কবিতা #পলাশপ্রিয়ার_পাঁচালী লেখিকা #শ্বেতা_ব্যানার্জী

কবিতা #পলাশপ্রিয়ার_পাঁচালী
লেখিকা #শ্বেতা_ব্যানার্জী

প্রথমেতে বীণাপানি করি নমস্কার,
তোমার মাহাত্ম্য কথা করিব প্রচার।
বৈদিক যুগে তুমি ছিলে নদী সরস্বতী,
মুনি ঋষিরা সেখানে রেখেছিল মতি।

গান, বাজনা, নানাবিধ পুজো অর্চনা,
জ্ঞানার্জন পূণ্যখাতে শাস্ত্র আলোচনা।
নদী থেকে তুমি হ’লে দেবী স্বরূপা,
সাদাপদ্ম, সাদা শাড়ি, মা, তুমি অপরূপা।

বেদমাতা, চারহাতে বেদেরই প্রতীক,
ঋগ্বেদের বাগ্ দেবী যাগযজ্ঞে তুমি ঋত্বিক।
চারহাতে জলপাত্র, বই, মালা বীণা,
ভাবে মুনিরা ঋক,সাম, যজুঃ অথর্ব কী না!

সরস্ শব্দের আদি অর্থ পরম জ্যোতি,
বেদেও পূজিতা জ্যোতিরূপা মা সরস্বতী।
সরস্ শব্দের আর এক অর্থ হয় জল,
পূণ্যস্নান সেরে খুঁজি বিদ্যার উৎপত্তিস্থল।

বীণা আর বই নিয়ে এখন দ্বিভুজা তুমি,
মাঘের শ্রীপঞ্চমীতে মা তোমাকে নমিঃ।
বিদ্যা ও শিক্ষার ঘর আজ অন্ধকার ময়,
বরাভয় দাও মা, হো’ক অজ্ঞতার জয়।

ব্রহ্মবৈবর্ত পুরান বলে তুমি ব্রহ্মার কন্যা,
ধরায় এসে জ্ঞানালোকে করো মা ধন্যা।
হলুদ গাঁদায় বরণ করি ওগো পলাশপ্রিয়া,
মনের কলুষ নাশ করে করো অনুসূয়া।

রাজহাঁস কে বাহন করে মা, দাও তুমি শিক্ষা,
বলো, রাজহাঁসের থেকে নিতে হবে দীক্ষা।
রাজহাঁস দুধ ও জলের দুধটুকু ক’রে পান।
অবিদ্যার থেকে বিদ্যা নিতে শিক্ষা করে দান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *