ভোটের দিনে কোটি টাকা সহ গ্রেপ্তার দিলীপ ঘোষের দুই সহযোগী

১৩ই মে, দিনাজপুর ডেইলি ডেক্সঃ ভোটের দিনই কোটি টাকা-সহ আসানসোল স্টেশন থেকে গ্রেপ্তার ২৷ সোমবার তাদের আসানসোল আদালতে পেশ করা হবে বলে জিআরপি সূত্রে খবর৷ পুলিশের দাবি, ধৃতদের কাছ থেকে পাওয়া টাকা বিজেপির বলে জেরায় জানিয়েছে তারা৷ ধৃতদের মধ্যে একজন রাজ্য বিজেপি সভাপতি  প্রাক্তন আপ্তসহায়ক বলে খবর৷ হিসেব বহির্ভূত টাকা রাখার অভিযোগ তার বিরুদ্ধে৷

ঘটনা রবিবার বিকেলের৷ আসানসোল স্টেশন চত্বরে দু’জন সন্দেহভাজনকে ঘোরাঘুরি করতে দেখে জিআরপি জওয়ানরা৷ তাদের সঙ্গে ছিল বড় একটি ব্যাগ। সন্দেহ প্রবল হওয়ায় তাদের পিছু নেয় জিআরপি৷ ৫ নং প্ল্যাটফর্মের ওভারব্রিজের উপর থেকে দু’জনকে পাকড়াও করে জিআরপি৷ তাদের জেরা শুরু করা হয়৷ ব্যাগটি বাজেয়াপ্ত করে দেখা যায়, তাতে বিপুল পরিমাণ নোট। জিআরপি সূত্রে খবর, তার সংখ্যা এত বেশি যে টাকা গোনার মেশিন এনে তা গুনতে গুনতে রাত হয়ে যায়৷ এত টাকা নিয়ে কেন তারা আসানসোল স্টেশন চত্বরে ঘোরাঘুরি করছে, তা নিয়ে উৎসুক হয়ে পড়েন জিআরপি৷ জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, তাদের কাছে পাওয়া টাকা বিজেপির৷ কলকাতার দিকে যাচ্ছিল তারা৷

জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম গৌতম চট্টোপাধ্যায়, লক্ষ্মীকান্ত সাউ৷ গৌতম উত্তর ২৪ পরগনার শাসনের বাসিন্দা৷ খড়গপুরে দিলীপ ঘোষ থাকাকালীন তাঁর কাজকর্মের ভার সামলাতেন গৌতম৷ তাঁর আপ্তসহায়ক বলে পরিচিতি ছিল৷ তার সঙ্গী লক্ষ্মীকান্তের বাড়ি দক্ষিণ দিল্লি৷ রবিবার আসানসোল লাগোয়া দুই জেলা বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ায় ছিল ভোট৷ সেই ভোটে ব্যবহারের জন্যই কি টাকা নিয়ে ঢুকেছিলেন ওই দু’জন? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিতে চায় জিআরপি৷ তৃণমূল বরাবরই অভিযোগ করে আসছে, বিজেপি বহিরাগতদের এনে টাকা দিয়ে ভোটে প্রভাবিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে৷ সেই অভিযোগের সঙ্গে গৌতম এবং লক্ষ্মীকান্তের ধরা পড়ার কোনও যোগসূত্র আছে কি না, খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। আরও একটি সম্ভাবনার কথাও উঠে আসছে৷ ধৃতরা যেহেতু কলকাতার দিকে যাচ্ছিল বলে জানা গিয়েছে, তাই সপ্তম দফায় কলকাতার ভোটে টাকা বিলি করার কোনও উদ্দেশ্য ছিল কিনা, সেই প্রশ্নও মাথাচাড়া দিচ্ছে৷ নিরাপত্তার স্বার্থে ভোটের মাঝেই এক কোটি টাকা সমেত দু’জনের গ্রেপ্তারির কিনারা করতে মরিয়া তদন্তকারীরা৷ মাথাব্যথা বেড়েছে ধৃতের পরিচয় হিসেবে দিলীপ ঘোষের প্রাক্তন আপ্ত সহায়কের নাম উঠে আসায়৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *