এনআরসির আতঙ্কে জেলার বিভিন্ন স্কুলে জমা পড়ছে তথ্য জানার অাবেদন

১০ই সেপ্টেম্বর, বালুরঘাটঃ  এনআরসির আতঙ্কে কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ির বহু মানুষ তথ্য সংগ্রহ করতে ব্যস্ত। বালুরঘাট তথা দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন স্কুলে পূর্বসূরিদের স্কুল সার্টিফিকেট সংগ্রহ করতে ক্রমেই বাড়ছে আবেদনের সংখ্যা। এমনই এক ঘটনা শিলিগুড়ির বাসিন্দা বিপ্লব দেব তার পিতার স্কুল সার্টিফিকেট সংগ্রহ করতে আবেদন করলেন বালুরঘাট হাইস্কুলে। এছাড়াও বিভিন্ন স্কুলে কারো পিতা বা কারও পিতামহ, পোপিতামহদের স্কুল পাস সার্টিফিকেট সংগ্রহের জন্য তথ্য জানার অধিকার আইনে আবেদন করছেন। এনআরসির আতঙ্কে আতঙ্কিত মানুষদের মধ্যে অধিকাংশ মানুষের বাড়ি আসাম, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার। এদের কেও একসময় এ জেলার বাসিন্দা ছিলেন, তারা কর্মসূত্রে এখন কেউ আসাম কেউ কোচবিহার জলপাইগুড়ি আলিপুরদুয়ার এর বাসিন্দা। সেইসব মানুষরা এখন এনআরসির আতঙ্কে আতঙ্কিত হয়ে শুরু করেছেন তাদের প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ। 1971 সালের আগে তাদের পূর্বসূরীদের বাসিন্দা প্রমাণপত্র হিসাবে স্কুল পাস সার্টিফিকেট একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, এছাড়াও স্কুলের পাশাপাশি আবেদনপত্রের হিড়িক পড়েছে জমি রেজিস্ট্রি অফিসে। এইসব বাসিন্দাদের অনেকের জমি কিংবা বাড়ি একসময় এ জেলায় থাকলেও কালক্রমে তারা সেই সব জমি বিক্রি করে এখন স্থায়ী বাসিন্দা আসাম কুচবিহার বা অন্যত্র। সেইসব বাসিন্দাদের স্থায়ী বাসিন্দা প্রমাণপত্র হিসাবে তৎকালীন জমির রেকর্ড একটি গুরুত্বপূর্ণ নথি।

এনআরসির আইনে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্য ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রমাণপত্র হিসাবে এনআরসি ক্রমেই চেপে বসেছে সাধারণ বাসিন্দাদের মনে। এমন অনেক বাসিন্দাই রয়েছে যারা 1971 এর আগে বাংলাদেশ থেকে ভারতে এলেও তাদের স্থায়ী বাসিন্দা সেভাবে না থাকায় কেউ ভাড়া বাড়ি আবার কেউ অস্থায়ী শেল্টারে বসবাস করেছে। সেই সব মানুষদের এখন চিন্তার বিষয় 1971 সালের আগের প্রমাণপত্র সংগ্রহ করা। আর তাই বালুরঘাট তথা দক্ষিন দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন স্কুলে জমা পড়ছে তথ্য সংগ্রহ আইনে আবেদন পত্র আর সেই সব তথ্য জোগাড় এ এখন ক্রমেই চাপ বাড়ছে বিভিন্ন স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *