ভাঙচুর ভারতী ঘোষের গাড়ি, থানায় ধর্ণা ভারতীর

১১ই এপ্রিল, দিনাজপুর ডেইলি ডেস্কঃ কালো পতাকা দেখানো, হেনস্থা ও গাড়ি ভাঙচুরের প্রতিবাদে ভারতী ঘোষের নেতৃত্বে তৃণমূল নেতা কুরবান শাকে অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবিতে পাঁশকুড়া থানা ঘেরাও করল বিজেপি কর্মীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে থানার সামনে মোতায়েন করা হয় কমব্যাট ফোর্স ও বিশাল পুলিশবাহিনী। ব্যারিকেড দিয়ে আটকানো হয় বিক্ষোভকারীদের। পুলিশের সেই ব্যারিকেড ভেঙে থানায় ঢোকেন ভারতী ঘোষ। বাইরে দলীয় কর্মীকে আটকাল পুলিশ। থানার মধ্যেই দেখানো হয় বিক্ষোভ।

এর আগে আহ্বায়কের গাড়ি ভাঙচুরের প্রতিবাদে রাস্তায় কয়েক ঘণ্টা বসেছিলেন ভারতীসহ অন্য বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। ২টা থেকে ৫টা পর্যন্ত বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। আজ নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া (পশ্চিম) বিধানসভার বিভিন্ন এলাকায় ভোট প্রচার শুরু করেন। বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ, দলীয় কর্মীদের নিয়ে মাইশোরা পৌঁছানোর আগেই গোপালহাজরার কাছে কয়েকশো তৃণমূল কর্মী কালো পতাকা দেখিয়ে ও ‘গো-ব্যাক’ স্লোগান দিয়ে ভারতী ঘোষের পথ আটকায়। তিনি গাড়ি থেকে নেমে আসার পর তাঁর কনভেনারের গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। ভারতীকেও ঢিল ছোঁড়া হয়।

অবস্থান বিক্ষেভের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ভারতী বলেছিলেন, “এই নিয়ে তিন তিনবার আমার উপর হামলা হল। এই সরকারের কোনও লজ্জা নেই। তৃণমূল সরকার ভোট লুট করতে চাইছে। আমি মানুষের ঘরে ঘরে যাচ্ছি। আজ আমি পশ্চিম পাঁশকুড়ায় ভোট প্রচারে এসেছি। এই মাইশোরা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মানুষজন বলছে যে ভোট লুট হয়েছে। গত পঞ্চায়েতের সময়ে তারা ভোট দিতে পারেনি।”

ভারতী আরও বলেন, “এরা সব তৃণমূলের গুন্ডা। আমি নির্বাচন কমিশনকে পুরো বিষয়টি জানাচ্ছি। যদি নির্বাচন কমিশন কোনও পদক্ষেপ না নেয় তাহলে আমরা অবস্থানে যাব। আর যতক্ষণ না এসপি আসবে ততক্ষণ আমি এখানেই বসে থাকব।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *