাঝখানে দাঁড়াইতে পারিয়াছিলেন। ভারতবর্ষের ইতিহাসের মধ্যে পাশ্চাত্যকে অস্বীকার করিয়া ভারতবর্ষকে সংকীর্ণ সংস্কারের মধ্যে চিরকালের জন্য সংকুচিত করা তাঁহার জীবনের উপদেশ নহে। গ্রহণ করিবার, মিলন করিবার, সৃজন করিবার প্রতিভাই তাঁহার ছিল। তিনি ভারতবর্ষের সাধনাকে পশ্চিমে এবং পশ্চিমের সাধনাকে ভারতবর্ষে দিবার ও লইবার পথ রচনার জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করিয়াছেন”। তবে এটাও ইতিহাস যে, নোবেল পাবার আগে বাঙালিরা রবীন্দ্রনাথকে অচ্যুত করার চেষ্টায় ছিলেন এবং তাকে মেনে নিতেও কুন্ঠিত ছিলেন । ১৯১৩ তে এই একমাত্র বাঙালি যখন নোবেল পান , তার এক দশক আগেই বিবেকানন্দ প্রয়াত। যদি তিনি সে সময় বেঁচে থাকতেন তাহলে হয়ত দৃশ্যপট পাল্টে যেত। কিন্তু ভয়ঙ্কর সত্যি এই যে, এই দুজন মহামানব মানসিকভাবে মিলিত হন নি কোনদিন, তা বাঙালি তথা বিশ্ববাসী কাছেও দুর্ভাগ্যজনক।
( সমাপ্ত )
✍️ তাপস