*নেতাজী বন্দনা* —– কলমে মনিমালা রুদ্র ভট্টাচার্য্য

*নেতাজী বন্দনা*

কলমে মনিমালা রুদ্র ভট্টাচার্য্য

সারা দেশবাসী আজও তোমার পথ চেয়ে—–
নিগূঢ় দেশপ্রেমের আবেশে আবার তুমি বলে উঠবে, “আমি সুভাষ বলছি!”
তৎক্ষণাৎ কেঁপে উঠবে ওটেনদের বুক, আতঙ্কে দিশেহারা হবে সাদা চামড়ার পরিবর্তে কালো চামড়ার শাসক দল।
সন্ত্রস্ত হবে বর্তমান কিংসফোর্ডরা।
ভারতবাসীর ঘরে ঘরে দীপ্ত কন্ঠে শোনা যাবে সেই মঙ্গলধ্বনি, জয় হিন্দ্ , বন্দেমাতরম্ !

রাস্তার মোড়ে কোন এক ক্ষুদিরাম আবারও রিভালবার চাইবে, ফিরে আসবে প্রফুল্ল! আনন্দে কেঁপে উঠবে ভারত ভূমি!
মুক্ত-স্বাধীন স্বদেশ দেখার স্বপ্নে দিবানিশি ডরঘাতি হবে চিত্ত!
শুধু তোমাকে সঙ্গে চাই!

কোন প্রভাবতী দেবী সজল নয়নে তোমায় তৃষ্ণার্ত বক্ষে টেনে নিয়ে বলবেন, “আর আমায় ছেড়ে যাস্ নে মানিক!”
কোন এক প্রখ্যাত আইনজীবী এসে বলবেন, “এই নাও কাবুলিওয়ালার পোশাক!”

দেশমাতৃকা তোমার ভালে পরিয়ে দেবে অর্চিষ্মান জয়টিকা!
সমগ্র দেশবাসীকে তুমি বলবে, “তোমরা আমাকে রক্ত দাও, আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব!”

আমরা তোমার কদমে কদম মিলিয়ে এগিয়ে যাবো, হবো অকুতোভয়, স্বপ্ন পূরণের দৃঢ় প্রত্যাশায় জাগরণে যাবে বিভাবরী।
সীমান্তে সৈনিকদল তোমায় পেয়ে আকাশছোঁয়া মহাপ্রাণ শক্তি পাবে।
হে ভারত পুত্র, দেশবাসীর কাছে তুমি এক মহাজাগতিক শক্তি!
তুমি কর্মোদ্যমের প্রবল স্রোত, তুমি দুঃখির অন্তপুরের অন্ধকারে জাজ্বল্যমান সূর্য!

তোমার ভারত আজ অশ্রুটাও হারিয়েছে!
অত্যাচারের আগুনে চোখের জল বাষ্প হয়ে গেছে!
শুষ্ক ক্লান্ত নির্ঘুম চোখে তোমায় পাওয়ার স্বপ্ন দেখি!
অবিরাম প্রার্থনা করি।
রত্নগর্ভা ভারত আজ শত শিকারির কবলে, দেশমাতৃকার বস্ত্রহরণ, ইজ্জত হরণ হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
তুমি এসো জানকি পুত্র!
প্রকাণ্ড তেরঙ্গা ধ্বজা কাঁধে দুলিয়ে, বীর সৈনিকের বেশে দুর্মতিদের হৃদয় কাঁপাও তেজে।

তুমি যে দেশ মাতৃকার পরমব্রত পুত্র! তোমার আগমনে রচনা হবে এক নতুন ইতিহাস!
সেই ইতিহাস দুর্জন-মুক্ত অনাবিল সুখ-শান্তি ও সৌর্য্যের দেশ ভারত!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *