বালুরঘাট পৌরসভার সংরক্ষণ নিয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দায়ের বালুরঘাটের সাংসদ সহ একাধিক ব্যক্তিদের

বালুরঘাট, ১৪ অক্টোবরঃ বালুরঘাট পৌরসভার আসন সংরক্ষণের খসড়া তালিকা নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ তুলে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হল বালুরঘাটের সাংসদ । সেই সঙ্গে আরও চারটি অভিযোগ জমা পড়ল রাজ্য নির্বাচন কমিশন ও জেলা শাসকের দপ্তরে । অভিযোগে তুলে ধরা হয় মহিলা সংরক্ষণ সহ সংরক্ষণ তালিকায় প্রায় ৬টি অনিয়ম সামনে এসেছে । যেখানে তুলে ধরা হয় ৪০ শতাংশ মহিলা সংরক্ষণ মানা হয়নি পৌরসভার সংরক্ষণ তালিকায় । ২৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১০টি ওয়ার্ডকে মহিলা আসনে সংরক্ষিত করতে হবে । সেখানে দেখা যায় মাত্র ৯টি আসন মহিলা সংরক্ষিত হয়েছে । এছাড়া মহিলা সংরক্ষণের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের বেঁধে দেওয়া রোস্টার মানা হয়নি বলে অভিযোগ করে সাংসদ সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সাধারণ মানুষ । তাঁরা প্রশ্ন তুলছে ২ নম্বর রোস্টার মেনে তালিকা তৈরির নির্দেশাবলি থাকলেও মহিলা সংরক্ষণের ক্ষেত্রে দেখা যায় ১ নম্বর রোস্টার মেনে তালিকা তৈরি হয়েছে । পাশাপাশি গতবার তপশিল উপজাতি আসনটি মহিলা সংরক্ষিত হয়েছিল যা এবার তপশিল সাধারণ  আসনে করবার নিয়ম থাকলেও সেই আসনটিকেও এবার মহিলা আসনে সংরক্ষিত করা হয়েছে । এছাড়াও নির্দেশাবলিতে উল্লেখ আছে গতবারের সংরক্ষণ নিয়ম মেনেই এবার ওই একই পদ্ধতিতে আসন সংরক্ষিত করতে হবে । কিন্তু সেক্ষেত্রেও সেই নিয়মের তোয়াক্কা করেনি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রশাসন । পাশাপাশি গতবারের মহিলা সংরক্ষিত আসনগুলিকেই পুনরাই সংরক্ষণ তালিকায় স্থান দেওয়া হয়েছে । যেখানে রয়েছে ৪, ৭, ১০, ১৩, ১৮, ২১ ও ২৪ নম্বর আসন । যা গতবার এই সংখ্যার আসনগুলি মহিলা সংরক্ষিত হয়েছিল । সেই সব আসনকে পুনরায় সংরক্ষিত করার কোন প্রকার নিয়ম নেই নির্বাচন কমিশনের সংরক্ষণ বিধিতে । আর সেই সব অভিযোগ তুলে বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার সহ বেশকিছু অভিযোগ জমা পড়ল রাজ্য নির্বাচন কমিশন ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা শাসকের অফিসে । আগামী ১৭ই অক্টোবর পূর্নাঙ্গ সংরক্ষণ তালিকা প্রকাশ হবার কথা থাকলেও একাধিক অভিযোগ জমা পড়ায় পৌরসভার সংরক্ষণ তালিকা নিয়ে তৈরি হল জটিলতা। এছাড়াও অভিযোগ ওঠে ৩ নম্বর ওয়ার্ডে তপশীল উপজাতী মানুষ না থাকলেও ব্যাপক সংখ্যায় তা দেখানো হয়েছে। একপ্রকার ইচ্ছাকৃত ভাবে এই ধরনের কারসাজি করা হয়েছে।

সাংসদ সুকান্ত মজুমদার আমাদের জানান, বালুরঘাটের বেশকিছু প্রভাবশালী নেতৃত্বের সুবিধা পাইয়ে দিতে এই ধরনের কারচুপি করেছে জেলা প্রশাসনের একাংশ । এক প্রকার বলা যেতে পারে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের নির্বাচনি বিধিকে সম্পুর্ন বুড়ো আঙুল দেখিয়ে এই ধরনের তালিকা করা হয়েছে । যা এক প্রকার নিয়ম বিরোধী । তাঁদের অভিযোগের পরেও যদি রাজ্য নির্বাচন কমিশন এই ভুলে ভরা সংরক্ষণ তালিকা প্রকাশ করে তবে তাঁরা তালিকা সংশোধনীর জন্য আদালতের দ্বারস্থ হবে ।

একই সাথে সাংসদ ছাড়াও বেশ কিছু অভিযোগে একই প্রসঙ্গ উঠে আসায় বিষয়টি ক্রমেই জটিল আকার ধারণ করছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *