দৃষ্টিদান” —– সুজিত অধিকারী !!

দৃষ্টিদান”
সুজিত অধিকারী !!

উত্তর – পূর্ব কোণে একটা ঝড় উঠতে চলেছে কালো মেঘে
ভরে গেছে সারা আকাশ ; হয়তো এক্ষুনি শুরু হবে
রক্তক্ষরণ………..।
একটা জটাধারী সন্ন্যাসী মাভৈঃ মাভৈঃ বলে এগিয়ে
আসছে খড়গহস্তে কপালে রক্ত চন্দন; মুখে পিশাচের
হাসি  কাঁপিয়ে বেড়াচ্ছে গোটা আকাশ; অতীতের সাধনায়  শক্তিমান হয়ে প্রলয় হুঙ্কারে ছুটে আসছে ধ্বংস করবে
স্বর্গ-মর্ত্য পাতাল।
মাঝে মাঝে বিদ্যুতের মশাল জ্বলে আর
নিভে,অদৃশ্য বিপদের সংকেত ইঙ্গিত করে।

বল্গা ছাড়া ঘোড়ার মতো ধেয়ে আসছে  আসছে অসংখ্য
উল্কাপিণ্ড,নক্ষত্র আর কালপুরুষের অশুভ আঁতাত।
ভৎসনা  অহংকারী কণ্ঠে ক্রমেই কঠিন হয়ে উঠলো
বিভীষিকাময় তাণ্ডব,প্রাণহীন দেহ কাতারে কাতারে
লুটিয়ে পড়ল আঘাতের পর আঘাতে ……….!
রক্তের স্রোত ঐ মহাশূন্যের জ্বলন্ত আকাশে…..।

সমুদ্র সাফেনে তরল আলোক তরঙ্গায়িত, গিরিশৃঙ্গে
সূর্য রশ্মির তর্জনী মেঘেদের শান্ত ললাট নেপথ্যে
“মহা মৃতুঞ্জয়ের গান” রাত্রির শেষ প্রহর।
স্বর্গের শিখর থেকে ভেসে এলো,ধরণীর আনন্দবানী।
নক্ষএের ইঙ্গিতে হাজার হাজার “বেহুলার” হাজার
হাজার সতী নারীর কন্ঠের ধ্বনি – নির্ঝরে
ঘোষিত হলো,আমরা আসছি।।

শঙ্খ ধ্বনিতে মুখরিত সারা আকাশ যেন যুদ্ধের প্রস্তুতি।
গর্জন আর উচ্ছ্বাসে মত্ত ভৈরবীর দৃষ্টিদান ।কালো দীর্ঘ এলোচুল হাতে ত্রিশূল প্রলয় নৃত্যে উন্মত্ত ভৈরবী।
দুরন্ত দুর্বার বেগে সৃষ্টি সুখের উল্লাসে  সে জাগরিত।
চোখে তার কুরুক্ষেত্র ,কানে দানব – জন্তুর হুংকার।
শুরু হলো ভুকম্পনের উচ্চ হাহাকারে ধরণী কাঁপিয়ে
খণ্ড যুদ্ধ ,চোখে তার প্রচ্ছন্ন অনল, অট্টহাস্যে স্তব্ধ
হৃৎপিণ্ডের স্পন্দন,রক্তের স্রোতে পতন পাশবিক বলের।
নবশক্তির আত্মদানে  ভেসে আসে সেই আরাধনার গান।

“যা দেবী সর্বভূতেষু মাতৃরূপেণ সংস্থিতা।
নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমো নমঃ॥
যা দেবী সর্বভূতেষু শক্তিরূপেণ সংস্থিতা।
নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমো নমঃ॥””

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *