এক সময় জেলা ‘চালাতেন’, আজ বিক্ষোভ এড়াতে মন্দিরের পাঁচির টপকে থানায় ‘ঠাঁই’ ভারতীর

১২ই মে, দিনাজপুর ডেইলি ডেস্কঃ একটা সময় গোটা জেলায় তিনিই কার্যত ছিলেন শেষ কথা। গোটা পশ্চিম মেদিনীপুর একটা নামেই একপ্রকার কাঁপত। তিনি ভারতী ঘোষ। কালক্রমে প্রাক্তন আইপিএস হয়ে এখন তিনি বিজেপির ঘাটালের প্রার্থী।

আর এই রাজনীতিতে এসেই তিনি বুঝতে পারছেন, একটা সময় জেলার মানুষ তাঁকে ভয় পেত বটে। কিন্তু এখন তিনি কেবলই একটি রাজনৈতিক দলের প্রার্থী মাত্র। সাধারণ মানুষ আর তাঁকে ভয় তো পাচ্ছেই না, বরং তৃণমূলীরা ‘ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে’ বুঝে নিচ্ছেন বিজেপি প্রার্থীকে।

সকাল থেকে একের পর এক বিক্ষোভ, তৃণমূলের মহিলাদের সঙ্গে কার্যত মারধর, কান্নাকাটি, পায়ের নখ উপড়ে যাওয়া, শেষে পরিস্থিতি বেগতিক ঠেকায় কেশপুরের একটি মন্দিরে আশ্রয় নিতে হয় ভারতীকে। কিন্তু সেখানেই রেহাই নেই। মন্দির সংলগ্ন এলাকাতেও অশান্তি শুরু হলে কার্যত পালিয়ে গিয়ে কেশপুর থানায় আশ্রয় নেন ভারতী।

এরই মধ্যে ভারতীর গাড়িও বাজেয়াপ্ত করেছে নির্বাচন কমিশন। দীর্ঘক্ষণ ধরে বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয় পুলিশের। ভারতীর অভিযোগ, ‘প্রার্থীর দায়িত্ব গাড়ির জন্যে আগাম অনুমতি নেওয়া৷ আমি গতকাল কেশপুরে ঢুকব এমন জানিয়ে, এডিএ-এর কাছে অনুমতি নিয়েছিলাম৷ সেটা ডিলিট করে দিয়েছে৷ এবং আজ আমার গাড়ি আটকেছে পুলিশ৷’ যদিও নির্বাচন কমিশন থেকেই ওই গাড়ি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *