বডিগার্ড লাইন্সে আবার পুলিশকর্মীর আত্মহত্যা, মৃত পুলিশ কর্মীর বাড়ি বালুরঘাটে, দেহ এলো বাড়িতে

০১লা সেপ্টেম্বর, বালুরঘাটঃ ফের অস্বাভাবিক মৃত্যু আলিপুর বডিগার্ড লাইন্সে! এ বার যাঁর দেহ উদ্ধার হয়েছে, তিনি কলকাতা পুলিশের সশস্ত্র বাহিনীর তিন নম্বর ব্যাটালিয়নের কর্মী। শুক্রবার রাত পৌনে তিনটে নাগাদ পুলিশ ব্যারাকের একটি ঘরে তাঁকে গলায় গামছার ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলতে দেখেন এক সহকর্মী। সপ্তাহ দু’য়েক আগেই মালদহের এক যুবকের দেহ উদ্ধার হয়েছিল আলিপুর বডিগার্ড লাইন্সের ভিতরে একটি জলাশয় থেকে, নাম প্রসেনজিৎ সিংহ।

পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাতে যাঁর ঝুলন্ত দেহ পাওয়া যায়, তাঁর নাম পীযূষ কুমার চক্রবর্তী (৪০)। বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে। চাকরির সুবাদে তিনি থাকতেন আলিপুর বডিগার্ড লাইন্সের দু’নম্বর ব্যারাকের একতলার একটি ঘরে। শুক্রবার রাতেও তাঁকে অন্য কর্মীরা ব্যারাকে দেখেছেন।

তাঁর সহকর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তকারীরা জেনেছেন, ব্যারাকের একতলায় ডরমিটরি রয়েছে। সেই ঘরের কোণের দিকের একটি শয্যায় পীযূষ থাকতেন। ঘরের বেশির ভাগ শয্যা ফাঁকাই থাকে। পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাতে সশস্ত্র বাহিনীরই এক কর্মী ঘুম থেকে উঠে ঘরের আলো জ্বালান। তখনই তিনি দেখেন, পীযূষ সিলিং ফ্যান থেকে গলায় গামছার ফাঁস দিয়ে ঝুলছেন। তিনি অন্য কর্মীদের ঘুম থেকে তুলে ঘটনাটি জানান। খবর যায় ওয়াটগঞ্জ থানায়। পীযূষের সহকর্মীরাই তাঁর দেহ উদ্ধার করে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্তের পরে রবিবার দেহ এসে পৌছায় বালুরঘাটের চকভৃগুর বাড়িতে। ঘটনায় শোকাহত পরিবারের লোক থেকে ও প্রতিবেশীরা। এমনিতে শান্ত স্বভাবের মানুষ বলে পরিচিত পীযূষের বালুরঘাটের বাড়িতে থাকতেন স্ত্রী, দুই কন্যা ও তার বাবা মা।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, পারিবারিক বিষয় নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন পীযূষ। সম্ভবত সেই কারণেই তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন। পুলিশ জানায়, ময়না-তদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। পীযূষের পরিবারকে খবর পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *