বন্দী পাখি গায়ত্রী ভাদুড়ী
বন্দী পাখি
গায়ত্রী ভাদুড়ী
থেমে যায় শহুরে কোলাহল নিয়মমাফিক।
ঠোঁটে একটুকরো বিষাদ নিয়ে বিকেল নামে দিগন্তরেখায়,
গোধূলির স্নিগ্ধতায় ঘরের পাশের নদীটা অঙ্গে জোছনা মাখে..
বেঁধে রাখা বন্দী পাখিটা উড়তে চায়!
পোষ মানে না,মাঝে মাঝে ডানা ঝাপটায়
গা ভাসাতে চায় আলুথালু রাতের স্তব্ধতায়..
মনে হয় ছুটে যেতে চায় নদীর জল ছুঁয়ে উন্মুক্ত আকাশের সাদর আমন্ত্রণে।
মাধবীর বাগানে গিয়ে প্রেমিকের কবিতা হতে চায় হয়তো।
কি জানি কী চায়……..!
আমি ওকে জোর করে শেখাই বুলি..।
ও যে শেখেনা…
করুণ দৃষ্টে চেয়ে থাকে দূরে, বহুদুরে…
আমি শক্ত করি ওর শৃঙ্খল।
হাতে মাখি গুরো মশলা মেখে রোজনামচা সাজাই।
রঙহীন লোহার খাঁচায় জং পরে…
ওকে নিয়ম করে খাবার দিই,স্নান করাই।
দু চারটে মন ভোলানো গল্প বলি
হয়তো বোঝেনা,তবুও বলি….
কিন্তু ওর আর্তনাদ শুনিনা,এড়িয়ে যাই সন্তর্পণে।
ভয় হয় হয়তো উড়ে যাবে কখোনো,
খুঁজে নেবে জীবনের ওপারে আরও এক জীবন।
তাই তো আরও শক্ত করি বন্ধন…
ফেলে রাখি ধূসর শৃঙ্খলতায়!!