বরং অসুর — দুলাল কাটারী

বরং অসুর
দুলাল কাটারী

বয়সের দোষ লেগেছিলো হলুদাভ সর্ষে ফুলের গায়,
তুমি তখন নবযৌবনা দেবী।
ছায়ার আলোতে যতটুকু দেখেছি তোমায়
পাঁজরে আঁচড় কেটে রক্ত খেতে ভয় হয় না তোমার, লজ্জাও করে না তোমার,একটুখানিও।
পুরুষের চোখের জল চিরতরে শুকিয়ে দেওয়ার মতো যন্ত্রনা দেওয়ার ক্ষমতা তোমার ছিলো বইকি এবং আজও আছে সমানে…
হৃদয় চুরি করার মতো অলক্ষুনে চাহনিও যথেষ্টই…
তবে তখনও আমাকে সম্পূর্ণ হত্যা করা হয় নি।
ভালো লাগার মতো মুখ ছিলো একখানা,
সেটি ভালোবাসার মতোও বটে…
নিঃশব্দের শব্দ শুনে তখন তোমাকে মনে করার মতো মন ছিলো আমার।
আমারও একজন মা ছিলো, আছে এবং ভবিষ্যতেও সে মা’ই থাকবে।
কিন্তু তুমি তো মা হতে পারো নি কোনো দিন আমার, হয়তো-বা মা হবে ভবিষ্যতে অন্য কারো।
তবে সেদিন তোমার মধ্যে মাতৃত্বের বড়োই অভাব ছিলো, আজও আছে…
তুমি শুধুই প্রেমিকা, ক্ষুধার্ত প্রেমিকা।
তাই,জীবন যখন সমান্তরাল পথে আর চলবেই না,
হে দেবী, তোমার বহু যত্নে বিশ্বজুড়ে গড়ে তোলা পতিতালয়ে আমি বরং দালাল অসুর হয়েই থাকি।
তবে, একটা কথা মনে রেখো
যে ব্যথা যতটা গভীর,
তার চিৎকারের শব্দ ততটাই নিশ্চুপ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *