প্রিয় অনামিকা
প্রিয় অনামিকা,
কতদিন পর বল তো আবার কথা লেখা? এই ই মেল, হোয়াটসঅ্যাপ, ইন্টারনেটের আধিপত্যে চিঠি লেখার অভ্যেস ভুলেছি। একসময় চিঠি শুধুমাত্র প্রয়োজনমাত্র ছিলো না, সাহিত্যেরও গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিলো। চল আমরা আবার শুরু করি প্ত্র সাহিত্য।৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷ ৷৷ কেমন আছিস? মনে পড়ে সেই কলেজের দিন? ভেবে দেখ তোর আর আমার সেই প্রথম আলাপ। আলাপের সেই প্রথম মুহূর্তটা এতদিন পর মনে নেই আর। তোর কি মনে পড়ে? তবে কি করে যেন তুইই হয়ে উঠলি প্রানের বন্ধু। কলেজটা ছিলো আমাদের মনের জানালা। কাছে এলেই পাল্লা খুলে যায়, আর তারপর খোলা আকাশ, প্রকৃতি সবকিছুর মধ্যে একঝাঁক তরতাজা বন্ধু। সে যেন অন্য এক জগত। সে জগৎ তো হাড়িয়ে গেছে কেবল স্মৃতির আনাগোনা।
সে যাক, কলেজ জীবনের পর আমাদের অন্য জীবন শুরু হলো। সে সময় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হলেও মনে থেকে যায় নিত্য আসা যাওয়া। এ তো সত্যি, আর এ সত্যি কে সাথী করে তোকে খুঁজেছি। একসময় আবার প্রমাণ হলো পৃথিবী টা গোল। তাই প্রথম যেদিন তোর সাথে কথা হলো কি আনন্দ যে হয়েছিল!
আনামিকা, কলেজে আমরা সেভাবে কেউ ঈশ্বর নিয়ে ভাবতাম না মনে পড়ে? তাই এত বছর বাদে তোকে জিজ্ঞেস করেই বসলাম – ঈশ্বর মানিস?
তুই একটু চুপ করে থেকে বললি – মানি।
জানিস অনামিকা, মানি আমিও। তবে ধর্ম বলতে একটা কথাই বুঝি – প্রেম।
RELIGION IS NOTHING BUT LOVE, LOVE, LOVE.
” সবারে বাস রে ভালো নইলে মনের কালো ঘুচবে না রে ”
আর বুঝি নিজেকে সংশোধন।
পৃথিবীটা সুন্দর কিন্তু চারিদিকে বড়ো আবর্জনা। চলার পথে ঐ আবর্জনা এঁটোর মতো কেমন করে যেন চরিত্রে লেগে যায়। আর তাই –
” আমার এ ঘর ধুতে হবে মুছতে হবে…. ”
প্রত্যেকে যদি নিজের ঘর আর তার চারিপাশ পরিস্কার রাখার দায়িত্ব নেয় তবে গোটা পাড়া – শহর – রাজ্য – দেশ মায় সারা পৃথিবী পরিচ্ছন্ন হয়ে ওঠে।
খুব জ্ঞান দিয়ে ফেললাম বোধহয়। তবে আজ এই পর্যন্তই থাক। খুব খুব ভালো থাকিস।
তোর একটা সুন্দর চিঠির অপেক্ষায় –
বানী।
কলকাতা – ১০২
২৩.৩.২০২১
—————————————-
৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷ অনামিকা দত্ত
১১/২ গোল্ডেন হাইট এপার্টমেন্ট।
জি.টি রোড, আনন্দপল্লী,
বর্দ্ধমান – ৭১৩১০৩
—————————————-