পলাশের অহংকার — শিপ্রা দে
পলাশের অহংকার
শিপ্রা দে
ফাগের হাওয়া বইছে ধীরে
পলাশ শিমুল বনে
কৃষ্ণ চূড়ায় বসন্ত দূত
ডাক দিয়েছে মনে।
এমন সময় পলাশ বলে
আমি কতো সুন্দর
শিমুল দেখো কেমন যেন
দেখতে লাগে বান্দর।
পলাশ বলে শিমুলকে “তোর
কোথায় কিসের রূপ
শিমুল শুনে মুচকি হেসে
রইলো বসে চুপ।
গুন নেই তো রূপে বাহার
কিসের অহংকার
আমি তো লাগি ফুলের শেষে
লোকের উপকার।
সময় হলে দেখতে পাবে
পলাশ হবে শেষ
থাকবে তাও শিমুল ফুল
রয়ে যাবে যে রেশ।
আমার গাছে ফুটবে রাশি
নরম কতো তুলো
তবু শিমুল বলছে না যে
শুনছে কথা গুলো।
শোবার কাজে লাগবে তাকে
নরম গদি পাবে
সারা বছর মাথার নীচে
আরাম দিয়ে যাবে।
দুদিনের সে মন ভোলানো
পলাশ ঠোঁটে চুমু
তুলোর মেঘ শান্তিতে যে
দেবে লোকের ঘুমু।
রূপ সুধায় কতক্ষণ
পাবে লোকের মন
গুন থাকলে সবার মাঝে
কদর অণূ ক্ষণ।