ভালোবাসা এক বৃক্ষের নাম ===== স্বপ্না চ্যাটার্জী

ভালোবাসা এক বৃক্ষের নাম
====================
স্বপ্না চ্যাটার্জী
এক সুবিশাল বৃক্ষের নাম “ভালোবাসা” ,যে বৃক্ষ থেকে জন্ম নিয়েছে অসংখ্য ডালপালা, সে গুলো যেন এক একটা” সম্পর্ক,” যার কেন্দ্রবিন্দুতে আছে ঐ “ভালবাসা” নামক” বৃক্ষটি।” মা” যেমন অপত্য স্নেহে, তার সন্তানদের আগলে বেড়ান, ঠিক তেমনি “ভালোবাসা” নামক বৃক্ষটিও তার সুশীতল ছায়া দান করে, রক্ষা করে চলেছে তার বুকে জড়িয়ে থাকা সমস্ত সম্পর্ক গুলোকে। কারণ, প্রতিটা সম্পর্ককে টিকিয়ে রাখতে গেলে, যত্নে লালন করতে জানতে হয়।তাই বৃক্ষের প্রতিটি পাতা তার সুশীতল ছায়া দান করে, সমস্ত ঝড়-ঝঞ্ঝা থেকে রক্ষা করে চলেছে এই “সম্পর্ক” গুলোকে। যে কোন “সম্পর্কের” ক্ষেত্রেই ,”ভালোবাসা” তার প্রথম গতিতে পাহাড়ি নদীর মতই দুর্বার ও দুরন্ত, আপন গতিতে উন্মত্ত। পাগল পারা। প্রাণ প্রাচুর্যে ভরপুর। তাইতো মনের আনন্দে, আপন ছন্দে ,দুুকুল ভাসাতে ভাসাতে, আত্মহারা হয়ে চলতে থাকে “সে।” মানে না কোন বাঁধন,সে যে শিশুর মতই উদ্দাম, সরল, ও অজ্ঞ। হোক না “অজ্ঞ,” “অজ্ঞতারও” তো একটা বিশেষ আনন্দ আছে। বেশি জানলে, সে আনন্দ মাটি হয়ে যায়। আপন উন্মত্ততায় চলতে চলতে, যদি কখনো কোন পাথরখণ্ড এসে ,তার চলার গতি রোধ করে, তখন” ভালোবাসা” মুহূর্তের জন্য থমকে দাঁড়ায়। দিশেহারা হয়। কিন্তু চলা থামেনা, এই নতুন “আঘাতের “সঙ্গে মোকাবিলা করতে, তার কিছুটা সময় লাগে হয়তো ,কিন্তু নতুন দিকে বাঁক নিয়ে সে আবার চলতে শুরু করে ।কারণ “ভালোবাসা” অনন্ত। সে যে বহু দিনের পুরনো। আমাদের মাথার উপরে ,এই যে বিস্তীর্ণ পৃথিবী, তার মতই। সূর্যের বয়সই বা কে জানে! কত দিনের পুরাতন! “ভালোবাসা” ও ঠিক এমনই, যা কখনো পুরনো হয় না।
“ভালোবাসা” সে যে আলোর দিশারী; যা সকলকে উজ্জ্বল করে যে “আলো “পথ দেখায়। জীবনে যে কোনো সম্পর্ক” হতে পাওয়া, প্রথম “আঘাত” গুলোয় মানুষের “বোধদয়” হয়। তখন সে বুঝতে শেখে, এই যে হৃদয়ের “উথাল পাথাল,” এই যে “শূন্যতা” তা কোন এক বিশেষ “সম্পর্কের” জন্য নয়, কোন এক বিশেষ” ব্যক্তির” জন্য নয়। সে নিজেকেই খোঁজে। আমাদের সত্তার যে অংশ নিজেকে অবিভক্ত করতে পারে না, এ “বেদনা” যেনতারই “বেদনা”। যা আমাদের বুকের মধ্যে মোচড় দেয় ।সে বুঝতে শেখে ভালোবাসা হারায় না কখনো, তা অবিনশ্বর, চিরন্তন ।শুধু তার অভিমুখ পাল্টায়, এ তো পৃথিবীর অতি পুরাতন মন্ত্র”,যা হৃদয়ে “সত্য “শিব” ও “সুন্দরের” প্রতিষ্ঠা করে।